তারিখ লোড হচ্ছে...

আমি এমনই মা যে গামছা দিয়ে ছেলের হাত-পা বাঁধি

স্টাফ রিপোর্টার: 

নতুন নতুন গামছা কিনে রেখেছেন রিনা আকতার। মাঝেমধ্যেই গামছাগুলো দিয়ে তিনি তাঁর অটিস্টিক ছেলে রাইসুল ইসলাম দিনারের হাত-পা বেঁধে রাখেন। তা না হলে ছেলে হঠাৎ রেগে গিয়ে অন্যদের মারধর করে। তখন ওই ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই দিনারকে পাল্টা মারেন। আর সে দৃশ্য সহ্য করতে পারেন না মা।

রিনা আকতার বলেন, ‘আমার ছেলে আমাকে মারে, তা আমি মেনে নিই। কিন্তু যখন ছেলেকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তখন সে হাসপাতালের চিকিৎসক, আনসার সদস্য বা অন্য রোগীদের স্বজন বা সামনে থাকা অন্যদের গায়েও হাত তোলে। মা হয়ে ছেলেকে গামছা দিয়ে যেদিন প্রথম বাঁধি, সেদিন রাতে ঘুমাতে পারিনি। তারপরও মনে হয়, হাত-পা বাঁধা থাকলে ছেলে কাউকে মারবে না, অন্যরাও আমার ছেলেকে মারতে পারবে না। অন্যরা ছেলেকে মারছে, তা আমি সহ্য করতে পারি না।’

রিনা আকতারের বিয়ের ১০ বছর পর রাইসুলের জন্ম। ছেলের চার বছর বয়সে তিনি প্রথম জানতে পারেন ছেলে অটিস্টিক, মনোযোগে ঘাটতি ও আচরণে সমস্যা আছে। অটিজমের সঙ্গে চলতি বছরই মানসিক সমস্যা সিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়েছে, এর সঙ্গে যক্ষ্মাও হয়েছে। বিভিন্ন সময় উত্তেজনা ও অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার কারণে কখনো ছেলের হাত ভেঙেছে, আবার কখনো পা মচকে গিয়েছে। তখন হাসপাতালই ভরসা।

গত সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে রিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ওয়ার্ডে আছেন। আপাতত যক্ষ্মার জন্য তিন মাসের ওষুধের কোর্স শেষ হয়েছে। তবে আরও কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে, তা জানাননি চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের প্রেসিক্রিপশনে রাইসুল অটিজম ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক।

রিনা আকতার বলেন, ‘বলতে গেলে গত ১০ বছর ধরেই কঠিন সংগ্রাম করছি। ঘরের চেয়ে হাসপাতালেই বেশি সময় কাটাতে হচ্ছে। ছেলের দেওয়া আঘাতে আমার সারা শরীরে শুধু জখমের চিহ্ন। গলা টিপে আমাকে উঁচু করে ধরে, তখন দম বন্ধ হয়ে আসে। তারপরও আমি ছেলেকে আঘাত করি না। আমি তো জানি, ছেলে বুঝেশুনে এসব করছে না।’

রিনার যখন সাত বছর বয়স, তখন যক্ষ্মায় তাঁর মা মারা যান। মা মারা যাওয়ার পর বাবা আরেক বিয়ে করেন। বাবা মারা গেছেন পাঁচ বছর হলো। রিনাকে বিয়ের পিঁড়িতে যখন বসতে হয়, তখন তাঁর বয়স ১৪ বছরও হয়নি। অটিস্টিক ছেলের জন্ম দেওয়ায় পরিবার বা স্বজনদের কাছ থেকে তেমন কোনো সহায়তা পাননি রিনা। বরং ছেলে ‘পাগল’, তাকে কেন পাবনার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না, এমন নানা কথা তাঁকে শুনতে হয়।

রিনা বলেন, তাঁর বেঁচে থাকাটা অনেকটা গলায় আটকে যাওয়া মাছের কাঁটার মতো অস্বস্তিকর। কিন্তু ছেলের জন্যই তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে। ছেলের এই পৃথিবীতে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই।

রিনার বিবাহিত জীবন ২৪ বছরের। রাইসুলের বাবা রবিউল ইসলাম সরকারি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। রাইসুলের জন্মের পর রিনা জানতে পারেন, তাঁর স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। সে ঘরে তিনটি ছেলেও আছে। দুই পরিবারের খরচ সামলাতে গিয়ে রাইসুলের বাবাকে হিমশিম খেতে হয়।

তা ছাড়া অটিস্টিক ছেলেকে নিয়ে রিনা ও রবিউলের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। রিনা বলেন, ‘আমি মা, আমি ছেলের রাগ-ক্ষোভ সব মেনে নিই।’

রাইসুল ভাত-মাছের মতো এমন স্বাভাবিক খাবার খেতে পারে না। কেক, জুস, ডাব এমন খাবার খাওয়াতে হয়। এখন শুধু রাতেই ১১টি ওষুধ খাচ্ছে।

রিনা বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি থাকলে খরচ আরও বাড়ে। সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয় চিকিৎসার খরচ নিয়ে। নিজের গয়না যেটুকু ছিল, তা বিক্রি করে দিতে হয়েছে। ফেসবুকের একটি গ্রুপের সদস্য, অচেনা কোনো মানুষ বিভিন্ন সময়ই রাইসুলের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এভাবেই চলছে মা ও ছেলের জীবন।’

রিনা বললেন, ‘আমি কবে একটানা পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি, তা মনে করতে পারি না। অথচ ছেলেকে বাইরে থেকে দেখলে কিছু বোঝার উপায় নেই। ওর ক্ষতবিক্ষত মনটা শুধু আমি কিছুটা অনুধাবন করতে পারি। মাঝেমধ্যে মনে হয়, অজ্ঞান পার্টি ছাড়া আমাকে আর কেউ ঘুম পাড়াতে পারবে না। ফিজিওথেরাপি নিচ্ছি। নিজেকেই মাঝেমধ্যে মানসিক রোগী মনে হয়।’

৩৭ বছর বয়সী রিনা পড়াশোনা বেশি দূর করতে পারেননি। এসএসসি পরীক্ষার আগেই বিয়ে হয়। রিনা বলেন, ‘ছেলে সারাক্ষণই বাচ্চাদের মতো খেলনা গাড়ির জন্য জেদ করে। ছেলের চেহারার দিকে তাকালে এত মায়া লাগে। মনে হয়, ছেলেকে অন্যদের মারের হাত থেকে বাঁচাতে যদি শিকল দিয়েও বেঁধে রাখতে হয়, তা–ই করব। তবু তো ছেলে আমার চোখের সামনে থাকবে। ছেলেকে ছাড়া আমি বেঁচে থাকতে পারব না।’

নখ কাটা, গোসল করা, কাপড় পরা্— ধরনের কাজগুলো রাইসুল আগে নিজেই করতে পারত। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ার পর থেকে এগুলো এখন কিছুই করতে চায় না। এমনকি খেতেও চায় না। তাই রিনার সংগ্রামটা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে।

রিনা আকতারের বয়স যত বাড়ছে, ততই তিনি ছেলেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। তাঁর অবর্তমানে ছেলেকে কে দেখবে? রিনা বলেন, ‘ছেলে আমাকে দেখবে, সে প্রত্যাশা কখনোই করিনি বা করার মতো পরিস্থিতিও নেই। শুধু চাই, ছেলে কিছুটা সুস্থ থাক।’

ছেলের রাগ-জেদ-অস্থিরতা দেখে রিনা নিজেকেও অপরাধী ভাবেন মাঝেমধ্যে। বলেন, ‘আমি এমনই মা যে নিজের হাতে গামছা দিয়ে ছেলের হাত-পা বাঁধি। এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে।’

রাইসুলের রোগ নিয়ে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অটিজমের পাশাপাশি সিজোফ্রেনিয়া বা অন্য কোনো রোগ হলে তখন পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে। এসব ক্ষেত্রে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হবে। একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

 রাইসুল ইসলামকে সহায়তা করতে চাইলে মা রিনা আকতারের বিকাশ (০১৭৩৯–৩১১৫৪৪) নম্বরে অর্থ পাঠাতে পারেন।

 

সবা:স:জু-১৮২/২৪

বাটপার-দালাল সাংবাদিক’র জন্মদাতা কারা?

সাইদুর রহমান রিমন:

কারোর নিজস্ব কোন যোগ্যতা থাকলে, দক্ষতা থাকলে সে কোন দিনই কারোর তোষামোদ কিংবা লেজুড়বৃত্তি করবে না। এটাই স্বকীয়তা। আপনি লিখতে জানলে, অনুসন্ধানী যোগ্যতা থাকলে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় আপনার কদর সর্বত্রই থাকবে।

আপনি যথেচ্ছা সংবাদ লিখবেন, ছাপাবেন, পত্রিকা বের করবেন, আবার ইচ্ছে হলো না বলে নিউজ গায়েব করে দিবেন- এমন স্বেচ্ছাচারিতার অধিকার কে দিল আপনাকে? সংবাদের আইডিয়া, বিষয়বস্তু নির্ধারণ, লেখনী, প্রকাশের সকল ধাপেই যৌক্তিকতা থাকতে হবে। কেনো লিখবো, কেনো লিখবো না তার ব্যাখ্যা থাকা জরুরি। অন্তত নিজের কাছে হলেও এ প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব থাকতে হবে। রাষ্ট্র ও জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট দায়বদ্ধতা নিয়ে সর্বোত্তম বিবেকবানদের পত্রিকা প্রকাশনায় পা ফেলতে হয় – তবেই তা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের মর্যাদা পায়।

কিন্তু আপনার কাছে পত্রিকা প্রকাশ করা কেবলই যদি ব্যবসা হয়ে থাকে, সাংবাদিকতা মানেই যদি হয় দালালি আর বাণিজ্য – তাহলে জেনে রাখুন আপনিই অপসাংবাদিকতার গডফাদার। আপনার পত্রিকা সাংবাদিক নামধারী টাউট, বাটপার আর ঘৃণ্য দালাল তৈরির কারখানা। আপনারাই লুটেরা বেনিয়াদের মত সাংবাদিকতাকে যথেচ্ছা ধর্ষণ করে চলছেন।

টাকা সবার দরকার তাই বলে ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দিয়ে নয়। পত্রিকা বাঁচাতে বিজ্ঞাপন দরকার আছে তাই বলে সাংবাদিকতাকে বিসর্জন দিয়ে নয়, সাংবাদিকতার কাঠামো ধ্বংস করে নয়। কিছু সংখ্যক পত্রিকাই বের হয়েছে যেন বিজ্ঞাপনের ব্যবসা করতে। পতিতা পল্লীর দালালদের মত তারা বিজ্ঞাপন নিয়ে এমনই কামড়া কামড়ি করে তা দেখলে লজ্জা পেতে হয়। ওই পত্রিকাগুলো মফস্বলে শুধু বিজ্ঞাপন ভিক্ষা করতেই সাংবাদিক নিয়োগ করে। তারা জানেই না যে, পত্রিকা বানানো হয় জনস্বার্থে- ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য নয়। ভিক্ষা করে যে ব্যবসা চালাতে হয় সেই ব্যবসা খুলে বসতে কে বলেছে আপনাকে? আসলে পত্রিকাকে পুঁজি করে পেছনে আছে আঁধারের বাণিজ্য, তদবির, অপরাধ, ঠিকাদারি! তা না হলে সিনেমা হল ব্যবসায়ী, ক্লিনিক বাণিজ্যের হোতা, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী, নির্মাণ ঠিকাদার, মুদি দোকানিরাও দলে দলে পত্রিকা ব্যবসা খুলে বসবে কেনো?

সাংবাদিক মানে বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক নন, তিনি সংবাদ সংগ্রাহক, প্রস্তুতকারক, সম্পাদনাকারী। কিন্তু আপনি সংবাদ সংগ্রহ করেন না, লিখেন না- শুধু বিজ্ঞাপনের জন্য দিন রাত ছুটে বেড়ান। এ ধরনের “বিজ্ঞাপনী সাংবাদিকতার” সুযোগ নেই। আপনি পদ পরিবর্তন করে স্বেচ্ছায় বাণিজ্যিক প্রতিনিধি বা কমার্শিয়াল এক্সিকিউটিভ হয়ে যান। কেউ আপনাকে লজ্জা দিবে না, সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না। জেলা উপজেলার প্রতিনিধি হয়েই ইজারাদার হয়ে উঠেন অনেকে। ভাবেন তার খেয়াঘাটে আর কেউ নৌকা ভেড়াতে পারবে না। এই ইজারাদারির সাংবাদিকতা কোথায় পেলেন?

নিজের এলাকায় বড় বড় ঘটনা ঘটছে সেগুলোর কিছুই জানেন না, নিউজও পাঠান না, তারপরেও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন- এতে লজ্জাও হয় না? অখাদ্য নির্লজ্জতা এভাবে সাংবাদিকতা দখল করেছে বলেই আজ সাংবাদিকতার এত দুর্দশা ঘটছে।

পা খোঁড়া, পঙ্গু মানুষের দৌড় প্রতিযোগিতা কিংবা ফুটবল খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। তেমনি চোখে দেখেন না, কানে শোনেন না, চলতে পারেন না টাইপের প্রতিবন্ধীদের জন্য মাঠ সাংবাদিকতা নয়। কোনো নিউজের ব্যাপারে যার উৎসাহ নেই, এলাকা, সমাজ, জনগোষ্ঠী, রাষ্ট্রের প্রতি যার দায়বোধ নেই- সবকিছুতেই দায়সারা গোছের মানুষ হিসেবে অন্য দামী পেশাকে বেছে নিন। অন্য কিছু করার যোগ্যতা নেই অগত্যা আটকে থাকার পেশা সাংবাদিকতা নয়।

একইভাবে অশিক্ষিত, আধা শিক্ষিত আর রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতা কর্মী, অন্ধ সমর্থকদের জন্য সাংবাদিকতা নয়। হ্যা, রাজনৈতিক দল করেও সাংবাদিকতা করতে পারবেন, তবে সংবাদ লেখার সময় আপনাকে দলীয় মতামতের উর্ধ্বে উঠে জনগণের পক্ষে, স্বচ্ছ নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কিন্তু আপনার এমন স্বচ্ছতার গ্যারান্টি কি?

সাংবাদিকতা হচ্ছে সবচেয়ে সচেতন, বিচক্ষণ, মেধাবী মানুষের পেশা। সকল ক্ষেত্রেই তার গঠনমূলক চিন্তা চেতনা থাকতে হবে। কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই, কিন্তু সব বিষয়ে মার্জিন ধারণা থাকা আবশ্যক। তাকে সবজান্তা হতে হবে না। এ কারণে একজন সাংবাদিক প্রতিদিনই কমবেশি ভুল করতে পারেন। তাই বলে এক ভুল দ্বিতীয়বার করার কোনো সুযোগ নেই তার।

আপনার কর্মস্থল যদি হয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন কিংবা টিভি চ্যানেল- তাহলে সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা দ্বিতীয়বার আশা করা অন্যায়। এসব প্রতিষ্ঠানে সবকিছুই করতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, তাই তাগিদ দেয়ার উপায় নেই। অতএব একবারের নির্দেশনায় যথা সময়ে কাজটি সম্পন্ন না করা মানেই হলো আপনি ব্যর্থ।

দায়িত্বশীলদের কথা শুনুন গুরুত্বের সঙ্গে, মনোযোগ সহকারে। আংশিক শুনেছেন, বুঝতে পারেননি কিংবা খেয়াল করেননি- সাংবাদিকতায় তা চলে না। জ্ঞ্যান বিতরণের পরিবর্তে কাজটি নিজে করে দেখানোর নাম হচ্ছে দায়িত্ব। আর সাংবাদিকতায় এই দায়িত্ব’র দাম সবচেয়ে বেশি।

এখন রিপোর্টার হওয়ার আগেই এডিটর হতে চান, আবার নিজেই নিজের নিউজকে যুৎসই কাভারেজ দিতে মেকআপম্যান হয়ে যান মুহূর্তেই। এগুলো ছাড়ুন, এটা পেশাদারিত্ব নয়। অনেকেই আবার পেশাদারিত্ব বলতে কেবলই বেতন ভাতা, সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি বলে ভাবেন। অথচ পেশাদারিত্ব যে দায়িত্ববোধ, নির্দিষ্ট কর্তব্য কাজের অঙ্গীকার, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার শপথ সেগুলো বেমালুম ভুলে যান।

লেখক
সাইদুর রহমান রিমন
অনুসন্ধানী সিনিয়র সাংবাদিক

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম