তারিখ লোড হচ্ছে...

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে উত্তেজনা

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

আউটসোর্সিংয়ের ৩১৪ পদের নিয়োগ আটকে থাকায় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। কর্মীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় তাদের পক্ষে আর ধৈর্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

রোববার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিসে ডিজিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নিয়োগ না হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যার কোনো সুরাহা করছে না।

উত্তেজিত কর্মীরা সরাসরি ডিজির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে নিয়োগের বিষয়ে পরিষ্কার জবাব দাবি করেন। এদিকে অবরুদ্ধ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিজি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছেন।

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এরই মধ্যে অধিদফতরের সামনে অবস্থান নিয়েছে।

এ বিষয়ে অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কর্মীদের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। তবে হঠাৎ এভাবে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে গেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অধিদফতরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিত উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

সবা:স:জু-৩৬০/২৪

 

আয়ান শর্মার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দেশের বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক ও উপদেষ্টা সম্পাদক আয়ান শর্মাকে হুমকি, মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে ‘বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটি।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আয়ান শর্মাকে পিএইচপি গ্রুপের এমডি ইকবাল হোসেনের দেওয়া মিথ্যা মামলা ও হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আনোয়ার হোসেন আকাশের সভাপতিত্বে এবং সরকার জামালের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৈনিক রূপবাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. ফারুক আহম্মেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসাইন, সিনিয়র সাংবাদিক মশিউর রহমান রুবেল।
আরও বক্তব্য দেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, নতুন খবর সম্পাদক আকাশ মনি, ডিইউজে’র সদস্য আব্দুল্লাহ মজুমদার, সিনিয়র সাংবাদিক মো. মাহফুজ জাহিদ, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ ও এশিয়ান টেলিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার মো. রাজীব তালুকদার, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম, স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ইসলাম উদ্দিন তালুকদার ও মোহাম্মদ ওয়াহিদ।

দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুধুই হুমকি কিংবা অপপ্রচার নয়, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার ও প্রকাশক আয়ান শর্মাকে আসামি করে পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক আমির হোসেন দুটি মানহানি মামলা ও ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন। যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সামিল। একইসঙ্গে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনও।

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রকাশক আয়ান শর্মাকে পিএইচপির এমডি ইকবাল হোসেন চৌধুরী যে ভাষায় হুমকি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং জঘন্যও। পিএইচপির মতো একটি শিল্প গ্রুপের মালিকের মুখে এমন লজ্জাজনক ভাষায় হুমকি একেবারেই বেমানান। পত্রিকার মালিককে কচুকাটার হুমকি মানে, তাদের কাছে কোনো সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়।’

মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর মিথ্যা মামলা এবং হুমকি দেওয়ার ঘটনা সাংবাদিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিকরা সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য কাজ করেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি তারা মিথ্যা মামলা কিংবা হুমকির শিকার হন, এটা নিঃসন্দেহে বাক স্বাধীনতার হুমকি। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ঘটনায় জড়িত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হুমকি ও মিথ্যা মামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিভিন্ন সময় এই ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় তা পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। যেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কতিপয় ব্যবসায়ী কর্তৃক সাংবাদিককে হুমকি ও হয়রানির চেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। এসব হয়রানিমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং মিথ্যা মামলা দায়ের থেকে পিএইচপিকে বিরত থাকার এবং দায়েরকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে বলে জানান বক্তারা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম