তারিখ লোড হচ্ছে...

দুর্নীতির আতুর ঘর ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিস কর্মকর্তারা দালালদের উপর নির্ভরশীল

সুমনা আক্তার :

ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের সকল কর্মকর্তা দালালদের সাথে আতাত করে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

সহকারী পরিচালক বক্তিয়ার মেট্রো -২ এর পরীক্ষার্থী ও মালিকানা পরিবর্তন শাখার দায়িত্ব আছেন। তার অধীনে ডাটা বেজ অনলাইনে দরখাস্ত করে পাশ করলেও সকল পরীক্ষার্থীকে বিআরটিএ অফিসে ৩ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।সপ্তাহে কম করে হলেও মেট্রো ও জেলা ২ দিন করে পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং দিনে ৫ শত পরীক্ষার্থী হলে মেট্রো ও জেলা মিলে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন লার্নার কার্ড এর জন্য। তাহলে সপ্তাহে ২ হাজার পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা করে ঘুষ নিলে সপ্তাহ শেষে একটি শাখা থেকেই ৬০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয় দালাল ইলিয়াস, হোসেন ও সিলমেকার আলী, সিদ্দিকের মাধ্যমে। প্রত্যেকটা লার্নার কার্ড এর জন্য সহকারী পরিদর্শক জাকিরুল্লাহ এর সহযোগি দালাল সুমনকে দিতে হয় ৩ হাজার টাকা।মালিকানা পরিবর্তন ট্রাক/বাস ৫ হাজার টাকা, সিএনজি ২ হাজার টাকা ও মাইক্রো থেকে ১ হাজার ৫ শত টাকা ঘুষ নেন দালাল ওমর, নাসিম ও হায়দার এর মাধ্যমে।

 

এডি মুসা জেলা বোর্ডের সব কাজ করে। দালাল-আমজাদ, মাসুদ,রেজাউল নাম হাজী সাব, মনিরের মাধ্যমে লার্নার পাস হয়। প্রতিটা লার্নার থেকে ১ হাজার ৮ শত টাকা নেন মনির যার ১ হাজার ৫ শত টাকা দেন অফিসকে ও ৩ শত টাকা নেন মনির। মেট্রোর কার্ড বিতরণ করেন রেজাউল এবং তার সাথে ভাতিজা জিসানকে রাখেন এডি মুসার অধীনে। রুম নম্বর-১১৮ নাম্বার প্লেটের জন্য প্রতি কার্ডে ৩-৪ হাজার টাকা নেন কাইয়ুম ও মাজেদ।মেট্রো বোর্ডে কাজ করে দালাল জাকির ও তার সহকারি সুমন, তুষার।প্রতিদিন ৩ শত জন নবায়ন করলে মেট্রো ও জেলা মিলে সপ্তাহে ৪ দিনে ১২ শত জনকে নবায়ন করা হয়। সে হিসেবে একজনের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা নিলে সপ্তাহে টাকার পরিমান দাঁড়ায় ২৪ লক্ষ টাকা।

সহকারি পরিচালক মোঃ নাদির ১১৬ – নং রুমে মেট্রো- বোর্ড -২ ফিটনেস এর দায়িত্বে আছেন। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারি হারুন, রনি,সেন্টু, মনিষ, ওমর ও সবুজ। হল সহ মাঠে ছয় জন ৬ হাজার টাকা, যার ১ হাজার টাকা সহকারী পরিচালককে দিতে হয়।
৩য় তলা ৩০৯ নম্বর রুম জেলা মালিকানা বদলি শাখা এনায়েত প্রতিটা সিএনজি থেকে ৩ হাজার টাকা করে ঘুষ নেন দালাল ও সহযোগী ফারুক এর মাধ্যমে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নাইট গার্ড মোঃ শামীম হোসেন ফিটনেস শাখা ১০৭ নম্বর রুমে বসে কম্পিউটারে কাজ করছেন। একজন নাইটগার্ড কি তাহলে দিনে ও রাতে ২৪ ঘন্টায় কাজ করেন? এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ারই কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন, কেননা নাইটগার্ড শামীম এর স্থানে নাইটগার্ড হিসেবে ডিউটি করছে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিতে জলিল নামের এক ব্যক্তি । যে লোকটির হাজিরা বা মাসিক বেতন শামীম নিজেই বহন করে থাকেন বলে অনেকের কাছে শোনা যায়। এবিষয়ে সানাউলকে খুদেবার্তা প্রেরন করে কোন মন্তব্য পাওযা যায়নি।

আমতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

বরগুনার আমতলী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের উদয়ন স্কুল সংলগ্ন হাজী বাড়িতে ২৭ জুলাই রবিবার রাতে দুই লাক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া ও জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বসত ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা  জাকির হোসেন ও তার ভাইদের  বিরুদ্ধে।

 

ভুক্তভোগী মাওলানা জহিরুল ইসলাম সালাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পূর্ব শত্রুতা ও ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ও তার লোকজন।  পূর্ব শত্রুতা ও চাদার টাকা না পেয়ে রাতের আঁধারে শতাধিক লোকজন নিয়ে বসত ঘর ভেঙে তুলে নিয়ে যায়। জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

 

প্রতিবেশী তামাত উল্লাহ কুলসুম বলেন, টিন পেটানোর শব্দে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে দেখি অনেক লোকজন ঘর ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। আরেক প্রতিবেশী আশরাফ আলী জানান, রাত ৪টার দিকে ঘর ভাঙ্গার শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখি প্রায় শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ঘর ভাঙচুর করছে, সামনের দিকে আগাতে চাইলে তারা আমাকে আমার ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করে।

 

হালিমা বেগম বলেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  জাকির হোসেন, খবির হোসেন, আসাদুজ্জামান লিটন, মঈন খন্দকার, মোশাররফ হোসেন, হাবিব হাওলাদার সহ অনেক লোকজন নিয়ে তারা হামলা চালিয়ে ঘর ভেঙে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। গেটের সামনে অনেক লোকজন জরো ছিলো।

 

অভিযোগকারীর ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের তিনশত বছরের পুরানো সম্পত্তি আমাদের বাপ দাদাদের। আমার বড় ভাবি অসুস্থ থাকায় বড় ভাই তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যায়  সেই সুযোগে  আমাদেরকে জিম্মি করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শতাধিক লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙে নিয়ে যায়। তারপর জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ আসে ততক্ষণে তারা পালিয়ে যায়। ১০-১২ জনকে চিনতে পেরেছি।  তারা স্থানীয় বিএনপির নেতা।  সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। তারা মোটা আংকের টাকা দাবিও করেন।  টাকা না দেয়ায় তারা রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়।

 

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে তাই তাদের আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম