বিএনপি-জামায়েতর কর্মী নয়ন ভোলা জেলা সেচ্চাসেবকলীগের সম্পাদক হতে মরিয়া!

 

ভোলা প্রতিনিধি।
মোঃ সাইফুল ইসলাম নয়ন! ভোলার চরফ্যাশনে সবাই তাকে জাময়েতের নয়ন নামে চিনেন। পিতা মোঃ খোরশেদ সরদার ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় আওয়ামীলীগের কোনো পদে কোন দিনই ছিলেন না অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মাঝে। বিগত সময়ে বিএনপি-জামাত ও জোট সরকারের আমলে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং এলাকাতে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেন এমন কথা চরফ্যাশনে সকলের মুখে মুখে। এখন তিনি ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার নাম ব্যবহার করে ও অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ভোলা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন অভিযোগ এমন ভোলার আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মাঝে।

একাধিক সূত্রে ও ভোলা জেলার সাবেক ও বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের অভিযোগ এই নয়ন ভোলা জেলার চরফ্যাশন এর স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে কোনদিন যুক্ত ছিলেন না। জীবনে কোনদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করছেন এমন কোন নজির নেই, এমনকি স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলাম (নয়ন) নামে কোন ব্যক্তিকে চিনেন না। এই সাইফুল ইসলাম নয়নের পিতা সহ পরিবারের অন্য কোন সদস্যরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ ও সংগঠনের সাথে জড়িত নেই। তাদের ভাষ্য মতে এই ধরনের জামায়াতের এজেন্ট যদি ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ ও সংগঠনের পদ পায় তাহলে আওয়ামী রাজনীতি নষ্টদের ও জামাতের প্রতিনিধিদের হাতে চলে যাবে।

এদিকে জনমনে শ্রুতি আছে এই সাইফুল ইসলাম (নয়ন) জামাতের নেতা আলী আহসান মুজাহিদ এর নিকটতম আত্মীয় বিবাহ করে জামায়াত নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। সাধারন নেতাকর্মীদের দাবি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নীতিনির্ধারকগন,এবং ভোলা ১,২,৩, ৪ (চারটি) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের এর প্রতি এই ধরনের অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড এবং জনবিচ্ছিন্ন চাটুকার যেনো ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ ও সংগঠনের কোন পদে আসতে না পারে।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম নয়নের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ফোন কল রিসিভ করেন নি।

বাউফলে স্কুল শিক্ষকের উপর হামলা।

 

মুন্নি বেগম,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান (৫০)

রবিবার সকাল বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সর কর্তাব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।আহত জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার কেশাবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা ০৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।

আজ সকাল ৬.৪৫ মিনিটের সময় উপজেলার কেশাবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে।আজ আহতের ভাই মো.আবু বক্কর হাওলাদার বাদী হয়ে একই বাড়ির জাকির, মুশফিকুর, হাসিনা, ফেদে আলী,মিথিলা,জাহানারাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আহতের পরিবার ও বাড়ির অনান্য সদস্য সূত্রে জানা যায়, জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়ির জাকিরের সঙ্গে জাহাঙ্গীর ও আবু বক্করের বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে ফজর নামাজ শেষে পথিমধ্যে গতি রোধ করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জাকির হোসেন ও তার ছেলেসহ পরিবারের সকল সদস্য তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮)ও তার বাড়ির মাসুদ সিকদার (৩০), বড় ভাই আবু বক্কর (৫০),সহ ৩ জন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ও পরে আহতের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিরত আছেন।

আহতের বড়ো ভাই আবু বক্কর বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার কয়েক মাস আগেও আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য আহত করা হয়। হঠাৎ জাকির তার সহযোগীরা রড জিআই পাইপ নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে আমার ভাই, ও মাসুদকে গুরুতর আহত করে। আমি আমার ও আমার ভাইয়ের উপর আক্রমনকারীদের বিচারের দাবি জানাই।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন বলেন, জমি জমার বিরোধের জের ধরে মারামারি ঘটনা ঘটেছে,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম