১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:৩০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মাসুদ মিয়া ,তারাকান্দা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের খুশি হওয়ার কথা থাকলেও অনেকটা চিন্তার ভাজ তাদের কপালে। এবার শসার বাজারদর ঠিক থাকলে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে শসা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখার আশা করেছিলেন চাষীরা। কিন্তু উৎপাদন বেশি হওয়ায় ও চাহিদা কম থাকায় কৃষকের আশায় অনেকটা ভাটা পড়েছে।
পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে শসার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে চাষিরা ব্যাপক লাভের মুখ দেখলেও এখন অনেকটা লসের মুখ দেখতে হচ্ছে বলে জানান শসা চাষীরা । রমজানের শুরুতে শসার বাজার দর ছিল প্রতিমণ ১৬শ থেকে ২ হাজার টাকা। রমজানের কিছুদিন পর থেকে এখন পর্যন্ত তা অনেকটা নেমে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা মন চলছে। পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে চার থেকে পাঁচ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে শসা।
তারাকান্দা উপজেলার বালিখা,কামারিয়া রামপুর, হরিয়াগাই, গোপালপুর, বানিহালা,চংনাপাড়া,কাকনী এলাকায় সবচেয়ে বেশি শসার চাষ হয়। এসব এলাকা থেকে চাষীরা শসা পাইকারি দরে বিক্রি করার জন্য উপজেলার গোয়াতলা শসার বাজারে নিয়ে আসে।
সরজমিন গিয়ে শসার বাজারে দেখা যায়, সেখানে ব্যাস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। শসা বাছাই,প্যাকেট এবং রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য বাজারে বিক্রির জন্য পাইকাররা ট্রাকে শসার বস্তা তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে ।
স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানায়, কিছুদিন আগেও শশার দাম আকাশচুম্বী থাকলেও এখন তা একদম কম যা কিছুদিন আগেও ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা মন ছিল। এখানকার শসা ঢাকা কারওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম, মিরপুর চাঁদপুর সহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয় বলেও তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়। এ বাজারে প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার মণ শসা কেনা-বেচা হয় ।
তারাকান্দা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে এইবার শসার আবাদ করা হয়েছে।
স্বত্ব © দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ ২০২১
ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।