তারিখ লোড হচ্ছে...

নেছারাবাদে তিন ইট ভাটার সাত জনকে আশি হাজার টাকা জরিমানা

মোঃ সোহেল মোল্লা নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠী):
নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠী ইউনিয়নের সন্ধ্যা নদীর তীরে অবৈধ মাটি কাটা অবস্হায় ৩ ইট ভাটায় কর্মরত ৭ জনকে ৮০,০০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।১৭ নভেম্বর রোজ রবিবার দুপুর ১:৩০ টায় ২ ইটভাটার পাঁচজনকে পঞ্চাশ হাজার ও বিকাল পাঁচটায় অন্য এক ইটভাটার দুইজনকে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে পনেরো দিন করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারি কমিশনার ভূমি)রায়হান মাহমুদ।সাথে সাথে ১২ টি ট্রলারের মাটি জব্দ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে মজা পুকুর বা খাল বিল বা খাড়ি বা দিঘি বা নদনদী হাওর বাওর বা চরাঞ্চল বা মাটি কাটিতে বা সংগ্রহ করিতে পারিবে না। এই মর্মে ৩ ইট ভাটার ৭জনকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহকারি মোঃ রুবেল মিয়া।জব্দকৃত মাটি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যে স্থান থেকে মাটি কাটা হয়েছিল সেই স্থানে ফেরত পাঠাবার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।সারেংকাঠী ইউনিয়ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তফসিলদার স্থানীয় চৌকিদারও নেছারাবাদ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উক্ত জব্দকৃত মাটি যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান নদী ভাঙ্গন রোধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

আড়াই বছর পর বরগুনা বিএনপির কমিটি ঘোষণা

আড়াই বছর পর বরগুনা জেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বরগুনা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় আড়াই বছর পর বরগুনা জেলার নেতাকর্মীরা ফিরে পেলেন তাদের রাজনৈতিক অভিভাবক। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি দলীয় পত্রে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দলের সাবেক জেলা সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা। সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন। এ ছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে ফজলুল হক মাস্টারকে। তিন সদস্য বিশিষ্ট এই আংশিক কমিটি আজ ঘোষণা করা হয়।

 

কমিটি ঘোষণার পরপরই বরগুনা জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে তারা নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানান।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত বরগুনা জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো.নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জেলা কমিটি ঘোষণা করায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কমিটির মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা ও শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন করা হবে। দলকে জনমুখী ও আদর্শের রাজনীতির মাধ্যমে আরও জনবান্ধন করার আপ্রাণ চেষ্টা অতীতের মতো অব্যহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ এর ২৯ জানুয়ারি মো.নজরুল ইসলাম মোল্লাকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মো. হালিমকে সাধারন সম্পাদক করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’র (বিএনপি) ৬৩ সদস্য বিশিষ্ট বরগুনা জেলা কমিটি দিয়েছিলো দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিন্তু ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর থেকে জেলা কমিটি ছাড়াই পরিচালিত হয় জেলা বিএনপির সকল কার্যক্রম।

নতুন কমিটি ঘোষণা করায় দলীয় শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করছেন জেলা বিএনপির সাধারণ কর্মী  সমর্থকগন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম