তারিখ লোড হচ্ছে...

শেষ মুহূর্তে সমঝোতা, বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো

সবজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দিতে একমত হয়েছে ধনী দেশগুলো, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) শেষ মুহূর্তে এই চুক্তি হয়। খবর রয়টার্সের।

সমঝোতা অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এই সহায়তা দেওয়া হবে। ধনী দেশগুলোর জলবায়ু তহবিলে জমা করা অর্থ দিয়ে দরিদ্র দেশগুলো তাদের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করতে এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহার করবে।

এর আগে, ধনী দেশগুলো প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) ডলার জমা দিচ্ছিল। তবে দরিদ্র দেশগুলোর দাবি ছিল এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়। ফলে সম্মেলনের সময় বাড়িয়ে আরো একদিন আলোচনা করা হয়। অবশেষে দরিদ্র দেশগুলোর অনুরোধে ধনী দেশগুলো বছরে ৩০ হাজার কোটি (৩০০ বিলিয়ন) ডলার অর্থায়নে রাজি হয়।

 

সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরির চুক্তিও হয়েছে। এই বাজারে ‘কার্বন ক্রেডিট’ বেচাকেনা করতে পারবে দেশগুলো। দরিদ্র দেশগুলো বৃক্ষরোপণ, বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে ‘কার্বন ক্রেডিট’ অর্জন করতে পারবে।

এর আগে শুক্রবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ এই প্রস্তাব নাকচ করে। তাদের দাবি ছিল, ক্ষতিপূরণ হিসেবে বছরে অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলারের সমঝোতায় পৌঁছায় সব পক্ষ।

এই চুক্তি দরিদ্র দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

 

সবা:স:জু-১৭৬/২৪

মাদক খাইয়ে ১০ নারীকে ধর্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট:

যুক্তরাজ্যের আদালত এক ভয়ংকর যৌন অপরাধী চীনা পিএইচডি শিক্ষার্থী ঝেনহাও ঝোউকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অন্তত ২৪ বছর কারাভোগ না করা পর্যন্ত তিনি মুক্তি পাবেন না।

মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে ঝোউ লন্ডনে তিনজন ও চীনে আরও সাত নারীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করেন।

দক্ষিণ লন্ডনে বসবাসকারী ২৮ বছর বয়সি ঝেনহাও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে দেখা করতেন। পরে মদ্যপান বা পড়াশোনার কথা বলে বাড়িতে ডেকে মাদক সেবন করাতেন। এরপর তিনি অজ্ঞান অবস্থায় নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করতেন।

প্রসিকিউটররা বলছেন, এই ১০ জনের মধ্যে মাত্র তিনজনকে শনাক্ত করা গেছে। পুলিশ আশঙ্কা করছে, আরও বহু নারী তার শিকার হতে পারেন। মামলার রায় ঘোষণার পর এরইমধ্যে ২৪ জন নারী পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

ইনার লন্ডন ক্রাউন কোর্টে রায় ঘোষণার সময় বিচারক রোসিনা কটেজ কেসি বলেন, ‘আপনি একজন অত্যন্ত মেধাবী ও চতুর যুবক। কিন্তু আপনার ভদ্র ও আকর্ষণীয় মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এক ভয়ংকর যৌন শিকারি। আপনি পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের অভিযান চালিয়েছেন।

বিচারক আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের আপনার ভোগের বস্তু হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তাদের প্রতি আপনার আচরণ ছিল নির্মম। এই নির্যাতন তাদের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলেছে।’

বিচারক জানান, ঝোউ নারীদের ওপর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় যৌন আগ্রহ পোষণ করতেন এবং ভুক্তভোগীরা তার কাছে ছিল একটি জটিল খেলার অংশ, যেখানে সম্মতির কোনো মূল্য ছিল না।

চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ডংগুয়ানের বাসিন্দা ঝেনহাও ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। ২০১৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে পিএইচডি করার জন্য পড়াশোনা শুরু করেছিলেন বলে জানা গেছে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম