তারিখ লোড হচ্ছে...

জ্বালানি তেল নিয়ে সুসংবাদ

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

আগামী বছর বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ওপেক বহির্ভূত দেশগুলোতে তেলের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধির পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

আইইএ জানায়, ২০২৫ সালে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উত্তোলন হতে পারে। এর প্রধান কারণ চীনের দুর্বল অর্থনীতি। কেননা বিশ্বের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। দেশটির অর্থনীতি সেপ্টেম্বরে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া চীনে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে কমছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। চলতি বছর বৈশ্বিক তেলের চাহিদার ওপর ‘মূল চাপ’ ছিল চীনের চাহিদা।

এদিকে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক ১৩ টি দেশের বাইরের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গায়ানা, আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলে তেলের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশগুলো সম্মিলিতভাবে দৈনিক ১৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির পথে রয়েছে। যা আইইএ–এর তেল ব্যবহার বৃদ্ধির পূর্বাভাসের (প্রতিদিন ৯ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল) চেয়ে বেশি।

অন্যদিকে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তাদের ২২ লাখ ব্যারেল দৈনিক উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে উৎপাদন কোটা বাড়ানোর কাজ শুরু করতে পারে তারা।

তবে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলেও ২০২৫ সালে বৈশ্বিক চাহিদার তুলনায় দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল উদ্বৃত্ত থাকবে। কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে, এটি একটি শিথিল সরবরাহ পরিস্থিতিই স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।

আইইএ জানিয়েছে, মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় ও তার ‘ডু দি বিজনেস’ নীতির ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতি পাল্টাবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রশমন ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা হ্রাস পেতে পারে। এর প্রভাব তেলের বাজারেও পড়বে।

টানা ছয় বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদক হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত আগস্টে দেশটির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দৈনিক রেকর্ড ১ কোটি ৩৪ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

সবা:স:জু-১৩৯/২৪

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে রেখার দেহ ব্যবসা ও নারী পাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ির মিরাজিবাগ এলাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রেখা খাতুন( ৪৫) নামে এক নারী প্রকাশ্য দেহব্যবসা, নারী পাচার এবং মাদককের ব্যবসার চলমান রেখেছেন। সরে জমিনে রেখা খাতুনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় রেখা খাতুনের মাদক দেহ ব্যবসা সহ নারী পাচারে প্রতিনিয়তো যাত্রাবাড়ি সহ আশে পাশের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

তার এই অবৈধ ব্যবসায়ের কারনে ছিন্তাই রাহাজানি সহ কিশোর অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রেখা খাতুনের ক্ষমতার দাপটে যাত্রাবাড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নিই বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় রেখা খাতুন কয়েকজন ক্ষমতাধর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ সহ স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সেল্টারে মরন নেশা ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, আফিন সহ সকল প্রকার মাদকের ব্যবসা, নিজ বাড়িতে মেয়ে রেকে দেহ ব্যবসা ও বিদেশে নারী পাচার দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছেন।
যাত্রাবাড়ি এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান রেখা খাতুনের এই অবৈধ কর্মকান্ড স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, রেখা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে যুবসমাজকে হেরোইন ফেনসিডিল ইয়াবা গাজা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। এছাড়া বিদেশে নারী পাচার নিজ বাড়িতে মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন প্রকার গুরুতর অপরাধের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে ।

রেখা খাতুন যাত্রাবাড়ি এলাকাতে এতোটাই বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে তার ক্ষমতার দাপটে দিন দিন সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

যাত্রাবারি এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, “এখানে প্রতিদিন অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়। আমরা আতঙ্কে আছি এবং দ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা চাই।”

এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী আব্দুল রাজ্জাক রাজ বলেন, বর্তমান সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে হলে রেখা খাতুনের মতো দেহ ব্যবসায়ি, মাদক ব্যবসায়ি সহ নারী পাচার চক্তের সদস্যদের যদি দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হয়,তা হলে বর্তমান যুব সমাজ দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে পরবে, তাই এই সমস্থ মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী, নারী পাচার কারির বিরুদ্ধে প্রশাসন যুবসমাজকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মনে করেন।

এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, “বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম