তারিখ লোড হচ্ছে...

রক্ষকই যখন ভক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার: 

নড়াইলে অপহরণের শিকার এক কিশোরীকে উদ্ধারের পর নিজ বাড়িতে রেখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন কালিয়া থানার এসআই মো. আশিকুজ্জামান।

স্বজনরা জানান, নির্যাতিতা কিশোরী ২৭ অক্টোবর অপহৃত হন। এরপর তার বাবা কালিয়া থানায় অপহরণ মামলা করলে তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আশিকুজ্জামান ৫ ডিসেম্বর সাভারের আশুলিয়া থেকে তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জে রাখেন। সেখানেই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে জানান ওই কিশোরী।

শনিবার রাতে নড়াইলের কালিয়া থানার আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জবানবন্দী দেয় নির্যাতিতা কিশোরী। তবে অভিযুক্ত এসআই আশিকুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, দ্রুতই তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হবে।

 

সবা:স:জু-২২৯/২৪

গ্রেফতার এমপি বিপ্লব, ধরা ছোয়ার বাইরে ক্ষমতাধর হারুন শিকদার

গ্রেফতার এমপি বিপ্লব, ধরা ছোয়ার বাইরে ক্ষমতাধর হারুন শিকদার

মাহতাবুর রহমানঃ

গত ২২ জুন রাজধানীর তেজগাঁও থানার মনিপুরী এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি৷ মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের ভাষ্যমতে এমপি বিপ্লবের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ছাত্র জনতার উপর হামলায় তিনটি হত্যাসহ হত্যা প্রচেষ্টার মোট সাতটি মামলা আছে৷

 

সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লব গ্রেফতার হলেও তার অন্যতম দোসর গজারিয়ায় উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতা আমিনুর রহমান হারুন শিকদার আছেন বহাল তবিয়তে৷  এমপি বিপ্লবের অন্যতম ডোনার এবং তার সাথে নুন্যতম তিনটি মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি শত কোটি টাকার মালিক হারুন শিকদার ইতিমধ্যে ম্যানেজ করে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়  কতিপয় বিএনপির নেতাদের অনেককে।

 

হারুন শিকদার শুধু সাবেক এমপি বিপ্লবেরই দোসর ছিলনা, সে ছিল সাবেক মন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা নেছা ইন্দিরার  কথিত সহোদর। তবে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সর্বত্র তার পরিচয় ছিল সাবেক মন্ত্রীর সহোদর হিসেবেই। বিগত  সরকারের আমলে সাবেক মন্ত্রীর ক্ষমতার বদৌলতে একচ্ছত্র মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই হারুন শিকদারের বিরুদ্ধে। মালিক হয়েছে শতশত কোটি টাকার । মন্ত্রীর ক্ষমতার বদৌলতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দরবার পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল এই মানব পাচারকারী  হারুন শিকদার।

 

৫ আগষ্ট ২০২৪ দেশের পটপরিবর্তনে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ১০৩ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা হয়,  সেই মামলার অন্যতম আসামি এই হারুন শিকদার। পল্টন থানা সুত্রে জানা গেছে ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আলতাব খান জনৈক ব্যক্তি একটা মামলা করেন যার মামলা নাম্বার ৬। ধারা ৪০৬/৪২০/৩৮৫/৩৮৬/৪২৭/৩৪ পেনালকোড তৎসহ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/৮ ধারা। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ১০৩ জনকে,  আমিনুর রহমান হারুন শিকদার হলো ৯২ নাম্বার এজাহার ভুক্ত আসামি । এই মামলায় হারুন শিকদার অদ্যবধি কোর্টে হাজির হয়নি তবে বহাল তবিয়তে অফিস করছে রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্র ফকিরাপুলে ।

মানব পাচারকারী ছাড়াও মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ছাত্র জনতার উপর হত্যা প্রচেষ্টার তিনটি মামলার এজাহার ভুক্ত আসাম হারুন শিকদার, তাকে ধরাতো পরের কথা , উল্টো পুলিশের সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এই হারুন শিকদার।  মুন্সিগঞ্জ আদালতের সি আর মামলা নং ৩১০/২০২৫  এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৭০ এতে ১৪২ নাম্বার এজাহার ভুক্ত আসামি হারুন শিকদার, প্রধান আসামি সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লব । সিআর মামলা নল ৪৩২/২০২৫ মোট আসামির সংখ্যার ২৩০ এতে ১৩ নাম্বার এজাহার ভুক্ত আসামি হারুন শিকদার। এই মামলাও প্রধান আসামি সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লব ।

 

আওয়ামিলীগের সকল নেতাকর্মী পলাতক, আবার কেউ কেউ জেল হাজতে  কিন্তু হারুন শিকদার রয়ে গেছে প্রকাশ্যে। তবে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে হারুন শিকদার নিজেকে সেইভ জোনে রাখতে নুন্যতম দুই কোটি টাকা বিলিয়েছে স্থানীয় বিএনপি ও পুলিশ প্রশাসনকে।

 

এই বিষয়ে আরো অধিক অনুসন্ধান করছে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম