তারিখ লোড হচ্ছে...

সিলেবাস সংস্কারে রেমিট্যান্স বাড়বে ১০০ বিলিয়ন ডলার

স্টাফ রিপোর্টার: 

গাজীপুরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ্‌ বলেছেন, শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তির সিলেবাস সংস্কারের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আইসিটি সিলেবাস সংস্কার এবং কর্মমুখী শিক্ষার চর্চা শুরু করলে দেশ থেকে বাইরে যাওয়া দক্ষ জনশক্তি অন্তত দ্বিগুণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে পারবে। কোনো ধরনের সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে দেশকে দ্বিতীয় স্থানে উন্নীত করেছেন। গার্মেন্টস শিল্পের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে ফ্রিল্যান্সিং। সম্ভাবনাময় এ শিল্পে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সব দিক থেকে পাশে থাকবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য। গতকাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএসটি)তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেছেন। ড. আমানুল্লাহ্‌ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটির সিলেবাস সংস্কারের কাজ চলমান। এ লক্ষে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিদেশি টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে একাডেমিক আলোচনা শুরু করেছে। এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন ইন্সটিটিউট, ল এবং বিএড কলেজগুলোতে পড়াশোনার মান উন্নয়ন এবং মনিটরিং বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম, গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের সাবেক ডীন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহিদা রফিক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদা জামান, ইন্সটিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধানগণ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. এ. মজিদ। শেষে অতিথিবৃন্দ সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সিবিশন অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

 

সবা:স:জু- ২৮৯/২৪

হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর ঢুকতে পারবে না

স্টাফ রিপোর্টার: 

সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসা নিতে আসা সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এবং হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার একটি হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

গত ১৮ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব উম্মে হাবিবার সই করা এক নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আগত আহতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিতে হবে। সব আহত ব্যক্তির চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে হবে।

এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যদি কেউ চিকিৎসায় অসমর্থ হয়- তবে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তির ওষুধের খরচ সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত বিল-ভাউচার স্বাস্থ্য অধিদফতরে দাখিল করা হলে তা যাচাই করে পরিশোধ করা হবে।

পাশাপাশি চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাউকে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে (দেশে যার চিকিৎসা সম্ভব নয় এবং বিদেশে পাঠানো হলে নিরাময় বা উন্নতি হবে এমন আহতদের) বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ মোতাবেক উপযুক্ত রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট আহত ব্যক্তির আবেদন জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠাতে হবে।

 

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, হাসপাতালে আগত সব উপযুক্ত দর্শনার্থীদের জন্য ভিজিটর কার্ড প্রবর্তন করতে হবে। ভিজিটর কার্ডবিহীন কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতরে বা রোগীর কক্ষে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

 

এ ছাড়া কোনো ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেক চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে রোগী দেখার সময়সূচি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

 

প্রতিটি হাসপাতালে সুশৃঙ্খল চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রিসিপশন ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। অভ্যর্থনা কক্ষে আগত রোগীদের রোগের ধরন অনুযায়ী বাছাইপূর্বক নির্ধারিত চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

 

নির্দেশনায় বলা হয়, হাসপাতালে আগত সেবাপ্রার্থীদের টিকিট কেনার বিষয়টি সুশৃঙ্খল করতে হবে। সম্ভাব্য সব হাসপাতালে এ বিষয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত বা সার্টিফায়েড নয় এমন কোনো ব্যক্তি চিকিৎসা দেওয়ার কোনো পর্যায়েই কোনো হাসপাতালে সংযুক্ত থাকতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

 

language Change
সংবাদ শিরোনাম