তারিখ লোড হচ্ছে...

টঙ্গী বাসস্ট্যান্ড দখল করে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির চাঁদাবাজি

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী পূর্ব থানার ৫৭নং ওয়ার্ডের টঙ্গী বাজার বাস স্ট্যান্ড দখল করে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির চাঁদাবাজি!

সারাদেশে চলমান রয়েছে, চাঁদাবাজ,দখলবাজদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান তবুও থেমে নেই টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজ আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফির চাঁদাবাজি।

টঙ্গী বাজার বাস স্ট্যান্ডে থেকে আব্দুল্লাহপুর ব্রীজ পর্যন্ত চাঁদাবাজ আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির দখলে।

জানা যায়, টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী-স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছেলের নামে এই চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফির।

টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ডে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসানোর কারনে সর্বক্ষণ জ্যামজট হট্টগোল লেগেই থাকছে,এ যেনো দেখার কেউ নেই।

টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়,মিতালী পাম্পের সামনে থেকে শুরু করে আব্দুল্লাহপুর ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩/৪ শত বিভিন্ন ধরনের দোকান পাঠ বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে ৫০০/৬০০শত টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়াও প্রতিটি ফুটপাতের দোকান থেকে কারেন্টের লাইট জ্বালানোর বাবদ প্রতিদিন নেওয়া হয় ২০০/৩০০ টাকা করে। যদি একদিন লাইটের বিল দেওয়া না হয় তাহলে পরের দিন কারেন্টের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক দোকান মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছেলের নামে আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফি টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড দখল করে প্রতিদিন ফুটপাতের দোকান থেকে লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে।

ভুক্তভোগী ফুটপাতের দোকানদাররা আরো জানায়,প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে ফুটপাতে চাঁদাবাজি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড দখল করে বিভিন্ন ধরনের ভ্যান এবং চৌকি বসিয়ে বাচ্চাদের পোশাক,লুঙ্গির দোকান, পুরাতন কাপড়ের দোকান,প্যার্ন্টের দোকান, মহিলাদের পোষাক,ফলের দোকান, সবজির সহ প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকা করে যাচ্ছে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফি।

এই বিষয়ে কথা বলতে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করতে চাই কোন ভাবেই তা সম্ভব হয়নি।

তবে আমারা জানতে চাই,কে এই টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ছেলে?
তাঁর নামে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফি প্রতিদিন লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে।সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে চলমান পরবর্তী পর্বে সকল তথ্য প্রমানসহ সংবাদ প্রকাশ করা হবে।

এই বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন,আমরা প্রতিদিনই ফুটপাতের দোকান উঠিয়ে দেই কিন্তু কিছু স্হানীয় নেতাদের কারণে ফুটপাত দখলমুক্ত করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। যদি আমরা সঠিক তথ্য প্রমান পাই, তাহলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এর লোপাট কাহিনী!

স্টাফ রিপোর্টার:
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। নিরাপদ পানি সরবরাহের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ণের দায়িত্ব অর্পন করে ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে এর সাথে যুক্ত করা হয় স্যানিটেশন সেবা প্রদানের দায়িত্ব। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যহিত পরে সরকার প্রথমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন পদ্ধতি গুলোর পুনর্বাসনের গুরুত্বারোপ এবং তৎপরবর্তীতে নতুন অবকাঠামো স্থাপন শুরু করে ডিপিএইচই’র মাধ্যমে। একই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ওয়াসার আওতাধীন এলাকা ব্যতীত (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ) সমগ্রদেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত। জনসাধারনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। জনগণের নিকট নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কভারেজের দিক দিয়ে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। পল্লী এলাকার বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস (টিউবওয়েল) ও স্যানিটারী লেট্রিন স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব। তাছাড়া অত্র অধিদপ্তর পল¬ী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মানোত্তোর রক্ষণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদকে ডঅঞঝঅঘ কমিটির মাধ্যমে কারিগরী সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্য পরিচর্যা জোরদারকরণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে। দ্রত নগরায়নের ফলে পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন চহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদা পুরণে অত্র দপ্তর পৌরসভা সমূহের পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মাণ সহ কারিগরী সহায়তার আওতায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করছে। এছাড়া বন্যা , সাইক্লোন, মহামারী ইত্যাদির কারনে সৃষ্ট জরুরী পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার লক্ষ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেটে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। কিন্ত্র এই গওরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু দুর্নীতিবাজ ও অসত প্রকৌশলীর অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকার কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছেন। কাজ না করেই অথবা দায়সারা গোছের কাজ করে ঠিকাদারদের সাথে উন্নয়ন বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লোপাট করা হচ্ছে। এতকরে সরকারের কাংখিত লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না।
এমন একজন দুর্নীতবাজ প্রকৌশলী হলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে পদন্নোতি পেয়ে ৫ বছর মাগুরা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পালনকারী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক। আওয়ামী আমলে মাগুরার গডফাদার এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের মেঝভাই সাচ্চুর মাধ্যমে ভুয়া বিল ভাউচারে লোপাট করেছেন কোটি কোটি টাকা। ৫ আগষ্ট ২০২৪ ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি শাসনামলের পতন হলেও সরকারী সেবামূলক অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখনোই বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। এমনই একজন আওয়ামী সুবিধাবাদী কর্মকর্তা মাগুরা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশল আবু বকর সিদ্দিক। তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদপত্রে অনেক রিপোর্ট প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা। এমন কি মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল াবভাগে দায়িত্বের ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তাকে বিধি মোতাবেক অন্য জেলায় বদলী করা হয়নি।
তার সম্পর্কে খোজখবর নিতে গিয়ে ডজনখানেক অভিযোগ পাওয়াগেছে। এক. তিনি পাশ^বর্তী বিভিন্ন জেলা ধেকে ঠিকাদারী লাইসেন্স সংগ্রহ করে লাইসেন্স মালিকদের সিল স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ঠিকাদারী ব্যবসা করেন। ২. তিনি স্টোরের পুরাতন মালামাল চুরি হয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেন নি। ৩. তিনি সাংবাদিকরা মৌখিকভাবে তথ্য চাইলে দেন না। বলেন তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। ৪, তিনি ঠিকাদারদের কার্যাদেশ প্রদান ও তাদের ওয়ার্কিং কাজের বিল পরিশোধে নানা প্রকার তালবাহানা করেন। ৫% ঘুস না দিলে তিনি কোন চেকে স্বাক্ষর করেন না। ৫. তিনি নিজ অফিসের কর্মচারিদের দিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা করান। ৬. তিনি উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে সুপারভিশন করেন না। ৭. তিনি তার নিজ এলাকার একটি ঠিকাদার সিন্ডিকেট গঠন করে গোটা ৫ বছর দুহাতে সরকারী অর্থ লোপাট করে আসছেন। ৮. তিনি একজন সহকারী প্রকৌশলী হলেও আওয়ামী লীগ আমলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলে মাগুরা জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্বে আসীন হন। ৯. গত ৫ বছর মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দ’ুহাতে টাকা লুটে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ১০. সম্প্রতি ২৪ কোটি টাকার কাজ টেন্ডার কারসাজি করে আওয়ামীমনা ঠিকাদারদের প্রদান করেছেন। মনে প্রাণে তিনি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রান ডোনার এবং শুভাকাংখী। ১১. তিনি মাগুরা জেলার ৪ টি উপজেলায় প্রাইমারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপটিউবয়েল স্থাপনে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। সিডিউল মোতাবেক কোন কাজই করেন নি। কার্যাদেপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের কাজ ক্রয় করে নিয়ে সাব টেন্ডার হিসাবে নিজ অফিসের কর্মচারিদের মাধ্যমে করাচ্ছেন এবং বিল তুলে ভাগ করে নিচ্ছেন। ১২. বিগত আওয়ামী শাসনামলে তিনি মাগুরার সাবেক এমপি মাফিয়াডন সাইফুজ্জামান শিখরের বাড়ীতে নিয়মিত হাজিরা দিতেন। এবং তার মেঝভাই সাচ্চুর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমস্ত কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করতেন। এ ছাড়া ভুয়া বিল ভাউচারে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। ১৩. তিনি ঢাকা এবং রাজশাহীতে প্রচুর সম্পদ নামে-বেনামে ক্রয় করেছেন। এসব সম্পদ ক্রয়ে তিনি আয়কর বিভাগকে সমুদয় তথ্য প্রদান করেন নি। গত ৫ বছরের ওয়ার্ক ফাইলগুলো দুদকের মাধ্যমে নীরক্ষিা করলেই তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ মিলবে বলে দাবী করেছেন মাগুরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা।
উল্লেখিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করার জন্য এবং তাকে মাগুরা থেকে বদলী করার জন্য দাবী তুলেছেন সচেতন মাগুরাবাসী। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এসব মিথ্যা-অপপ্রচার এবং আমার চাকুরীর ক্ষতি করার চেষ্টা। আমি সততার সাথেই দায়িত্ব পালন করছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম