তারিখ লোড হচ্ছে...

নাগরিক সেবাদানে হয়রানি দূর করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, নাগরিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জনগণ যেন কোন প্রকার দীর্ঘসূত্রিতা কিংবা হয়রানির শিকার না হয়।

তিনি আরও বলেন, মানুষকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়ে নাগরিকদের সেবা প্রদান করতে হবে।

রবিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিদর্শন শেষে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নগরবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখছে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, এই স্বপ্নকে সত্যি করে সুন্দর নগর উপহার দিতে এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করতে হবে।

নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেয়া প্রকল্পের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইন্টিগ্রেটেড হয়ে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় অবৈধ দখলকৃত খাল-নদী এবং ফুটপাত পুনরুদ্ধার করতে হবে। নগরবাসীর জন্য খেলার মাঠ ও পার্ক সংস্কার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বপ্নের নগরী বিনির্মাণ করতে হবে।

ডেঙ্গু ও মশক সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর বৃষ্টির মৌসুম দীর্ঘ হওয়ায় ডেঙ্গুর উপদ্রব এখনো দেখা যাচ্ছে। মশক দমন এবং নিধনের জন্য বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এ সমস্যা লাঘব হবে।

জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সরকারি চাঁদা বৃদ্ধি করা হয়নি। এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন তিনি।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিচতলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এর ফটো গ্যালারীর শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

মতবিনিময় সভার শুরুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের (রুটিন দায়িত্ব)ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম।এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  এছাড়াও সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনসিসির সহায়তায় দেশ নিরাপদ জায়গায় এসেছে

স্টাফ রিপোর্টার: 

সাভার থেকে,আলী রেজা রাজু:পাঁচ আগষ্টের পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) যেভাবে সহয়তা করেছে তাতে দেশ এখন একটা নিরাপদ জায়গায় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের বাইপাইল এলাকায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ট্রেনিং একাডেমির একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনসিসি সেনা, নৌ ও বিমান শাখার একদল চৌকষ ক্যাডেটবৃন্দ সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গার্ড অব অনার গ্রহণ ও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন সমাপনান্তে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান বিএনসিসি ট্রেনিং একাডেমিতে বৃক্ষরোপন করেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি বিএনসিসিতে কর্মরত সামরিক অফিসার (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী), বিএনসিসি অফিসার (বিএনসিসিও), প্রফেসর আন্ডার অফিসার (পিইউও), টিচার আন্ডার অফিসার (টিইউও) ও বিএনসিসি ক্যাডেটদের মাঝে তাঁর স্বাগত ভাষণ ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

বক্তব্যের শুরুতে সেনাবাহিনী প্রধান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বিএনসিসি ক্যাডেটসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং গত জুলাই-আগস্ট এর বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলনে সকল ছাত্র জনতার আত্মত্যাগকে। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই সংস্থার সকল সদস্যকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

এর আগে, সকালে কোর অব মিলিটারি পুলিশ সেন্টার (সিএমপি) কোরের বাৎষরিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০২৪ যোগ দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, এ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মোঃ মাসুদুর রহমান, ৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, বিএনসিসি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিএনসিসির সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

 

সবা:স:জু-২০২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম