তারিখ লোড হচ্ছে...

মোদিকে আর চাইছে না আমেরিকা

সবুুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

ভারতে বিজেপির নরেন্দ্র মোদির সরকার যে শুধু দেশেই নয় বিদেশিক চাপেও ধুঁকছে তা এইবার স্পষ্ট হয়ে গেছে। এবার এমনই এক অভিযোগ উঠেছে খোদ নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির পক্ষ থেকে যা শুনে চমকে উঠবেন। ভারতের বন্ধু হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রই আর চাইছে না  নরেন্দ্র মোদিকে।

গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিজেপি দাবি করেছে, এই ষড়যন্ত্রে গণমাধ্যম, তদন্তকারী সাংবাদিক ও বিরোধিনেতা রাহুল গান্ধীও জড়িত রয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গও জড়িতের অভিযোগ উঠে। এই ষড়যন্ত্রের অর্থায়ন করছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলে অভিযোগ করে বিজেপি।

বিজেপির মুখপাত্র সন্বিত পাত্র বলেন, ভারতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা (ডিপ স্টেট)। ডিপ স্টেটের হয়ে কাজ করছে জর্জ সরোস নামে মার্কিন বিলিনিয়র। এই অভিযোগের পর ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও খারাপ হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিজেপির দাবি, এই মামলা ভারতের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং ভারতীয় নেতৃত্বকে অস্থিতিশীল করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণার অংশ।

বেশ কয়েকমাস থেকেই ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক রাখাকে ভালোভাবে নেয়নি বাইডেন প্রশাসন। এই নিয়ে ভারতের বেশ কিছু কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র অর্থ দপ্তর। এছাড়াও গত মাসে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি যুক্তরাষ্ট্রে ২৬৫ বিলিয়ন ডলারের ঘুস কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ার পর এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এটি মোদির অবস্থানকে একেবারে নড়বড়ে করে দেয়। গৌতম আদানির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে মোদির। পারস্পারিক সহায়তায় লাভবান দুজনেই। তাই আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মামলার পর মোাদিকে জেঁকে বসেছে বিরোধী দলগুলো।

 

সবা:স:জু- ৩০৩/২৪

গুহা থেকে দুই শিশুসহ নারীকে উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের কর্নাটকের গোকর্ণে রামতীর্থ পাহাড়ের এক প্রত্যন্ত ও বিপজ্জনক গুহায় দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে বসবাস করছিলেন এক রাশিয়ান নারী। গত ৯ জুলাই বিকেলে টহলরত পুলিশ দল এই ঘটনা উদঘাটন করে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

গোকর্ণ থানার ইন্সপেক্টর শ্রীধর এস আর ও তার টিম পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাহাড়ি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় জঙ্গলের গভীরে, ভূমিধস-প্রবণ এক গুহার নিকট নড়াচড়া লক্ষ্য করে তারা এগিয়ে যান। গুহার ভেতরে পাওয়া যায় রাশিয়ান নারী নিনা কুটিনা (৪০), তার মেয়ে প্রেমা (৬ বছর ৭ মাস) এবং আমেকাকে (৪ বছর)।

জিজ্ঞাসাবাদে নিনা জানান, তিনি গোয়া থেকে গোকর্ণে এসেছেন আধ্যাত্মিক নির্জনতার খোঁজে। শহরের কোলাহল এড়িয়ে ধ্যান ও প্রার্থনায় নিমগ্ন থাকার লক্ষ্যে তিনি গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে পুলিশ ও প্রশাসন শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। পরে তাদের উদ্ধার করে পাহাড় থেকে নিচে নামানো হয়।

নারীর অনুরোধে তাকে ও তার মেয়েদের স্থানান্তরিত করা হয় কুমতা তালুকের বান্ধিকোডলা গ্রামের একটি আশ্রমে, যেটি পরিচালনা করেন ৮০ বছর বয়সী সন্ন্যাসিনী স্বামী যোগবত্ব সরস্বতী।

উল্লেখ্য, যেখানে গুহাটি অবস্থিত, সেই রামতীর্থ পাহাড়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বড় একটি ভূমিধস ঘটে এবং এটি বিষাক্ত সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।

তদন্তে জানা যায়, শুরুতে পাসপোর্ট ও ভিসার তথ্য জানাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন নিনা। পরে পুলিশ ও কল্যাণ কর্মকর্তাদের বোঝানোর পর তিনি জানান, তার নথিপত্র বনের মধ্যে হারিয়ে গেছে। বন বিভাগ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম