তারিখ লোড হচ্ছে...

পাঠ্যবইয়ে ঠাঁই পাচ্ছে শহীদ তিতুমীর থেকে মীর মুগ্ধ, আবু সাঈদ,আসাদ ও নূর হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার: 

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ তিতুমীর থেকে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শহীদ মীর মুগ্ধ, আবু সাঈদদের আত্মত্যাগ ঠাঁই পাচ্ছে পাঠ্যবইয়ের পাতায়। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে শহীদ আসাদ ও নূর হোসেনের দেশপ্রেমও। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিগগিরই মাধ্যমিকের পাঁচটি বই ছাপানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে. এম রিয়াজুল হাসান।

প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছিল নভেম্বরেই। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বই বিতরণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নযোগ্য নয়, সে সিদ্ধান্তেই ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে গেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। তবে, এর মধ্যেও কিছু পরিমার্জন ও সংশোধন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাঠ্যবইয়ের কভারে সংযুক্ত হচ্ছে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা প্রতিবাদ-দেশপ্রেমের গ্রাফিতি। থাকছে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তি জেন-জিদের গল্প গাঁথাও। আরো কিছু পরিববর্তন থাকছে পাঠ্যবইয়ে।

এবার ৪১ কোটির বেশি বই ছাপবে এনসিটিবি। গত বছরের তুলনায় যা সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি। ২০১২’র কারিকুলামে ফেরা বড় চ্যালেঞ্জে হয়ে পড়েছে ২০২৬ এ এসএসসিতে বসতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাপানোর সিদ্ধান্তের কথাও জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।

যদিও বছরের প্রথম দিনে সব বই শিক্ষার্থীরা পাবে না, তবে জানুয়ারিতেই সব বই দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করছে এনসিটিবি।

 

সবা:স:সু-২২৩/২৪

জবি শিক্ষার্থীদের প্রতি উপদেষ্টা নাহিদের আশ্বাস

উম্মে রাহনুমা॥

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তীসরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন তিনি। এদিন দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৩ দফা দাবি এবং ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে সচিবালয় এলাকায় শিক্ষাভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী গণপদযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ের অদূরে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
পরবর্তীতে দুপুর পর্যন্ত তাদের শিক্ষাভবন মোড় ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। একই সময় ‘আমি কে, তুমি কে জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম সংগ্রাম, সংগ্রাম’, অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকার’ ছাড়াও বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে বিকেলের দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে আসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের আশ্বাস দেন তিনি। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, জবি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তাদের সব দাবি পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

সবা:স:রা-৮৫/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম