তারিখ লোড হচ্ছে...

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু মঙ্গলবার

স্টাফ রিপোর্টার: 

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হবে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় এ আয়োজনের।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে এ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এ বছর দেশের ১২৮টি জায়গায় এ ভ্রাম্যমাণ মেলায় থাকবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিনটি গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতে থাকবে ১০ হাজার করে বই। এসব বই ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হবে। প্রতি জায়গায় পাঁচ দিন করে বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা।

এদিন সকালে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মানেই স্মৃতিকাতর হওয়ার প্রসঙ্গ। গণগ্রন্থাগারের সঙ্গে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছিল বই পড়ার অন্যতম জায়গা। বর্তমান সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে সত্যিকারের আলোকিত মানুষ গড়ার পথ সুগম হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বই-ই পারে মানুষের হতাশা দূর করে জীবনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করতে। তাই বইপড়া উদ্যোগের সঙ্গে সব সময় একাত্মতা পোষণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুবিভাগ) নাফরিজা শ্যামা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বই সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারিয়া মাহবুবসহ অন্যরা।

 

সবা:স:জু-২৫৬/২৪

৫জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেন – শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশ

এম এ জব্বার:

পুলিশ সূত্রে জানা যায় – গোপালগঞ্জ জেলার মোঃ জামিল হোসেন, তিনি বডি “স্পা” র কাজ করে থাকেন এবং তিনি অন-লাইনের মাধ্যেমে বিভিন্ন স্থানে গিয়েও এ কাজ করে থাকেন।

ঘটনা সূত্রে : ১৬ জুন রবিবার আনুমানিক রাত ১০ টার সময় তার মোবাইল নাম্বারে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি থেকে তার পেইন থেরাপি দেওয়ার জন্য তাকে ধোলাইপাড় নৌকা ব্রীজের নিচে আসতে বলেন।

পরবর্তীতে নৌকা ব্রীজের নিচে আসলে – অজ্ঞাতনামা ১ জন ব্যক্তি তাকে জুরাইন খন্ডকার রোডে ১টি গলির ভিতর নিয়ে যায়।

উক্ত স্থানে পূর্ব হইতে আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি রাত আনুমানিক ১১টার সময় – শ্যামপুর থানাধীন ৪০২/১/১ পশ্চিম জুরাইন, খন্ডকার রোড, রওশন আরা আহম্মেদ এর বাড়ীতে পঞ্চম তলায়, একটি ফ্রাটে নিয়ে যায়।

পরে আসামীরা তাকে ঐ ফ্লাটে আটকে রেখে মারধর করা সহ বিভিন্ন ভয়ভীত প্রদান করে, তাহার নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবী করে এবং তার সাথে থাকা নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন আসামীরা।

ঘটনা এখানেই শেষ নয় – আসামীরা মোঃ জামিল হোসেন কে জোড় পূর্বক উলঙ্গ করে তার ভিডিও ছবি ধারন করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে জানান এবং তাকে মৃত্যুর হুমকিও দিয়ে থাকেন।

অতঃপর আসামীরা বাদীর সোনালী ব্যাংকের ওয়ালেট এ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড নিয়ে তার একাউন্ট হইতে, আসামীদের একাউন্টে মোট ২লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে নেয়।

পড়ে বাদীর নিকট হইতে আরো টাকা নেওয়ার জোড়পূর্বক করে থাকেন আসামীরা। আসামীরা ২ দিনের মাথায় তাকে ছেড়ে দেন বিভিন্ন হুকমী প্রদান করে।

এক পর্যায়ে বাদী শ্যামপুর থানায় আসামীদের বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন – এ ঘটনার সূত্র ধরে শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশ – আসামী চক্রের ৫জন কে গত ২৫ জুন গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

এ বিষয়ে সবুজ বাংলাদেশ এর প্রতিবেদক’কে তথ্য নিশ্চিত করেন, ডিএমপি ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত আসামীগন পেশাদার চাঁদাবাজ, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদীকে ঘটনা স্থলে নিয়ে, আটক রেখে মারধর করা সহ ভয়ভীত দেখিয়ে চাঁদা, দাবী ও আদায় করে থাকেন।

এসময় আসামীদের নিকট হইতে নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে এবং তাদের আদালতে প্রেরণ করেন – শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম