1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
ঢাকা মেডিকেলের বেশ কিছু অসাধু চিকিৎসক - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:২৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
স্বতন্ত্র সাংসদ ওয়াহেদের বেপরোয়া আট খলিফা চৌদ্দগ্রামে পুকুরের মালিকানা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা ঋণ খেলাপী রতন চন্দ্রকে কালবের পরিচালক পদ থেকে অপসারন দাবি নীরব ঘাতক নীরব লালমাই অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি নিউজ করতে গিয়ে হুমকি, থানায় জিডি বিশ্বনাথের পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সাত কাউন্সিলরের পাহাড়সম অভিযোগ বিশ্বনাথে ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থী’সহ ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল মুখে ভারতীয় পণ্য বয়কট, অথচ ভারতেই বাংলাদেশি পর্যটকের হিড়িক শার্শায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের মহা দূর্নীতিবাজ ডিপ্লোমা মাহাবুব আবার ঢাকা মেট্রো ডিভিশনে!
ঢাকা মেডিকেলের বেশ কিছু অসাধু চিকিৎসক

ঢাকা মেডিকেলের বেশ কিছু অসাধু চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টারঃ

অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারের নামে একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ ২) এর সামনে অনৈতিকভাবে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সেন্টারটির সাথে ঢাকা মেডিকেলের বেশ কিছু অসাধু চিকিৎসক নামে বেনামে জড়িত। হাসপাতালের ইউরোলাজি বিভাগের চিকিৎসক, সহকারী অধ্যাপক ও আবাসিক সার্জন ডাঃ আফজালুল হক রানা উক্ত অসাধু ডাক্তার গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। ডাঃ রানার সাথে জড়িত আছেন নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধাপক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান রিজভী, মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ ইমরান মাহমুদ, নাক কান গলা বিভাগের রেসিডেন্ট ডাঃ মারজুক আল তুহিন, সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ মরতুজা আরেফিন মিশু, নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ মাসরুর সিয়াম সহ আরো বেশ কয়েকজন। তারা নিজশ্ব প্রভাব খাটিয়ে দরিদ্র রোগিদের জোরপূর্বক যে সমস্ত পরীক্ষা ঢাকা মেডিকেলে সরকারিভাবে হয়, সে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা তাদের অথেন্টিক নামক সেন্টারে করতে বাধ্য করছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরত ডাঃ রানার সহযোগী ডাক্তারদের মাধ্যমে রোগীদের ঢাকা মেডিকেলের বাইরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করতে চাপ দিচ্ছে। তাছাড়া, ইউরোলজি বিভাগের বেড না থাকার মিথ্যা অযুহাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আগত রোগিদের অথেন্টিক হাসপাতালে বেশি খরচে যেসব অপারেশান স্বল্পমুল্যে ঢাকা মেডিকেলে হয় সেসব অপারেশন উচ্চমূল্যে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে ডাঃ আফজালুল হক রানা সহকারি অধ্যাপক হয়েও অনৈতিক ব্যাবসার উদ্দেশে আবাসিক সার্জন (ইউরোলজি) পদ দখল করে আছেন যাহা চাকরিবিধি পরিপন্থি। এখানে উল্লেখ্য যে নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রিজভী এবং মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ ইমরান মাহমুদ উক্ত অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে বিকালে চেম্বার করেন এবং তারা সকলে ঢাকা মেডিকেলে আগত রোগিদের ফুসলিয়ে সেখানে বিকালে নিয়ে যায় এবং তাদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করায়।

আর উল্লেখ্য যে ডাঃ রিজভীর চানখারপুলস্থ স্পেশালাইজড আইসিইউ হাসপাতালেও শেয়ার রায়েছে এবং তারা সেখানে অবৈধভাবে মুমূর্ষু রোগি ভাগিয়ে নিয়ে যায়। সম্প্রতি মেডিসিন বিভাগের বেশ কয়েকজন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারকে তারা রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ টাকার জোরে বদলী করে দেয়। বদলীকৃত ডাক্তারদের অপরাধ ছিলো তারা অথেন্টিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা পাঠাতে রাজী ছিলেন না। তাদের স্থলে তারা ডাঃ রানার অনুগত ও অথেন্টিক ডায়গনস্টিকের বেনামী শেয়ারহোল্ডার কিছু নবীন চিকিৎসককে পোস্টিং করায় যারা তাদের অপকর্মের সহযোগী। তারা অন্যান্য ডাক্তার ও হাসপাতালের স্টাফদেরও হুমকি দেয়। গত ২২/০২/২০২২ ইং তারিখে ক্রমিক নং ১৩৯০ বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসে এই বিষয় নিয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হলেও এখনও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে কোন এক অপশক্তির কারনে চলছে অনিয়ম। দৈনিক লাখো কন্ঠের প্রতিনিধির সাক্ষাৎকার কালে ডাঃ রানার নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন তিনি ছাড়াও উক্ত অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে বেশিরভাগ শেয়ার যার নামে রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাঃ মোঃ ইসমে আজম জিকো, তিনি সহকারি অধ্যাপক (নিউরোস্পাইন ও নিউরোসার্জারী) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। যার নাম দুদকের অভিযোগ লিষ্ট এ ঠাই পায় নি। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের লাখো কন্ঠের প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ ইসমে আজম জিকো, তিনি সহকারি অধ্যাপক (নিউরোস্পাইন ও নিউরোসার্জারী) এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তাকে টানা তিন দিন হাসপাতালে উপস্থিত না পেয়ে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে আমাদের প্রতিনিধি। তিনি জানান, ঢাকা ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়াম এ এক সিরাজগঞ্জ জেলার ছাত্রদের নবীনবরন অনুষ্টানে তিনি ব্যস্ত আছেন। আমাদের প্রতিনিধি সেখানে গেলে অনুষ্ঠান শেষে তার সাথে সাক্ষাত করলে, তিনি বিভিন্ন কথার পৃষ্ঠে জানান, তার প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা উল্লিখিত অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে বিনিয়োগ করেছেন এবং আরো জানান এই অথেনটিক ডায়গনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডাঃ রানা। যেখানে সরকারি চাকুরিজীবীদের চাকুরি পেশায় যুক্ত থাকাকালীন অন্য কোন ব্যবসা বা কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ২০১৯ এর বিধি ১৭ অনুসারে নিষেধ রয়েছে, সেখানে ডাঃ রানা তাদের অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টার এর মালিকানা আইনের অন্তর্ভুক্ত না বলে আখ্যা দেন। আসলে এসব কিছুই কোন অপশক্তির প্রভাব খাটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন এসকল অসাধু ডাক্তার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »