1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তির মাদক ব্যবসা নারীদের নিয়ন্ত্রনে, জনমনের প্রশ্ন তারা কি আইনের উর্দ্ধে? - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:৪৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দ্বিতীয় মেয়াদে জেনিথ লাইফের শিক্ষার্থী বিমা চুক্তি স্বাক্ষর সখিপুরের ১’৭২ মিটার কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন বহিরাগতদের প্রতিহিংসার শিকার উত্তরা প্রেসক্লাবের নেতারা আলাদীনের চেরাগ সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের হাতে! দেড় মাসে আড়াই হাজারের বেশি অবৈধভাবে মোবাইল এনেছে তারা কুমিল্লা মিডিয়া ফোরামের নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে যে কোন পরিণতির জন্য তৈরি থাকুন- ফখরুল ইসলাম  টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তির মাদক ব্যবসা নারীদের নিয়ন্ত্রনে, জনমনের প্রশ্ন তারা কি আইনের উর্দ্ধে? পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  দোকানে চুরি, গ্রেফতা গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড বাসস্ট্যান্ডে হকার আলম অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়ে করছেন চাঁদাবাজি
টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তির মাদক ব্যবসা নারীদের নিয়ন্ত্রনে, জনমনের প্রশ্ন তারা কি আইনের উর্দ্ধে?

টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তির মাদক ব্যবসা নারীদের নিয়ন্ত্রনে, জনমনের প্রশ্ন তারা কি আইনের উর্দ্ধে?

স্টাফ রিপোর্টার :

টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার কেরানীরটেক ও রেলওয়ে বস্তির মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে স্থানীয় থানা পুলিশ আপ্রান চেষ্টা করেও বন্ধতো দুরের কথা নিয়ন্ত্রণ করতেও হীমশীম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বস্তিগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরও এসব এলাকায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। ফলে এসব এলাকার চুরি, ছিনতাই, কিশোরগ্যাং, মারামারী হানাহানিসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতাও চোখে পড়ার মতো। উক্ত বস্তি এলাকায় বহিরাগত অজ্ঞান পাটির সদস্য, ছিনতাইকারীসহ মাদক ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে থাকে এ বস্তি এলাকা। আর এসব বহিরাগত মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের নিয়ন্ত্রন করছে স্থানীয় শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের সহকারী মাদক ব্যবসায়ীরা। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, টঙ্গীর প্রায় প্রতিটি বস্তির মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করতে দু-একজন করে অশিক্ষিত সংবাদকমীর সৃষ্টি হয়েছে। এসব নামধারীরা মাদকব্যবসায়ীদের সোর্স বা এজেন্ট হিসেবে পরিচিত। অশিক্ষিত সংবাদকর্মীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় কেরানীরটেক বস্তির নারী মাদক ব্যবসায়ী সাহিদা, রাশি, রহিমা, আকলিমা, বকুলের বউ, বেবী, রুনা, কারিনা, পারভিন, রানী, শারমিন, মুক্তা, শাবনুর অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদকদ্রব্য গাজা, হিরোইন, প্যাথেডিন, ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। এহেন প্রেক্ষাপটে মাদকের বিরুদ্ধে স্থাসীয় থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন র‌্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, এপিবিএন পুলিশ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ওইসব নামধারী সংবাদকর্মীরা সেই তথ্য মাদক ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেন। ফলে মাদক কারবারিরা কৌশলে মাদকদ্রব্যসহ স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। তাছাড়া ওইসব সংবাদকর্মীরা খোদ থানার গেইটে বসে দিনভর আড্ডা দেয়ার সুবাধে প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে সখ্যতা সৃষ্টি করে অভিযান ভিত্তিক প্রশাসনের গোপন তথ্য অপরাধীদের সরবরাহ করায় আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা অভিযানে তেমন কোন সফলতা বয়ে আনতে পারেন না। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সখ্যতা করে ওইসব মাদক ব্যবসায়ীদের সোর্স বনাম নামধারী সংবাদকর্মীরা। এছাড়াও প্রকৃত কোন সংবাদকর্মী বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে একাধিকবার ওইসব মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে ইতিপূর্বে। বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সংবাদকর্মী সকলেই তথ্য সংগ্রহ বা অভিযানের পূর্বে ভয়ে-আতঙ্কে থাকেন কখন কোন ঘটনা ঘটায় ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ তাদের পালিত সন্ত্রাসীরা। তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, মাদক কারবারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী সোর্স এবং ওইসব অশিক্ষিত সংবাদকর্মী নামধারীরা। এছাড়া এলাকায় মাদক কারবারীদের নিজেদের কোন্দলের কারণে একাধিক আইন শৃংখলা বাহিনীর একাধিক সোর্সের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে কেরানীরটেকসহ টঙ্গীর বিভিন্ন মাদক বস্তি হিসেবে পরিচিত বস্তিগুলোতে। পুলিশ সোর্স তথা নামধারী সংবাদকর্মীদের নামে হয়েছে মামলা, হামলার শিকারও হয়েছে অনেকে। তথ্য সংগ্রহ সংবাদ প্রকাশের কারণে উপরোক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে নামধারী সংবাদকর্মীদের দ্বারা মূলধারার সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়ে হয়রানীর নজিরও রয়েছে কেরানীরটেক বস্তির নারী মাদক ব্যবসায়ীদের।এলাকাবাসীর দাবী, কেরানীরটেক বস্তির মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নারী মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন কৌশল অবলম্ভন করছে। তারা এখন সোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের কোন না কোন অশিক্ষিত ব্যক্তিকে। টাকার বিনিময়ে কোন আন্ডাগ্রাউন্ড পত্রিকার পরিচয়পত্র এনে দিয়ে সংবাদকর্মী বানিয়ে তাকে ব্যবহারের মাধ্যমে দেদারচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মাদক ব্যবসা। ওইসব নামধারী সংবাদকমীরা নিজের নাম লিখতে না জানলেও তারা সংবাদকর্মীর অন্তরালে মাদক ব্যবসায়ীদের রক্ষা কবচ হিসেবে বেশ পটু। ওইসব সংবাদকর্মী নামধারী সোর্সদের নিয়ন্ত্রণ জরুরী। এদিকে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সোর্সরা মাদক ব্যবসায়ীদের মামলা হামলার ভয়ে মাদক অধ্যুষিত এলাকায় না আসায় নারী মাদক ব্যবসায়ী সাহিদা, রাশি, রহিমা, আকলিমা, বকুলের বউ, বেবী, রুনা, কারিনা, পারভিন, রানী, শারমিন, মুক্তা, শাবনুরের মাদকপল্লী খ্যাত কেরানীরটেক বস্তিকে দেদারচ্ছে মাদক বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। সেখানে পুলিশের ভূমিকাও নীরব রহস্যজনক কারণে।স্থানীয় বোদ্ধা মহল জানান, বর্তমানে দেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বিস্তার সর্বত্র উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল-সর্বত্রই এখন হাতের নাগালে মিলছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। বিগত বছরগুলোর তুলনায় টঙ্গীর কেরানরিটেক বস্তিসহ বিভিন্ন বস্তি ও আবাসিক এলাকায় প্রকাশ্যে মাদকের বিস্তার ঘটেছে আশঙ্কাজনক। দ্রুত প্রতিকার না হলে যুবসমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন শৃংখলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা দাবি করেন, কেরানীরটেক বস্তিসহ টঙ্গীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে এই রমরমা মাদকের কারবার। আইনশৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন কৌশলে মাদকের কারবার বন্ধে বিভিন্ন অভিযান করে মাদক কারবারিদের হাতেনাতে গ্রেফতার করার পরও অল্পদিনে জামিনে বের হয়ে অদৃশ্য শক্তির বলে আইনশৃংখলা বাহিনীকে তোয়াক্কা না করে ফের চালু করে মাদকের কারবার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »