তারিখ লোড হচ্ছে...

রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম থানা কর্ণফুলী হোটেলে চলছে! অসামাজিক কার্যকলাপ

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম থানার, প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ গেষ্ট হাউজ কিংবা আবাসিক হোটেল। আর এসব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা এবং এসব অপরাধের কারনে রাজধানীতে সাধারন মানুষ বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে দ্বাড়িয়েছে।

কারন অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা রাজধানীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় পরে থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম থানাধীন মাজার সংলগ্ন আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ড টানিয়ে হোটেল ম্যাজোর চাঁদের সহযোগীতায় সমাজের অপৃত্তিকর নারী ও মাদক বাণিজ্যে বেপারোয়া হয়ে উঠছে কর্ণফুলী মালিক কর্তৃপক্ষ। যার একটি ফটেজ সংগহ রয়েছে সংবাদ দিগন্তর হাতে। হোটেলটির সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ফ্রেস কিন্তু ভিতরে রয়েছে সামাজ বিরোধী অপৃত্তিকর ঘটনা।

এদিকে হোটেল ম্যানেজার চাঁদ বলেন, ভাই আমারা মালিকের নির্দেশনায় এসব কাজ করে থাকি। কারন আমাদের এটা একটি চাকুরী বলতে পারেন। আর পুলিশ প্রসাশন থেকে শুরু করে সব সেক্টরে ম্যানেজ করে থাকেন মালিক কর্তৃপক্ষ। এসব হোটেলের বৈধতা সম্পর্ক জানতে চাইলে হোটেল ম্যানেজার চাঁদ তার কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি। এসব এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে গড়ে তুলেছেন ভয়াবহ নারী ও মাদক সিন্ডিকেট। তারা আরো বলেন, পুলিশ কয়দিন আমাদের রেড করবে, সময় হলে সবাই ম্যানেজ হবে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা এমনকি ফ্ল্যাট বাসায় সুন্দরী নারীদের সংরক্ষন রেখে সুযোগ সুবিধা বুঝে তাদেরকে দিয়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যবসা করিয়ে থাকেন।

আর এসব ব্যবসার মূল হচ্ছে অর্থ ও সুন্দরী নারী কিংবা মাদক। তাই আপনাদের মত সাংবাদিকরা কোন বিষয় না। এখানে পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন আসে এবং আমাদের নিকট হতে মাসোহারা নিয়ে থাকেন। অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে এসব আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ কারবার। কিন্তু এসব বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানেন না। পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।

পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা।

এবিষয়ে দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে। ইতিপূর্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকটি হোটেলে একাধিক অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করে মামলাও দিয়েছেন। এরপরও এসব অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বিষয় হলো এসব হোটেলগুলো পুলিশ যখন অভিযান চালায় তখন হোটেলের নিয়ন্ত্রনে থানা সিসি ক্যামারায় দেখতে পেরে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে সরে পরে।

এসব হোটেল ঘিরে রয়েছে বড় ধরনের একটি নারী চক্র ও মাদক কারবারী। উক্ত অপরাধীরা সহজ-সরল মেয়েদের উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে হোটেল দুটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে এবং দেশ ও দেশের বাইরে রয়েছে একটি বড় নারী সিন্ডিকেট।

কিন্তু আর যেহেতু এসব আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। সেটি কিন্তু এসব হোটেলের নেই এবং আবাসিক হোটেল পরিচালনার ক্ষেত্রে ডিএমপির কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনার হদিস মিলছেনা এসব অবৈধ হোটেলে। সেটিও ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

নারী পুলিশ সদস্যের মরদেহ ঝুলছিল

স্টাফ রিপোর্টার:

কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর থেকে রুবিনা খাতুন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুবিনা খাতুন কুষ্টিয়া আদালতের জিআরও অফিসের পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

তিনি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার রামনগর গ্রামের আব্দুল শেখের মেয়ে। একই উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা আলাল শেখ (৩০) তার স্বামী। তারা কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘রুবিনা কুষ্টিয়া আদালতে নারী কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন পুলিশ সদস্য রুবিনা। ছেলে-মেয়েরা নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বুধবার ছুটির দিনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে ছিলেন। সারাদিন সহকর্মীরা রুবিনাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে না পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের পরিচিত এক প্রতিবেশীকে ব্যাপারটি জানায়। এরপর ওই প্রতিবেশীর স্ত্রী এসে রুবিনার স্বামীকে জানায়।

তখন স্বামী আলাল জানায়, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সকাল থেকে সে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে আছে। সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানার পর সহকর্মীরা এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে রুবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের স্বামী আলাল শেখ বলেন, ‘আমার স্ত্রী খুব রাগী মানুষ ছিল। একটু রাগ হলেই ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। আজকে সকালের দিকেও তার সঙ্গে আমার রাগারাগি হয়। এরপর সে ঘরের জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে। পরে দুপুরের দিকে সে একটি কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকবার ডাকাডাকি ও মোবাইলে কল করলেও সে সাড়া দেয়নি। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। এরপর সন্ধ্যার দিকে দরজা ভেঙে দেখা যায় তার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

সবা:স:জু- ৫১০/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম