তারিখ লোড হচ্ছে...

এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার: 

ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি সেনাকুঞ্জে গেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.) এর মাজার জিয়ারত ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিখ্যাত দুই সুফি সাধকের মাজার জিয়ারত শেষে সেদিন রাতেই ঢাকা ফেরেন তিনি, যা ছিল বিএনপি প্রধানের সবশেষ জনসম্মুখে যাওয়ার ঘটনা। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

সবা:স:জু-১৫৭/২৪

অনলাইনে চাকরির ফাঁদ বিকাশে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র

মো: মহিব্বুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার:

ঘরে বসে কাজের লোভ দেখিয়ে বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। “কলম প্যাকেজিং কাজ” বা “হোম প্যাকেজিং জব” নামে অনলাইন ও ফোনকলের মাধ্যমে প্রতারণার এই চক্র সক্রিয় রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

চাকরির প্রলোভনে ফাঁদ: 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ফেসবুক, ইউটিউব ও হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার চালিয়ে চক্রটি ঘরে বসে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়।
প্রথমে তারা ‘রেজিস্ট্রেশন’ বা ‘সিকিউরিটি ফি’ বাবদ বিকাশে ৩৫০ টাকা পাঠাতে বলে। পরদিন তারা জানায়, “পণ্য পাঠানোর জন্য ডেলিভারি চার্জ” হিসেবে আরও ২,০০০ টাকা দিতে হবে— যা রকেট বা নগদে পাঠাতে হয়। টাকা পাঠানোর পরই তাদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।

এক ভুক্তভোগী জানান, “ওরা এমনভাবে কথা বলে মনে হয় সত্যি কোনো কোম্পানি। প্রথমে সামান্য টাকা নেয়, পরে অজুহাত দেখিয়ে আরও নেয়। টাকা পাওয়ার পর আর ফোন ধরে না।”

সানি নামে আরেকজন বলেন, “আমি রেজিস্ট্রেশন করতে ৩৫০ টাকা দিই। পরের দিন তারা বলে, মাল ডেলিভারি দিতে হলে ২,০০০ টাকা দিতে হবে। পাঠানোর পর থেকেই ফোন বন্ধ।”

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:  অচেনা কোম্পানি যদি অগ্রিম টাকা চায়, সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহ করুন, কোম্পানির নাম, ঠিকানা ও ট্রেড লাইসেন্স যাচাই না করে কোনো টাকা পাঠাবেন না এবং  ভুক্তভোগীরা চাইলে ৯৯৯ বা সাইবার ক্রাইম ইউনিটে (cttc.police.gov.bd) অভিযোগ জানাতে পারেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী প্রয়োজন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন প্রতারণা প্রতিদিন বাড়ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনো সচেতন নয়। এসব চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে সহজে টার্গেট তৈরি করে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযান জরুরি বলে মত দেন তারা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম