তারিখ লোড হচ্ছে...

শসার বাম্পার ফলনেও চিন্তার ভাজ কৃষকের কপালে

মাসুদ মিয়া ,তারাকান্দা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের খুশি হওয়ার কথা থাকলেও অনেকটা চিন্তার ভাজ তাদের কপালে। এবার শসার বাজারদর ঠিক থাকলে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে শসা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখার আশা করেছিলেন চাষীরা। কিন্তু উৎপাদন বেশি হওয়ায় ও চাহিদা কম থাকায় কৃষকের আশায় অনেকটা ভাটা পড়েছে।

 

পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে শসার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে চাষিরা ব্যাপক লাভের মুখ দেখলেও এখন অনেকটা লসের মুখ দেখতে হচ্ছে বলে জানান শসা চাষীরা । রমজানের শুরুতে শসার বাজার দর ছিল প্রতিমণ ১৬শ থেকে ২ হাজার টাকা। রমজানের কিছুদিন পর থেকে এখন পর্যন্ত তা অনেকটা নেমে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা মন চলছে। পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে চার থেকে পাঁচ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে শসা।

 

তারাকান্দা উপজেলার বালিখা,কামারিয়া রামপুর, হরিয়াগাই, গোপালপুর, বানিহালা,চংনাপাড়া,কাকনী এলাকায় সবচেয়ে বেশি শসার চাষ হয়। এসব এলাকা থেকে চাষীরা শসা পাইকারি দরে বিক্রি করার জন্য উপজেলার গোয়াতলা শসার বাজারে নিয়ে আসে।

 

সরজমিন গিয়ে শসার বাজারে দেখা যায়, সেখানে ব্যাস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। শসা বাছাই,প্যাকেট এবং রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য বাজারে বিক্রির জন্য পাইকাররা ট্রাকে শসার বস্তা তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে ।

স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানায়, কিছুদিন আগেও শশার দাম আকাশচুম্বী থাকলেও এখন তা একদম কম যা কিছুদিন আগেও ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা মন ছিল। এখানকার শসা ঢাকা কারওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম, মিরপুর চাঁদপুর সহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয় বলেও তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়। এ বাজারে প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার মণ শসা কেনা-বেচা হয় ।

তারাকান্দা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে এইবার শসার আবাদ করা হয়েছে।

 

গাছের পরিচর্যা বৃদ্ধিতে দূর্বার তারুণ্য এর ‘আমরা মালি’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

“আমার যত্নে, আমার গাছ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ‘আমরা মালি’ শীর্ষক বৃক্ষরোপন করে চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী কার্যক্রম সম্পূর্ণ করল।

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, বিকাল ৩ ঘটিকায় চট্টগ্রামে সিআরবি এলাকায় শতাধিক বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে প্রজেক্টটির চলমান আরেকটি পর্ব সম্পন্ন করা হয়। দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করোনা প্রতিরোধক বুথ এর উদ্ভাবক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।

উক্ত অনুষ্ঠানের অতিথির বক্তব্যে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, গাছকে বলা হয় অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। মানুষ, গাছ, প্রাণিকুল সব মিলে একটি বায়বীয় গ্যাসীয় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে, যার মাধ্যমে একে অপরের উপকারার্থে নিবেদিত। কাজেই পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই।পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে একটি দেশের আয়াতনের শতকরা ২৫ ভাগ এলাকায় বনভূমি থাকা একান্ত প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশেজ্ঞগণ মনে করেন। কিন্তু বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় বনাচ্ছাদিত এলাকার পরিমান মাত্র ৭.৭ ভাগ এবং ভুমি এলাকার তুলনায় ১৪ শতাংশ বনাঞ্চল। অতএব বিভিন্ন প্রকার শিল্পের উপকরণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সীমাহীন প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের বৃক্ষের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণে অংশগ্রহণ করা।
তাই গন পর্যায়ে বৃক্ষ রোপন ও সঠিক পরিচর্যা কেবল পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ফলমূল ও বনজ দব্যে দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে না, বরং ব্যক্তি পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে অনুকূল ভুমিকা পালন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতিবছর অন্তত দুটি করে বৃক্ষ রোপণ ও এর সঠিকভাবে পরিচর্যা করা দরকার।

দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রজেক্ট সম্পর্কে বলেন, বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বর্ধন করে না, মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড় তুফানকে বাধা দিয়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাই বৃক্ষকে বলা হয় প্রাণের অগ্রদূত। বর্তমানে বাংলাদেশে বৃক্ষরোপনের সংখ্যা বাড়লেও তা পরিচর্যার দিকে তেমন একটা মনযোগ নেই বললেই চলে। ‘আমরা মালি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানে, কিন্তু এই বহুল প্রয়োজনীয় জিনিসটিকে ঠিকঠাক গড়ে তোলার জন্য দরকার পরিচর্যা।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রবিউল হাসান, হৃদয় হোসেন মল্লিক, মোঃ কামরুল ইসলাম, এইচ এম আলাউদ্দিন, মোঃ এমদাদুল হক মারুফ, এইচ. এ. মোবারক, হাকিমুল ইসলাম সাকিব, সাফায়েত মোর্শেদ,মোবারক উল্লাহসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃত্ববৃন্দ।

language Change
সংবাদ শিরোনাম