তারিখ লোড হচ্ছে...

ফিলিং স্টেশনে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ১

স্টাফ রিপোর্টার: 

লক্ষ্মীপুরে গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে আবারো বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণে আবুল কালাম (২১) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইসলাম মার্কেট এলাকায় আল-মদীনা নামে একটি লোকাল বাসে গ্যাস রিফিলের সময় ফিলিং স্টেশনটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল কালাম লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে ও পেশায় রঙ মিস্ত্রি। আহতরা হলেন- নোয়াখালীর কবির হাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৫০) ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার নাঈমসহ (২৪) তিনজন।

জানা জায়, ঘটনার সময় গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আল মদিনা নামের লোকাল বাসটি গ্যাস রিফিল করছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাথার খুলি উড়ে গিয়ে কালাম মারা যায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় ছুটোছুটি শুরু করেন আশপাশের লোকজন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিহতের মরদেহ ও আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিস্ফোরণে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে একজন মারা গেছেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় ও অন্য দুইজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’

গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন বলেন, ‘বাসটির সিলিন্ডার ত্রুটিযুক্ত ছিল। এজন্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।’

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন মারা গেছেন এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে অন্য একটি বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে তিন জন নিহত হন। আহত হন ৯ জন।

সবা:স:জু- ৩০২/২৪

স্ত্রীর অপরাধে স্বামী ও শিশুকে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর থেকে:

স্ত্রীর অপরাধে নিরপরাধ স্বামী ও তার ৪ মাসের শিশু তোহাকে থানার হাজতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিলের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর, ২০২৩) দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেব’,র স্ত্রী সুমি আক্তার (২৬) তার ভাই দেলোয়ার হোসেনের এনজিওর ঋণের টাকার জিম্মাদার হয়। পরে সেই ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পারায় জিম্মাদার সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় সেই এনজিও কোম্পানি। এরই ধারাবাহিকতায় সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আসে মুরাদনগর থানায়। শুক্রবার বিকেলে মুরাদনগর থানার এসআই আলমগীর ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী সুমি আক্তারকে বাড়িতে না পেয়ে তার অসুস্থ স্বামীকে থানায় নিয়ে এসে ৪ ঘন্টা হাজতে আটকে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে সুমি আক্তার কোলের শিশু তোহাকে নিয়ে থানায় হাজির হলে ছেড়ে দেয়া হয় তার স্বামীকে।

স্বামী আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, যদি কোন ধরনের অপরাধ করে থাকে সেটি আমার স্ত্রী করেছে। তার অপরাধে তো আর আমাকে অসুস্থ অবস্থায় ৪ ঘন্টা থানার হাজতে আটকে রাখতে পারেনা! আমার শিশু কন্যা তোহা কি অপরাধ করেছে? যে তাকেও সারা রাত থানার হাজতের ভিতরে আটকে রাখতে হলো! পুলিশ চাইলে কি আমার স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে থানার ভীকটিমদের রুমে রাখতে পারতো না? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে আইনজীবী ব্লাস্ট (কুমিল্লা শাখা) প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নুরু বলেন, একজনের অপরাধে অন্যজনকে সাজা দিতে পারে না, শিশুদের জন্য আলাদা সেল থাকে, যদি পুলিশ হাজতে শিশুটিকে রাখে তাহলে এটা ঠিক হয়নি।

মুরাদনগর থানার এসআই আলমগীর বলেন, ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য সুমি আক্তারের বাড়ীতে গেলে সে পালিয়ে যায়। এসময় তার স্বামীকে দেখে নেশাগ্রস্ত মনে হওয়ায় ওসি সাহেবকে জানালে তিনি তাকে থানায় নিয়ে আসতে বলেন। পরে তার স্ত্রী থানায় আসলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাকে হাজতে রাখা হয়নি, একটি রুমে রাখা হয়েছিলো।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি সুমি আক্তার ও তার শিশু সন্তানকে থানার হাজতের ভিতরে রাখার বিষয়টি মিথ্যা। কারণ আমার থানায় কোন নারী সেল নেই। তাকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছে। অপরদিকে স্বামীকে তুলে এনে চার ঘন্টা আটকে রাখার বিষয়টিও মিথ্যা। এ ধরনের কোন ঘটনাই মুরাদনগর থানায় ঘটেনি।

মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে, যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম