তারিখ লোড হচ্ছে...

জবিস্থ জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে হারুন-শাকিল

উম্মে রাহনুমা,জবি প্রতিনিধি:

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জামালপুর জেলা কল্যাণের নতুন কমিটি অনুমোদিত হয়েছে। গণিত বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হারুন সভাপতি ও ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকিল খানকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনীত হয় উম্মে রাহনুমা রাদিয়া এবং লু্ৎফর রহমান সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে। জুবায়ের ইসলাম রিয়ন সাংগঠনিক পদে নির্বাচিত হয়েছেন৷ দপ্তর সম্পাদক মুয়ীদ খান, প্রচার সম্পাদক হাসানুর রহমান রাহীম নির্বাচিত হয়েছেন।

উপদেষ্টামণ্ডলী মিয়া রাসেল,হাসিব সরকার, আহসান মল্লিক,মাসুদুল ইসলাম, ফারহান আহম্মেদ রুবেল, শামিম মিয়া,আল- আমিন মিয়া কমিটির অনুমোদন দেন।

উপদেষ্টা মিয়া রাসেল বলেন,জামালপুর জেলা হতে আগত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীর আস্থা ও নির্ভরতার জায়গা হচ্ছে জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ। নবগঠিত কমিটির উপর আস্থা রেখে বলছি আগামী দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জামালপুর জেলাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ।

উপদেষ্টা শামীম মিয়া বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে দলমত নির্বিশেষে জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের কমিটি ঘোষণা করেছি।এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন: শিক্ষা বৃত্তি, আবাসন নিশ্চিত, লিভিং কস্ট নিশ্চিত, টিউশন ব্যবস্থা করা, ক্রীড়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ আরো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

নবনির্বাচিত সভাপতি হারুন বলেন, জেলা ছাত্রকল্যাণ হলো একটি শিক্ষার্থী বান্ধব সংগঠন। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছোটো ক্যাম্পাসে সংকটের অভাব নেই। ছাত্রীদের জন্য একটি হল থাকলেও, ছাত্রদের কিছুই নেই। আর নতুন যারা আসে তারা অনেকেই আর্থিক সমস্যায় ভোগে।তাই নতুনদের জন্য বৃত্তি বা টিউশন ব্যবস্থা এবং আগত সবাই কে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রতি বৃদ্ধিতে কাজ করে যাব। যাতে সিনিয়র-জুনিয়রের মেলবন্ধন ঘটিয়ে জামালপুর ছাত্রকল্যাণ কে জগন্নাথে অন্য ছাত্রকল্যাণের জন্য রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান বলেন, জেলা কল্যাণ একটি স্বেচ্ছাসেবা মূলক সংগঠন। যার মূল লক্ষ্য একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসা। আমার প্রচেষ্টা থাকবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জামালপুর জেলা কল্যাণকে একটি গতিশীল সংগঠনে রূপান্তরিত করা এবং সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। জেলা কল্যাণের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিনিয়র, বন্ধু এবং জুনিয়রদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

নরসিংদীতে আবারো পল্লী বিদ্যুতের হরিলুট, মাঠকর্মী আটক !

মোঃ হাসানুজ্জামান:

বিভিন্ন কারণে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক হয়রানি। তার উপরে যদি বিল কারসাজি করে বাড়ানো হয় প্রতিমাসে, তাহলেতো সাধারণ মানুষের বিপদের অন্ত নেই। এগুলো কোনো মনগড়া গল্প নয়। দেশের বিভিন্ন যায়গার মতো কিছুদিন আগেই নরসিংদির শিবপুরে এমন একটি ঘটনা সরাসরি ধরা হয়। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারও হয়। আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার নরসিংদী সদরের পশ্চিম কান্দাপাড়ায় আলম মৃধা নামে এক গ্রাহকের বাড়িতে ঘটেছে বিল কারসাজির ঘটনা।

ওই বাড়িতে মাত্র একটা ফ্রিজ, একটা ফ্যান, ৩ ওয়াটের একটা বাতি চলে। হাবেজা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মহিলা বসবাস করেন সেখানে। তবে উনি বাড়িতে খুব একটা থাকেন না এমনটাই স্বীকার করেন মিটার রিডার নাজমুল ইসলাম। কারণ তার মেয়ে ও ছেলের বাড়িতেই থাকেন অধিকাংশ সময়। তবুও বিদ্যুৎ বিল মাসে ১০০ ইউনিট !

আটককৃত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী নাজমুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন, “দুইদিন আগে আমি বিল লেখে নিয়ে গেছি। ওই বাড়িতে দুই দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় ১৭ ইউনিট।”

তার কথা অনুযায়ী এক মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কথা ২৫৫ ইউনিট। তাহলে কিভাবে মনগড়া মত বিদ্যুৎ ইউনিট লেখা হয় ১০০ ইউনিট।
জনমনে প্রশ্ন, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ তাদের মনগড়া মত মিটারের ইউনিট থেকে অতিরিক্ত বিল বানিয়ে জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

গত (২৩ জুন) ওই বাড়িতে গতমাসের বিদ্যুৎ বিল ৭০ ইউনিট, তার আগের মাসে ১০০ ইউনিট, এই মাসে পুনরায় ১০০ ইউনিট দেখে সন্দেহ হয় সবার। সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ বিল ১৩৫৩ টাকা। আর জরিমানা সহ ১৩৮৮ টাকা। অবশেষে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠকর্মীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হাজির হন অফিসের কর্তারা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ৫০ হাজার। এর মানে নরসিংদী জেলাতে গ্রাহকের পরিমাণ প্রায় ৮ লক্ষ।

নরসিংদী জেলা থেকে দুর্নীতি করে পল্লী বিদ্যুৎ হাতিয়ে নিচ্ছে জনগণের কোটি কোটি টাকা। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা নরসিংদীর জেলার সচেতন মহলের।

এ বিষয়ে জানতে, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম মনোয়ার মোরশেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম