তারিখ লোড হচ্ছে...

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতার ক্ষমতার দাপটে, ১৫ বছর ঘর ছাড়া অসহায় পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ফরিদপুর জেলা সালথা থানার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁন্দাখোলা গ্রামের মৃত খন্দকার সুজাউদ্দিন এর পুত্র খন্দকার দেলওয়ার হোসেন এর পরিবারটি একুই গ্রামের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমিন খন্দকার এর ক্ষমতার দাপটে জমি জায়গা ঘর- বাড়ি ছেড়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন ১৫ বছর যাবৎ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমিন খন্দকার নিজেকে সাল্থা উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা দাবী করে সাল্থা উপজেলার কয়েকটি পরিবারকে ভিটে ছাড়া করেছেন, গত ১৫ বছর আগে তার নিজ গ্ চাঁন্দাখোলা গ্রামের মৃত খন্দকার দেলওয়ার হোসেন এর অসহায় পরিবারটিকে ভিটেবাড়ি সহ মাঠান জমি নিজ ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোর করে দখল করে নেন।
খন্দকার দেলওয়ার হোসেন এর পরিবারের কাছে থাকা জমির দলিল পর্যাচালনা করে দেখা যায় ২০০৪ সালের জুন মাসের ৯ তারিখে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে তার চাচা মোঃখন্দকার আলাউদ্দিন তার ভাইপো খন্দকার দেলওয়ার হোসেন কে ৬৪১ হাল দাগে,৮৪৯ নং দাগ জমির সারে ৩৩ শতাংশ জমি দান পত্র করিয়া দেন।
খন্দকার আলাউদ্দিন ১০-৬-২০০৫ তারিখে মৃত্যু বরন করলেও তার পরিবার দাবী করেন জমিটি ৮-৮-২০০৫ তারিখে তিনি ফেরৎ নেন,
আসলে একটি ব্যক্তি মৃত্যুর দুই মাস পরে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলো কি করে, আর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল এর মাধ্যমে শর্ত দেখিয়ে জমি ফেরৎ নিলেন কি ভাবে।
জমির মামলাটি ব্যাপারে মহামান্য আদালত যখন পি বিআই কে তদন্ত দিয়েছিলেন পিবিআই সঠিক তদন্ত রিপোর্ট দেলওয়ার হোসেন এর পরিবারের পক্ষে এসেছিলো, যা আমরা দেওয়ারের পরিবারের কাছে থাকা নথি ঘেটে দেখতে পারি।
আমিন খন্দকার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিকে আলাউদ্দিন খন্দকার সাজিয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কিছু অসৎ ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে জমিটি দখল নিয়েছিলেন তিনি, যা সে সময়ে সালথা উপজেলায় তার এই অবিচারের কথা মুহুর্তের ভিতরে ভাইরাল হয়ে যায়।
দির্ঘ ১৫ বছর বাড়ি ছাড়া পরিবারটি আমিন খন্দকারের রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটের কারনে আর প্রবেশ করতে পারেননাই তাদের নিজ আপন ঠিকানায়।
বর্তমানে দেলওয়ারের পরিবারটি সদস্যরা ঢাকার রায়েরবাগ কদম তলী ও নটখোলায় বসবাস করছেন।
বর্তমানে এই পরিবারটি নিজ গ্রামে ফিরতে চান, এবং তাদের জমি জায়গা ফেরৎ পেতে ফরিদপুর প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগে আমিন খন্দকারের বড় ভাই সামীম খন্দকার এই অসহায় পরিবারটির জমি জায়গা বুঝিয়ে দিতে আশ্বাস প্রদান করেছেন, এবং এই পরিবারটিকে কোন প্রকার আইনি সহযোগীতা নিতে নিষেধ করেছেন, যা ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কতা বলার কয়েকটি অডিও ক্লিপ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি সামীম খন্দকারের সাথে তাদের জমি জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বল্লে তিনি সুকৌশলে যমি জায়গা বুঝিয়ে দিতে পারবেনা বলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করে চলেছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।

গুলফাম বকাউলের গনজোয়ারের নেপথ্যের রহস্য !

আজিজুর রহমান বাবু, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি:

নির্বাচন যুদ্ধে একজন শান্তি প্রিয় নাগরিক চায় তাঁর নিজস্ব পছন্দের প্রার্থীকে ইচ্ছার স্বাধীণতায় ভোট প্রয়োগ করে জয়যুক্ত করতে।

উপজেলা নির্বাচন বলেন আর জাতীয় নির্বাচনই বলেন দেশের স্হানীয় সরকারের বিগত নির্বাচনের ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায় জনগণের সেই স্বাধীনতার আবেগ মুখ থুবড়ে নর্দমায় পড়েছিল।

একসময় ভোটারদের বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে ভোট দিলেও কী আর না দিলেও কী ভোটের বাক্স স্বয়ংক্রিয় ভাবেই অদৃশ্য শক্তির হাতে ভরাট হয়ে যাবে । বাস্তবেও তাই হয়েছিল।

একজন স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রকৃত পরিচয় হচ্ছে – আদর্শিক মানুষ।
” একজন সন্মানিত ভোটার দেশের মূল্যবান সম্পদ – যিনি তাঁর রক্তঝরা ঘামে উপার্জিত আয়ের আয়কর প্রদান সহ রাষ্ট্রের সক্রিয় অংশীদার “… বাস্তবে সেই মূল্যায়ন দিতে এলিট শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীরা চরমভাবেই অবজ্ঞা করেছেন। দিনে দিনে চরম অসম্মান চাপা ক্ষোভে পরিনত হয়েছে যার ফলাফলে আজকের এই গনজোয়ার। প্রচন্ড তাপদাহে মিটিং মিছিল, উঠান বৈঠকে গনজাগরণ সৃষ্টি। যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তাঁদের মনে আস্হার জায়গা তৈরি হয়েছে। ইন্জিনিয়ার ওয়াসেল কবির গুলফামের কথা বার্তায় ভরসা খুঁজে পেয়েছেন। আহামরি প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয় নিখাদ আন্তরিকতা আর ভোটারদের আকৃষ্ট করার ঐশ্বরিক সম্মোহনী শক্তিতে নিজকে উপস্থাপনা এবং মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অপার করুণা মানবিক মর্যাদায় উজ্জীবিত করে একনজরে সমান দৃষ্টিতে বুকে টেনে নিয়েছেন। যার ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্য একমাত্র তিনিই অর্জন করেছেন।

নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে নাগরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে যে ভাইরাস ছড়িয়ে বিভক্তকরণের যে নষ্ট গনতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত থাকে তা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর শীতল হয়ে যায়।

আমরা বার বার ভুলে যাই যাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত জাতীয় পার্টি প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সমর্থক এবং একনিষ্ঠ কর্মী তাঁরা কিন্ত রক্ত মাংসেগড়া মানুষ।

তারা যে পেশায়ই জীবিকা নির্বাহ করেন না কেন হতে পারেন তিনি এমপি, মন্ত্রী, সরকারি আমলা, রিকসাওয়ালা, তরকারি বিক্রেতা ইত্যাদি ইত্যাদি কোন ভেদাভেদ নেই। সর্বোপরি তাঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু একেকজন ” গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সন্মানিত ভোটার “। সে হিসেবে সরকার এবং সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা উক্ত ” ভোটার”- কে কতটুকু সখ্যতা আন্তরিকতা দিয়ে সন্মানিত করতে পেরেছি ? উত্তর আসবে… ” না “।

কারণ ভোটারদের টাকাওয়ালারা কখনোই মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন না করে বাজারে কাঁচা পণ্য হিসেবে ধরে নিয়েছেন। টাকা হলেই তাঁদের খুব সহজেই কেনা যায়। প্রার্থীরা নির্বাচনকে একটা বিজনেস প্লাটফর্ম হিসেবে নির্ধারণ করে জনগণকে গোলামির শিকলে আবদ্ধ করে রেখেছেন। পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করলে খুব সহজেই এটির প্রমাণিত সত্যের হিসাব মিলে যাবে।

দীর্ঘ দিনের চাপা ক্ষোভ আর স্বদলীয় পাতি নেতাদের নীরব নির্যাতন সহ্য করে জনপদের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ গুলফাম বকাউলের বিজয়ের অপেক্ষায় অপেক্ষমান। নেতা আসবেন বিজয়ের মালা গলায় নিয়ে মাথায় হাত বুলাবেন পিঠ চাপড়িয়ে বলবেন ” আমি আছি আপনাদের বিপদে আপদে হিংস্রতার প্রতিবাদে সহযাত্রী হয়ে থাকবো সততার শ্লোগানে ন্যায়ের হাতিয়ার হয়ে “।

আবালবৃদ্ধবনিতার এটিই অন্তিম প্রত্যাশা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম