তারিখ লোড হচ্ছে...

নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন

স্টাফ রিপোর্টার:

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‌গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮/১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি সদয় হয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন কমিশনার পদে আরও ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আইন অনুযায়ী, গত ২৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি যাচাই-বাছাই করে ১০ জনের একটি তালিকা বুধবার (২০ নভেম্বর)  রাষ্ট্রপতি দফতরে পাঠান। রাষ্ট্রপতি তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার জনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন।
এদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন গত ৫ সেপ্টেম্বর একযোগে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস নির্বাচন কমিশন শূন্য ছিল।
সবা:স:জু-১৫৫/২৪
স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের অবস্থান কর্মসূচি

স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের অবস্থান কর্মসূচি

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতাঃ সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভুক্তভোগী ৭ জন প্রার্থী। তাদের দাবি, তারা বৈধ প্রার্থী হয়েও নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা পুনঃতদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানান।

ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মোহাম্মাদ মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকার কৃষক সোহরাব জমাদ্দারের ছেলে মো. রাজিব হোসেন (৩১), কানাইপুর ইউনিয়নের রামখন্ড গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৯), রনকাইল গ্রামের রায়হানুল ইসলাম, মাচ্চর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের নূরে জান্নাত সারা, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোহেল রানা, মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ছোন্দাহ গ্রামের শিল্পী খাতুন (২৮) ও সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বল্লভদী গ্রামের লাবনী আক্তার।

প্রত্যেকের অভিযোগ, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম হয়নি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সত্ত্বেও নিয়োগবিধির বাইরে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে, এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ভুক্তভোগী রাজিব হোসেনের চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও তাকে যোগদানে বাঁধা সৃষ্টি করেন সিভিল সার্জন। যোগদানের ক্ষুদে বার্তা পেয়ে গত ১লা জুন যোগদান করতে এলে কোনো কিছু না জানিয়ে তাকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন।

রাজিব হোসেন বলেন, আমাকে যোগদানে বাঁধা দেয়ার পর বিভিন্ন জায়গা আবেদন করেও কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। এতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিভিল সার্জন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না পাব ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।

ভুয়া নাগরিক পরিচয়পত্র দিয়ে অন্য ইউনিয়নে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করেন নূরে জান্নাত সারা। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি এবং মৌখিক পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করি। কিন্তু আমাকে নিয়োগ না দিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার একজন বাসিন্দাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগবিধিতে ইউনিয়নের বাইরে থেকে লোক নেয়ার কথা উল্লেখ নেই। এখানে অবশ্যই অনিয়ম হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

আরেক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেই। ভাবছিলাম আমার চাকরিটা হবে। কিন্তু ফলাফলে দেখি আমার ওয়ার্ডেরই কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এসব নিয়ে অভিযোগ করলেও সিভিল সার্জন এড়িয়ে যাচ্ছেন। একাধিকবার তার কাছে এলে নানা টালবাহান কথা বলছেন। আজ বাধ্য হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি।তাদের দাবি স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক অথবা আমাদের যোগদান করতে দেয়া হোক। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। দ্রুত সমাধান না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামবো আমরা।

গত বছরের ২৫ মার্চ ৯টি ক্যাটাগরিতে শূন্য পদে ১২৯ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ১০৪ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। বিধি অনুয়ায়ী গত ২৩ মে লিখিত ও ২৬ মে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ মে চূড়ান্ত ফলাফলের ঘোষণা করা হয়। এই ফলাফল ঘোষণার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

গত বছরের ২৫ মার্চ ৯টি ক্যাটাগরিতে শূন্য পদে ১২৯ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ১০৪ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। বিধি অনুয়ায়ী গত ২৩ মে লিখিত ও ২৬ মে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ মে চূড়ান্ত ফলাফলের ঘোষণা করা হয়। এই ফলাফল ঘোষণার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম