তারিখ লোড হচ্ছে...

মনোহরগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: 

কুমিল্লা ৯ (লাকসাম – মনোহরগঞ্জ) এর মনোহরগঞ্জে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে লাল সবুজের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। সে দিনটিকে স্মরণ করে ১১ ডিসেম্বর বুধবার মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহরিয়া ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন, মনোহরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে, মনোহরগঞ্জ উপজেলা সাবেক কমান্ডার রফিকুল ইসলাম।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফেরদৌস আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আবু ইউসুফ, সদস্য সচিব জিএম আহসান উল্লাহ, উপজেলা কৃষি অফিসার সোহরাব হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম পাঠান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তানভির আহমেদ, উপজেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা আবু বক্কর মিয়াজী, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, শওকত আলীসহ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

 

সবা:স:জু- ৩২৬/২৪

ধরাছোঁয়ার বাইরে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের অন্যতম দোসর এ প্লাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তমিজউদ্দিন সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম। কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের অধিবাসী এ প্লাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই ব্যক্তির ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার খায়েশ ছিল দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার জন্য দীর্ঘ ১০ বছর দলের সন্ত্রাসী গুন্ডা পান্ডাদের পিছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ সারা বছর বরাদ্দ থাকত তার নামে। সেখানে বসেই চৌদ্দগ্রামের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে মিটিং করতেন। বিএনপি-জামাতের কাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে, কাদের বাড়ি ঘর জ্বালাতে হবে, এ সমস্ত দিক নির্দেশনা দিতেন এলাকার সন্ত্রাসীদের। ২০২৪ এর ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু বিধিবাম। আওয়ামী লীগ নমিনেশন দেয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক কে। মুজিবুল হক নমিনেশন পাওয়ায় তমিজ উদ্দিন সেলিম রাতারাতি মুজিবুল হকের নৌকায় উঠে পড়েন। মুজিবুল হক কে নির্বাচনের জন্য দশ কোটি টাকা দেন। বিনিময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের ভাইকে মুজিবুল হককে দিয়ে আওয়ামী লীগের টিকেট পাইয়ে দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুজিবুল হকের সন্ত্রাসীদের সাথে একযোগে কাজ করার জন্য নিজের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দেন। ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের বিপ্লবে ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার জন্য নিজস্ব গুণ্ডা বাহিনীকে কোটি কোটি টাকা আর অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন। ৫ ই আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুজিবুল হক নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেলেও এই তমিজ উদ্দিন সেলিম এখনো প্রকাশ্যেই রয়েছেন।
তমিজ উদ্দিন সেলিম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম ও জনশক্তি বিভাগের সদস্য। যে কারণে শ্রমিকদের সাথেও তার রয়েছে বিপুল নেটওয়ার্ক জুলাই আগস্ট বিপ্লবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা চালাতে তিনি ঢাকায় বসে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং বিপুল পরিমাণে টাকা সরবরাহ করেন বলেও অভিযোগ রযেছে।

প্রশাসনে কারি কারি টাকা দিয়ে স্বাচ্ছন্দেই চলাফেরা করছেন তিনি। সাংবাদিকদের নিউজ করলে মামলা হামলার ভয় দেখান এখনো। কোন সাংবাদিক বক্তব্যের জন্য ফোন করলে তাকে প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে ফোন করান। এলাকাবাসীর দাবি এই তমিজউদ্দিন সেলিমকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। মুজিবুল হকের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর লুটপাটের অন্যতম দোসর এই তমিজ উদ্দিন সেলিমকে গ্রেফতার করলেই মুজিবুল হকের কুকর্মের ফিরিস্তি পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসীর বিশ্বাস।এবিষয়ে তার মন্তব্য জানতে বার বার ফোনে যোগাযোগ ও খুদেবার্তা প্রেরন করেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম