তারিখ লোড হচ্ছে...

সাবেক ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত

স্টাফ রিপোর্টার:

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধানসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এর আগে, আজ সকাল ১০টার পর পুরোনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে ওই আটজনকে হাজির করা হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা আলাদা অভিযোগ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

৮ কর্মকর্তা হলেন- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ছাড়া বাকি ছয় কর্মকর্তা হলেন– ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বুধবার (২০ নভেম্বর) তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তাদের আনা হবে ট্রাইব্যুনালে।

 

সবা:স:সু-১৪৮/২৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে

ডেস্ক রিপোর্টঃ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের চূড়ান্ত শুনানির চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ও এদিন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী শিশির মনির। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

শুনানি শেষে শিশির মনির বলেন, আজ থেকে ৩৬ বছর আগে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা দিয়েছিল। সেই ফর্মুলার অধীনেই তিনটি নির্বাচন হয়েছিল। এতদিন পরেও সবাই মনে করছেন, এটাই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ফর্মুলা। তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছে, তা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। সংসদীয় কমিটিও এটি বাদ দিতে চায়নি। এক ব্যক্তির ইচ্ছায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

শিশির মনির আরও বলেন, এর ফলে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই বড় ধ্বংস নেমে এসেছে। এখন সবাই আবার এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। যদি নির্বাচনব্যবস্থাকে সঠিকভাবে দাঁড় করাতে হয়, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলাতেই ফিরে যাওয়া জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আদালতের যেকোনো আদেশ যেন জুলাই সনদে প্রস্তাবিত সংস্কার প্রক্রিয়া ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলোচনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। ১৯৯৮ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়, যা ২০০৪ সালে খারিজ করা হয়। পরে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়।

এরপর একই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। পরে এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এছাড়া নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও একই আবেদন করেন।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম