তারিখ লোড হচ্ছে...

চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি – সম্পাদককে ফাঁসাতে সোশাল মিডিয়ায় ভূয়া পোস্ট

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদককে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার স্বার্থে চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট ও গ্রুপে ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছবি এডিট করে সৈরাচার আওয়ামী লীগের দোষরদের পাশে বসিয়ে চিতলমারী উপজেলা শ্রমীকদলের সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজীর ছবি এডিটিং করে নামে – বেনামের ফেসবুক আইডিতে প্রচার করে আসছে। যা দেখে বাগেরহাট জেলা জুরে বইছে সমালোচনার ঝর।
বাগেরহাট চিতলমারী উপজেলা জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা এই ভুয়া ফেসবুক পোস্ট নিয়ে প্রতিবাদ করলেও থেমে নেই ফেক আইডি থেকে প্রচার প্রচারণা,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের কমিটিকে বিতর্কিত করার লক্ষে এমন ভুয়া প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে বলে জানা যায়।
চিতলমারী উপজেলাতে সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রমিকদলের সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজীকে উপজেলা শ্রমিকদলের পদ পদবী থেকে সরিয়ে নতুন করে কমিটিতে স্থান পেতে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগীতায় সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক সহ পুরো শ্রমিকদলের কমিটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে, বিভিন্ন ভুয়া নামে – বেনামে সেনাক্যাম্পে অভিযোগ, সহ ইউনিয়ন কমিটি বানিজ্য করার মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছেন এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন প্রতারক চক্রের লোকজন।
চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে উপজেলা বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায় তারা দুজন প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।তাদের দুজনকে নিয়ে প্রতিনিয়তো ফেসবুক জুরে যে গুঞ্জন চলছে তার কোনটার বিতরে বিন্দু মাত্র তাদের সম্পৃক্ততা নেই। বাগেরহাট জেলার মতো জায়গাতে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন মামলা হামলার শিকার হয়েছেন, তারা ঠিক মতো বাড়িতে থাকতে পারেনাই।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম নামের এক ছাত্রনেতা প্রতিবেদককে জানান চিতলমারী উপজেলা শ্রমীকদল পূর্নাঙ্গ ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজী প্রচন্ড পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন।তাদের কে নিয়ে আজ যারা এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে তা আসলে দলের দুর্দিনে ছিলেননা, বর্তমান সময়ে দলের একটু ভালো দিক দেখে তারা নিজেরা ফাঁয়দা লুটে নিতে এই গড়হীত কাজ চলমান রেখেছেন, আমরা এই ভূয়া পোস্ট দাতার পোস্টের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি টিপু সুলতান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিগত সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা তো দুরের কথা আমি রাতে বাড়িতে পর্যন্ত ঘুমাতে পারিনাই।আমাদের কে নিয়ে আজ যারা সরযন্ত্র করছে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন দলের দুর্দিনে তারাই আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বিভিন্ন সুযোগ সুভিদা নিয়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজী বলেন, আমি বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি করার কারনে বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি, ঘর বাড়ি ছাড়া হয়েছিলাম তার পরেও উপজেলা শ্রমিকদলের কমিটিকে কোন প্রকার ক্লেম ছাড়াই পরিচালনা করেছি।কখনো সৈরাচারের দোসরদের কাছে মাথা নতো করিনাই, এখন যারা বিভিন্ন ফেক আইডি থেকে ফেসবুকে ভূয়া পোস্ট করার চেষ্টা অব্বাহত রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে অতি শিগ্রই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

ইমিগ্রেশনে ডিএম পণ্য আটকের পর তা নিয়ে বাণিজ্য বুঁদ কর্মকর্তারা

 

শার্শা উপজেলা প্রতিনিধিঃ

বেনাপোল কাস্টমস ইমিগ্রেশনে ডিএম(আটক ব্যবস্থাপনা) পণ্যর চালান বাণিজ্য মেতে উঠেছে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা। বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই নড়ে চড়ে বসেন বেনাপোল কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের আরও ও এআরও দের কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরান, নাঈম ও দিদারুলের গ্রীন সিগনালের প্রকাশ্য সিন্ডিকেট বাণিজ্য। ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা মোকলেছুুর রহমান ও জাহাঙ্গীর দন্ডায়মান হয়ে আটক করতে শুরু করেন ল্যাগেজ পার্টিদের। কিন্তু এত কিছুর পরও টাকার নেশায় আটক পণ্য বাণিজ্য নেশায় বুঁধ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা। একটি গোপন ভিডিওতে দেখা যায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরান ও নাঈম ডিউটি করছেন সেখানে টেবিলে আটকানো বিপুল পরিমান পণ্য এআরও ইমরানের সাথে দাবিকৃত টাকায় বনিবনা হয়ে গেলে টেবিলের নিচে দিয়ে ব্যাগ ছেড়ে দিচ্ছেন সিপাইরা। একই ভাবে আটকানো পণ্য দাবিকৃত অর্থ নিয়ে ছেড়ে দিতে দেখা গেছে দিদারুলের।
চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা একটি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হয়ে ল্যাগেজ বাণিজ্য করছেন। আর বর্তমানে এসব ল্যাগেজ পার্টির হোতাদের মালামাল আটক হলে সরাসরি মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে রফাদফা হয়ে অনায়াসে মাল বের হয়ে আসছে। যা ইমিগ্রেশনের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষন করলে মিলে যাবে। আবার বেশির ভাগ সময় দেখা গেছে আটক ডিএ স্লিপে ৬৭ কেজি মালামাল রয়েছে সেখানে এনজিও কর্মী শাহাজামাল ও সিরাজ মোটা অংকের টাকায় রফাদফা করে ৬৭ কেজির স্থলে পয়েন্ট বসিয়ে ৬.৭ কেজি পণ্য রেখে বাকি পণ্য ছেড়ে দিচ্ছে নাঈম, ইমরান ও দিদারুল। আটককৃত ডিএম স্লিপে কেজির অংক কথায় লেখা না থাকার কারনে এই বিশেষ সুবিধায় মাল ছেড়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। একই ভাবে এসব কর্মকর্তারা রাতে ডিউটি শেষে আটককৃত মালামালের মধ্য থেকে পছন্দকৃত শাড়ি, থ্রীপিস, কসমেটিক্স ব্যাগ ভর্তি করে বাসায় নিয়ে যায়। আর এসব পণ্য ভর্তি ব্যাগ ইমিগ্রেশন থেকে বের করে দেন পার্বতী, অনিমা, হান্নান, মান্নান সহ ভিভিন্ন ল্যাগেজ ব্যবসায়ি। এছাড়াও কয়েকজন সিপাই বিভিন্ন সময় আটককৃত পণ্যের ব্যাগ সরিয়ে ল্যাগেজ ব্যবসায়িদের মাধ্যমে বের করে বর্ডারের দোকানে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেই।

একাধিক ভারত ফেরত যাত্রীদের নিকট থেকে জানা যায়, কাস্টম সুপার জাহাঙ্গীর কর্তৃক ব্যপক হয়রানী ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তারা। মহিলা যাত্রীদেরও গায়ে হাত তুলছেন এই রাজস্ব কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন যে কারনে সে কাস্টম হাউসেও সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার খারাপ আচারণের কারনে তাকে চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে বদলি করা হয়। এছাড়াও বেশি লোকজন দেখলে তার মাথায় সমস্যা হয়, তখন ক্ষিপ্ত হওয়া সহ কি ধরনের আচারন করেন সে বোধ হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলতে পারেন না।
ভারত থেকে আগত পাসপোর্ট যাত্রী এ-০৭৯৭৩৪৯৭ আমিনুল ইসলাম জানান, গত ১৭ই মার্চ তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ১ম বার তিনি ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। ভারত থেকে ফেরার সময় পরিবারের জন্য ঈদের শপিং করে আনেন কিন্তু বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন স্ক্যানে ব্যাগ দেওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ব্যাগ আটক করে চেক করে আমার সাথে থাকা আনিত মালামাল কোন প্রকার ব্যাগেজ সুবিধা না দিয়ে তিনি সকল মালামাল ডিএম করেন। কি কারণে মালামাল ডিএম করছেন বললে তিনি আমার উপর চড়াও হয়ে মারতে আসেন। রাজস্ব কর্মকর্তার এহেন আচারণে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে এমন কর্মকর্তার ডিউটি ঝুঁকিপূর্ন বলে আমি মনে করছি। এছাড়াও বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি নাকি পাসপোর্ট যাত্রীদের গায়ে হাত তোলেন।

ডিএম পণ্য ছাড়ার বিষয়ে এনজিও সিরাজুল ইসলামকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ডিএম পণ্য ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, আমি সুপার স্যার, ক্লার্ক লিংকন ও এআরও স্যারের কথায় মাল ছেড়েছি।
ডিএম পণ্য বাণিজ্য বিষয়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিদারুল আলমকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এসব কথা সত্য নয় এখানে উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা আছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন।
যাত্রী হয়রানির ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের রাজস্ব কর্মকতা জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসা করার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম