১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:০৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
২০০৪ সালের আগে থেকেই দৈনিক নয়া দিগন্তের শেয়ার হোল্ডার ছিলেন নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। একদিকে কাওরান বাজারে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার একটি জমিতেও নাম আছে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন ও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বা ছু রাজাকার এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। এখনও জামায়াতের সাথে সম্পর্ক রাখলেও মুজিবকোর্ট গায়ে দিয়ে থাস আওয়ামী লীগ নেতা বনে গেছেন নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। স্পনীয় (লোহাপড়া) জামায়াত নেতাদের সাথে এখনও মাঝে মাঝে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়। এলাকার তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত আবুদগর ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিণ চলে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাসাটি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত। একইসাথে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত বহু সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের ব্যাংক লুটের টাকায় বর্তমানে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন। নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নামি দামী রং বেরংয়ের ১০/১২টি গাড়ী ব্যবহার করেন। যার একেকটি গাড়ীর দাম দুই কোটি টাকা থেকে ১০ দশ কোটি টাকা মূল্যের। ঢাকা পূর্বাচল তিনশ ফিট এলাকায় জনগিড়ি নামক এক বিশাল বাংলো বাড়ী ও জায়গা জমি আছে। যার আনুমানিক মূল্য তিনশ কোটি টাকার উপরে। এছাড়াও ঢাকার গুলশান, বনানী, বাড্ডা, খিলগাঁও, আরামবাগ, মতিঝিল, ধানমণ্ডি, উত্তরা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আছে শত শত কোটি টাকার জায়গা জমি, বাড়ী ও অসংখ্য প্লট। নোমান গ্রুপের বিরুদ্ধে জঙ্গী স দেবারও অভিযোগ রয়েছে। নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সরাসরি জামায়াতের ডোনার হিসেবে বেশ প্রশংসিত এবং পরিচিত। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের বড় একটা অংশ জামাতের ফান্ডে চলে যায়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ইতোমধে জঙ্গি মদদদাতা এবং অর্থের যোগান দাতাদের একটি তালিকা করেছে যেখানে নাম আছে নোমান গ্রুপের। জামায়াতি প্রতিষ্ঠান ইসলামি ব্যাংকের তথ্য মতে তাদের প্রথম সারির ফ গ্রহিতা নোমান গ্রুপ। এই ব্যাংক বিগত সময়ে জামায়াতের ডোনারদের আর্থিকভাবে স্বছল করার যে প্রয়াস গ্রহ করেছিল তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগি নোমান গ্রুপ।
এই নুরুল ইসলামের ব্যাপারে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য যাচাই করতে যেয়ে রীতিমত অবাক হয়েছেন কারন একসময়ের সামান্য কাপড় বিক্রেতা থেকে আজ দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ীর তকমা লাগিয়ে দিব্যি গোপনে তাদের ধর্মের নামে নৈরাজ্যের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নুরুল ইসলামের বয়স ৫ সন্তান শিা সম্পন্ন করেছেন জামায়াতি ঘরনার প্রতিষ্ঠান থেকে। বিদেশের বিভিন্ন দেশের সাথে তাদের বিনিয়োগের আড়ালে কোটি কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করছেন জুবায়ের ও ফাতেমা নামের দুই সন্তান। জুবায়ের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী এবং নিজের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় দাপিয়ে বেড়ায়। নিজ গ্রাম লোহাগড়ায় বিএনপির আব্দুল আওয়াল মিন্টুর ছোট ছেলের সাথে সার্বনিক থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোমান গ্রুপের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, প্রথমে বুঝতে পারিনি জুবায়ের জামায়াত-শিবির করে।
Leave a Reply