তারিখ লোড হচ্ছে...

মাধ্যমিকের দুই শ্রেণির পাঠ্যবই জানুয়ারিতে পাবে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার॥

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক এবং কারিগরি বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথমদিকেই পাঠ্যপুস্তক পাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাশাপাশি ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই শ্রেণিগুলোর জন্য ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৬টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে মোট ৫২৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৭ টাকা ব্যয় হবে। ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিক (বাংলা ও ইরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরি শ্রেণির সাত কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫৯টি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। ১০৭টি লটে ৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এই পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে। এতে মোট ২৮৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৮ টাকা ব্যয় হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) সপ্তম শ্রেণি, দাখিল সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরির সপ্তম শ্রেণির বিনামূল্যের পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৭টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ৯৯টি লটে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে। এতে মোট ২৪০ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৯ টাকা ব্যয় হবে।

সাংবাদিক শামসুজ্জামান এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার শামসুজ্জামানকে আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

শামসুজ্জামানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী,প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে আজ (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির  সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়।

বুধবার (২৯ মার্চ) শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এই মামলা করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান মামলার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মো. গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে শামসকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫৮।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শামসুজ্জামানের প্রস্তুত করা প্রতিবেদন প্রথম আলোতে স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের কারণে বাংলাদেশেসহ বহিঃবিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে একাত্তর টিভির একটি প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে প্রথম আলোর প্রতিবেদন।

এদিকে একই ঘটনায় বুধবার মধ্যরাতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন আবদুল মালেক নামে এক আইনজীবী।

সূত্রঃ রাইজিংবিডি.কম

language Change
সংবাদ শিরোনাম