তারিখ লোড হচ্ছে...

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র বর্ণিল অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

জে এম রফিকুল সরকার, আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বানিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে মার্কোপোলো হোটেলের বল রুমে (৭ই ডিসেম্বর) শনিবার বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র নবাগত কমিটির অভিষেক ও তারকা শিল্পীদের পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইলের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শাহীন যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এস এম মোদাচ্ছের শাহ।পরে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র বর্তমান সভাপতি মামুনুর রশীদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের মান্যবর কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

প্রধান অতিথি প্রেসক্লাবের ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে বলেন, এটি যে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন তা চমৎকার এই আয়োজন দেখে বুঝা যায়। পাশাপাশি তিনি প্রেসক্লাবের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের আমিরাতের আইন-কানুন মেনে চলার আহ্বান করেন। এই অভিষেকে বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিষ্ট আইয়ুব ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার ও কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের মহাসচিব মীর আব্দুল আলীম।

জাতীয় প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, ‘আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের নিয়ে তারা কাজ করছে। অতএব তাদের এ যাত্রায় অবশ্যই জাতীয় প্রেসক্লাব পাশে থাকবে এবং দেশে আসলে কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।” এছাড়াও তিনি প্রেসক্লাব ইউএই’র নেতৃবৃন্দের ভুয়সী প্রশংসা করেন।

নবনির্বাচিত বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ সমিতি ইউএই’র সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দুবাই পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা ওমর আফলাতুন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জাকির হোসেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বনামধন্য ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী, দুবাই কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান, ওলংগং ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. জিনাত রেজা খান।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুবাই পুলিশের সিনিয়র অফিসার ক্যাপ্টেন খালেদ আল হাসমি, কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, কাউন্সিলর কাজী ফয়সাল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুবাইয়ের রিজিউনাল ম্যানেজার শাকিয়া সুলতানা, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মীর কামাল, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইয়াকুব সুনিক।

এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার আরও অনেক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

সবা:স:জু-২৬৯/২৪

মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ রিমি

স্টাফ রিপোর্টার:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে জয় পেয়েছেন সিমিন হোসেন রিমি। এবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব পেলেন।

মন্ত্রিসভায় ডাক পেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা।

সিমিন হোসেন রিমি ১৯৬১ সালের ১৯ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা জেলার গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সন্তান। তার স্বামীর নাম মুশতাক হোসেন। তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের বড় বোন।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনে সিমিন হোসেন রিমি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আবারও এই আসন থেকে ২য় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের নভেম্বরে রিমিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ থেকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাজউদ্দীন আহমদের ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমদ খান। এর পর ২০০১ ও ২০০৮ সালে এমপি হন তাজউদ্দীনপুত্র তানজীম আহমদ সোহেল তাজ।

পরে ২০১২ সালের উপনির্বাচন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এমপি হন তাজউদ্দীনকন্যা সিমিন হোসেন রিমি। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য রিমি এবারও আওয়ামী লীগ থেকে পেয়েছিলেন নৌকা প্রতীক।

আর তার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন রিমির ফুফাতো ভাই ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি আলম আহমেদ। কিন্তু রিমির ভোটের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আলম আহমেদ। রিমি নৌকা প্রতীকে ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট। আলম আহমেদের থেকে রিমি ৪৫ হাজার ৬৮৪ ভোট বেশি পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

language Change
সংবাদ শিরোনাম