জাতীয় ঐক্য কিসের কিসের ভিত্তিতে

স্টাফ রিপোর্টার : 

 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো? শুধুই কী ভারতের আগ্রাসী মনোভাব ঠেকানো? নাকি জাতীয় ঐক্যের মধ্যে দিয়েই দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে চাপে রাখার কৌশলে হাঁটবে রাজনৈতিক দলগুলো।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন ইস্যূতে একাধিকবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে, জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে গত বুধবারের বৈঠককে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দেখা হচ্ছে। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে এক জায়গায় আনার উদ্যোগ। সেই উদ্যোগের মাধ্যমে কী বার্তা দেয়া হয়েছে; প্রশ্ন ছিলো রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে।

তারা বলেন, মত ও পথের ভিন্নতা সত্ত্বেও দেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, এর পেছনেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভূমিকা আছে বলে মনে করেন তারা।

অবশ্য, নির্বাচিত সরকার ছাড়া এমন আগ্রাসী মনোভাব মোকাবেলা কঠিন সেই বার্তাটিও দিতে চেয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোটের নেতারা।

 

সবা:স:জু-২৩০/২৪

ফেসবুক লাইভে এসে ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাব দিলেন হিরো আলম

সোশ্যাল মিডিয়াঃ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্যের জবাব দিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসে তিনি ওবায়দুল কাদের করা মন্তব্যের জবাব দেন।

হিরো আলম বলেন, গত ২-৩ দিন ধরে কিছু দল আমাকে নিয়ে কিছু কথা-বার্তা বলছে। আজকে দেখলাম আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের স্যার আজকে হিরো আলমকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যে, বিএনপি নাকি আমাকে দাঁড় করিয়েছে। আমার কথা বিএনপি কেন আমাকে দাঁড় করিয়ে দেবে? ভোটের দিন বিএনপির কেউ আমার পাশে ছিল? আপনারা কেউ দেখেছেন? আমি স্বতন্ত্ৰ প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছি। আমাকে কেউ দাঁড় করিয়ে দেয়নি।

তিনি বলেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারও বলছেন, এই সরকার নাকি অসহায় হয়ে গেছে। এই সরকার অসহায় হয়েছে কিনা জানি না। তবে আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়ে গেছি, এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে? আমার ভোটের ফলাফল যে কেড়ে নেয়া হলো, এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে? আমি কার কাছে বিচার দেবো? আমি যাদের কাছে বিচার দিচ্ছি তারা তো বিচারের কোনো ফলাফল দিচ্ছে না।

ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলব। সবার বিচারই তো আপনি করেন, আমাদের বাংলাদেশের পুরো বিচার। তাই আমিও আপনার কাছে বিচার দিলাম যে, আমার ভোট সুষ্ঠু মতো হলো, কিন্তু আমার ভোটের ফলাফল সুষ্ঠু মতো রায় দেয়া হলো না কেন? আমি এর বিচার চাই।

তিনি বলেন, আর একটা বিষয় ওবায়দুল কাদের স্যার বলেছেন, হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। এটা ভুল বলেছেন। হিরোকে কেউ কোনোদিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। আমাকে কেউ জিরো বানাতে পারেনি, পারবেও না। এটা আপনি ভুল বলেছেন। হিরো আলম হিরোই আছে। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে, তারাই জিরো হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের স্যার এটাও বলেছেন, হিরো আলম বিএনপির কাঁধে ভর দিয়ে চলছে। আমি বলতে চাই, হিরো আলম কারও কাঁধে ভর করে চলে না। হিরো আলমকে প্ল্যান করে হারানো হয়েছে। হিরো আলম হারার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান তিনি।

লাইভে তিনি বলেন, পার্লামেন্টকে ছোট করা হবে হিরো আলম যেদিন সংসদে যাবে, আমি যখন নমিনেশন কিনি তখন বলা উচিত ছিল আমার কাছে যেন মনোনয়নপত্র বিক্রি করা না হয়। আমি গেলে সংসদ কেন ছোট হবে?

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম