তারিখ লোড হচ্ছে...

অবৈধ সম্পদ অর্জনে পিছিয়ে নেই নাজির রুবেল

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকা কর অঞ্চল -১২ ও সার্কেল -২ এর প্রধান সহকারি নাজির রুবেল নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
তথ্য মতে, প্রধান সহকারি নাজির (দর্জি) রুবেলের জন্মস্থান কাপাসিয়া,গাজিপুর।
বাবা কাপাসিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছিল।তিনি কর এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এবং অ্যাডভোকেট। একই অফিসে দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করে নাম লিখিয়েছেন কোটিপতির কাতারে, এমন কি বাগিয়ে নিয়েছেন কর এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পদটিও। তার সিন্ডিকেটের বাইরে কেউ কোন কথা বলতে পারেন না। নিয়োগ, বদলি, কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবই নিয়ন্ত্রণ করেন এই রুবেল। কর অঞ্চলই নয়, এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় পুরো এনবিআর এর গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ও নিয়ন্ত্রিত হয় তার ইশারায়। নিজ দপ্তরে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে বিপুল পরিমান সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অনেকের ধারণা। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স/কর কিভাবে কমানো যায়, এর উপায় বাতলে দিয়ে গ্রাহকের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ নেয়ার কথাও শোনা যায় অনেকের মুখে । কমিশনারের খুব কাছের লোক হওয়ায় বেশীরভাগ ফাইল তার হাত হয়ে কমিশনারেে হাতে পৌঁছায়, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিপুল পরিমান অর্থসম্পদের মালিক বনে গেছেন। শোনা যায়, তিনি ল্যান্ড-এর ব্যবসায় পরোক্ষভাবে লগ্নি করেছেন। নিজে দুটি দামি গাড়ি ব্যবহার করেন- যা একজন কমিশনারও করতে পারেন নাই।বিষয়টি নিয়ে সার্কেলের অনেকেই আলোচনা-সমালোচনা করেন। রুবেলের চলাফেরা জীবন যাপন অনেকটাই রাজকীয় স্টাইলের। দামী গাড়িতে চলাফেরা, দামী হোটেলে পদচারণা, স্পর্শ কাতর বিষয়গুলো যে কোনো ব্যক্তির নজরে পড়ারই মত। তার বাবা কাপাসিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন (যদিও তিনি হেরে যান) কিন্তু ওই নির্বাচনে রুবেল বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর অঞ্চল ১২ এর কয়েকজন কর্মচারী বলেন, রুবেল স্যার কে অনেকেই (দর্জি) রুবেল হিসেবে চিনে। আমাদের অফিসে রুবেল স্যারের বাইরে কোন কাজ করার সুযোগ নেই। শুনেছি স্যারের বাবা এলাকায নির্বাচন করেছে সেখানে কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছেন,তার অর্থ সম্পদের অভাব নেই। তারা আর ও বলেন রুবেল স্যারের দুইটা গাড়ি আছে এবং স্বৈরাচারী সরকারের এজেন্ডা হিসেবে কাজ করতেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে নাজির রুবেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সামনে গিয়ে কথা বলার আহবান জানান(চলবে)

যশোরে অ্যাম্বুলেন্স-ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার:

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলাধীন নবীবনগরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—ঝিকরগাছার গদখালী গ্রামের জেহের আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০), সৈয়দপাড়া গ্রামের জামাল সরদারের ছেলে বাবলু (৫৫) ও বামন আলী গ্রামের হাসান ইকবালের শিশু কন্যা রত্না খাতুন (১২)।

এ ছাড়া, নিহত শিশুর বাবা হাসান ইকবাল (৩০) ও মা হালিমা খাতুন আহত হয়েছেন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি যশোর থেকে বেনাপোল অভিমুখী যাচ্ছিল এবং এর বিপরীত দিক থেকে যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ভ্যানটি আসার সময় মুখোমুখি এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ ও নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম