1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
পুরান ঢাকায় সাংবাদিকতার পরিচয় ভয়ংকর অপরাধ ! এদের  কেউ কেউ নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেন না ,চলেন ম্যানেজার নিয়ে ! - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১:১১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোলে পাচারকারীর পায়ূপথে পাওয়া গেল ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণেরবার, পাচারকারী আটক বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ইফতার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও দোয়া মাহফিল রাজধানীর খিলগাঁও সবুজবাগ ও মুগদা থানা জুড়ে মাদকের সয়লাব জবিস্থ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে শাকির-তানিম দুর্গন্ধযুক্ত গরুর মাংসে কাপড়ের রং মিশিয়ে করা হয় তাজা লন্ডনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে’র মতবিনিময় ও ইফতার সম্পন্ন নবীনগরে পুকুরে ডুবে দুই চাচাতো বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু মোঃ কায়সার হোসেনে কর্তৃক বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হুমকির অভিযোগ বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
পুরান ঢাকায় সাংবাদিকতার পরিচয় ভয়ংকর অপরাধ ! এদের  কেউ কেউ নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেন না ,চলেন ম্যানেজার নিয়ে !

পুরান ঢাকায় সাংবাদিকতার পরিচয় ভয়ংকর অপরাধ ! এদের  কেউ কেউ নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেন না ,চলেন ম্যানেজার নিয়ে !

মাসুদ রানা জীবন ( বিশেষ প্রতিনিধি )ঃ

বেশ কয়েক বছর ধরে দাম সর্বস্ব গনমাধ্যমের স্টিকার ব্যবহার করে সোয়ারি ঘাট, চকবাজার , ইসলামবাগ এর বিভিন্ন জায়গা , বংশাল , কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের কিছু কিছু এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে ভয়ঙ্কর এই চক্রটি ! তাদের চলাফেরা স্টাইল কথাবার্তার ধরন দেখলে নিঃসন্দেহে মনে হতে পারে এরা কোনো বড় মাপের সাংবাদিক ! এরা মূলত ভিন্ন পেসা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে ,কেউ কেউ সাংবাদিকদের সাথে সখ্যতা থাকার দরুন, দেখতে দেখতে সাংবাদিক বনে গেছেন ! সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের তান্ডব সহিতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের । তাদের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে এলাকার ছেড়েছেন ! যারা আছেন তাদের গুনতে হচ্ছে মাস শেষে মোটা অংকের বখরা ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন ,, সবচাইতে বেশি চাঁদাবাজি হয় সোয়ারি ঘাট এলাকায়. কেরানীগঞ্জ থেকে চকবাজার কিংবা মৌলভীবাজার মালামাল প্রবেশকালে ব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত ! এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও রক্ষা করার জন্য স্থানীয় বেশকিছু মাদকসেবীদের সাথে তাদের সখ্যতা রয়েছে এবং প্রায় শতাধিক ছোট মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ছত্রছায়ায় অদ্যবধি চলছে । চক্রের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও দুই সোর্স বেসরকারি একটি টেলিভিশনের পেশাদার সাংবাদিকদের আত্মীয়’র কখনো’বা পুলিশের বড় কর্মকর্তার আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । ভুক্তভোগী অনেকে দাবি জানিয়েছেন রাত ১১-২ টার দিকেও ব্যবসায়ীদের মাল আটকিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেন তাহলে এরা রিপোর্ট লিখেন কখন ? কোন নিউজ তাদের ছাপা হয় না কিন্তু কেন
? এলাকাবাসীর কয়েকজন বাড়ির মালিক অভিযোগ করেন তাদের হয়রানির কারণে ভাড়াটিয়ারা শান্তিতে বসবাস করতে পারে না । ৮-১০জনের সিন্ডিকেট সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন চায়ের দোকান সহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গিয়ছে । ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ বিনয়ের সহিত প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ,, যেন তারা সাদা পোশাকে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আনা হয় । এদিকে সাংবাদিক নেতাদের কেউ কেউ বলছেন অপসাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ কে এগিয়ে আসতে হবে ।
★ ভুয়া সাংবাদিক চেনার কিছু কৌশলঃ একশ্রেণীর প্রতারক ও ভূয়া ভন্ডদের অপরাধ অপকর্ম থেকে নিরীহ জনসাধারণকে সুরক্ষা করা প্রকৃত সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। কারা প্রকৃত সাংবাদিক কারা ভূয়া সাংবাদিক সে ব্যাপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন সবাগ্রে। যেসব আচরণ, প্রমাণাদি দেখে ভূয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করবেন তার কয়েকটি নমুনা উল্লেখ করা হলো। ১) সাংবাদিকতার বেশভূষা পরিধান করে বুকে-পিঠে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে বিকেল-সন্ধায় কেউ কি আপনার সামনে হাজির হয়েছৈন ? জেনে রাখুন-এ সময়টা সাংবাদিকদের নিজ নিজ অফিসে পিক আওয়ার চলে। এ সময় কোন সাংবাদিককের অফিসের বাহিরে অবস্থান করা দেখে বুঝে নিন তিনি পেশাদার সাংবাদিক নন। ২) সাংবাদিক হিসেবে একাধিক পত্রিকা/একাধিন টিভি চ্যানেল কিংবা একাধিক অনলাইনের আইডি কার্ড ব্যবহারকারীরা নিঃসন্দেহে অপেশাদার-অপসাংবাদিক। চাকরি বিধান অনুযাযী একই স্টাইলের দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কিংবা বেতন তোলা মোটেও বিধি সম্মত নয়। ৩ ) কোন সংবাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রকৃত সাংবাদিক কখনই জোর জবরদস্তি করেন না। তথ্যের জন্য কাউকে ধমক ধামকি, হুমকি কিংবাক ভয়-ভীতি প্রদর্শনকারীরা নিঃসন্দেহে ভূয়া। ৪ ) অশুদ্ধ উচ্চারণ, সন্দেহমূলক কথাবার্তা ও অসংলগ্ন আচরণ পরিলক্ষিত হলে এক টুকরো সাদা কাগজ ও কলমটা এগিয়ে দিয়ে বলুন- তার নাম, পদবী আর কর্মস্থল (কোন হাউসে আছেন ) নামটি ইংরেজীতে শুদ্ধভাবে লিখে দিন। প্রতি বর্ণের ভুলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন। ৫ ) সভ্যতা-ভদ্রতা রক্ষা করেই একবার সাংবাদিক সাহেবকে জিজ্ঞাসা করুন – ৬ মিনিটের মধ্যে একটা সংবাদ লিখুন ।
চলবে………..

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »