তারিখ লোড হচ্ছে...

ঝুঁকিপূর্ণ রূপগঞ্জের চনপাড়া-ডেমরা সেতু

স্টাফ রিপোর্টার : 

  • রূপগঞ্জের বালু নদের ওপর নির্মিত চনপাড়া-ডেমরা সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ এলজিইডি সেতুর উভয় পাশে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সাইনবোর্ড দিয়েছে। তারপরেও ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। এতে সেতু ধসে পড়ে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
  • রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জের যোগাযোগের সুবিধার্থে বালু নদের ওপর ডেমরা- রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের চনপাড়া এলাকায় এ সেতু নির্মিত হয়।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতু থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সেতুর পিলার ও রেলিংয়ের রড বেরিয়ে গেছে। সেতুর পিলার ঘেঁষে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করছে। কখনো কখনো বাল্কহেডের ধাক্কায় পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরেও সেতু দিয়ে এখনো ভারী যানবাহন চলাচল করছে। গাড়ি পারাপারের সময় সেতু কেঁপে উঠে। সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে সেতুর এ অবস্থা হলেও তা মেরামত কিংবা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেতুর পাশে নতুন করে আরো একটি সেতু নির্মাণ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা আর হয়ে উঠেনি। নদীতে চলমান ট্রলারের ধাক্কায় সেতুর চারটি পিলার, ভিম ও রেলিংয়ের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে।

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট।

সবা:স:জু- ২১২/২৪

মেঘনায় ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফজলুল করিম মজুমদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোস্যাল মিডিয়াসহ পত্রপত্রিকায় লেখালেখির পরও থামছে না তার দুর্নীতি আর অনিয়ম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ করতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক টাকা আদায় করছেন তিনি। কোনো ইউপি সদস্য বা প্যানেল চেয়ারম্যান অধিক টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করলেও সচিব কোনো কর্ণপাত করছেন না।

গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারি ২নং মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাতেন খন্দকার এবং অত্র ইউনিয়নের ৮ টি ওয়ার্ড মেম্বারদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তরে জমা দেন।

প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বাতেন খন্দকারের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবা গ্রহীতাদের সাথে উনার আচরণ খুবই ঔদ্ধত্যপূর্ণ। বহুবার সতর্ক করার পরেও অসচেতন থেকে কাউকেই তোয়াক্কা করছেন না ইউপি সচিব ফজলুল করিম মজুমদার। আগত সেবা গ্রহীতাদের বাকবিতণ্ডা করে রুম থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সচিবের অনৈতিক আচরণের শিকার শুধু গ্রহীতা নয়, মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সকল সদস্যদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এই সচিবকে নিয়ে ইউনিয়নবাসীসহ সকল সদস্যগণ বিব্রত।

সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে সাম্প্রতিক সময়ে সচিব ফজলুল করিম মজুমদার অত্র ইউনিয়নে অনেক ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও ভিডব্লিউবি কর্মসূচির ভাতার অ্যাকাউন্ট ইউনিয়ন সদস্য গোলাম মোস্তফার নিজ মালিকানায় অত্র ইউনিয়নে স্থাপিত ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকে ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা জমা নিয়ে অ্যাকাউন্ট করতে বাধ্য করেন। যদিও ১০ টাকায় একাউন্ট করার সরকারি আদেশ রয়েছে। সেই আদেশকে তিনি কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে ইউনিয়ন পরিষদে আসা সাধারণ জনগণের সকল প্রকার সনদ, প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদ, চেয়ারম্যান সনদ, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যুর সনদ, জন্ম নিবন্ধন থেকে ইউপি সচিব ফজলুল করিম মজুমদার সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এমনকি এর আগেও তার বিরুদ্ধে সাবেক চেয়ারম্যানরা গণমাধ্যমকে নানান কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, পরিষদের গ্রাম পুলিশদের সাথেও সবসময় অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ পশরা বেগমসহ অন্যান্য গ্রাম পুলিশদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পূর্বেও অভিযোগ দায়ের করেছিলাম কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তার এই সমস্ত আচরণের কারণে আমরাই নয় ইউপি পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

language Change
সংবাদ শিরোনাম