তারিখ লোড হচ্ছে...

জনপ্রশাসন সচিবের কক্ষের সামনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার: 

কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত কর্মকর্তারা।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার পর বঞ্চিত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা সচিবের দফতরের সামনে অবস্থান নেন। তাদের অনেকেই মেঝেতে বসে গেছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনপ্রশাসন সচিব তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দফতরের বাইরে বের হয়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়েন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ বঞ্চিত কর্মকর্তারা উচ্চৈস্বরে সচিবের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কেউ কেউ জনপ্রশাসন সচিবকে পদত্যাগ করতে বলেন।

তখন জনপ্রশাসন সচিব তাদের জানান, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে তার কাছ থেকে কোনো ফাইল আসেনি। ঐ ফাইল আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তা প্রসেস করবেন।

এরপরও সচিবের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন অবস্থান নেয়া কর্মকর্তারা। পরে জনপ্রশাসন সচিব নিজের দফতরে ঢুকে পারেন।

গত ১০ ডিসেম্বর পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে। কমিটির প্রধান ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করেন।

কমিটি ৭৬৪ জনকে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে।

পরে নিজ দফতরে জনপ্রশাসন সচিব সাংবাদিকদের বলেন, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা দিয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো ফাইল পাঠায়নি। আমাদের এখানে ফাইল আসার পরে সেটি প্রসেস করতে একদিনের বেশি সময় নেবো না।

তবে জনপ্রশাসন সচিবের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারেননি বঞ্চিত কর্মকর্তারা। তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তারা সচিবের দফতরের সামনে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দেন।

সবা:স:জু- ৩৬২/২৪

শাহজালালে বিমান ওঠা-নামায় বিঘ্ন, ৬ ফ্লাইট গেল সিলেট-কলকাতা

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকায় গত ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আকাশে পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ঝাপসা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারেনি বেশ কিছু ফ্লাইট।

কুয়াশার কারণে রানওয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না, যার ফলে অবতরণ করতে পারেনি ছয়টি ফ্লাইট। এর মধ্যে তিনটি ফ্লাইট ঢাকার আকাশ থেকে ফিরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করে, এবং বাকি তিনটি ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধ্যরাতে কুয়েত সিটি থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজের দুইটি ফ্লাইট এবং ওমানের মাস্কাট থেকে আসা সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে কলকাতায় ফিরে যায়। পরবর্তীতে সকাল ৯টার পর এসব ফ্লাইট ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকে রাত আড়াইটা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত।

এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৬টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি। তাদের মধ্যে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই, মাস্কাট, রোম, জেদ্দা ফ্লাইট, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাই, গাল্ফ এয়ারের বাহরাইন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, দোহা, শারজাহ, জেদ্দা, সিঙ্গাপুর, ড্রুক এয়ারের পারো থেকে আসাসহ আরও বেশ কয়েকটি রুটের ফ্লাইট।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইমলাম বলেন, ঘন কুয়াশার জন্য কয়েকটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করে কলকাতা পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে তিনটিকে। তবে, সকাল ১০ টার পর থেকে ফ্লাইট চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে একসঙ্গে অনেক ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের অপেক্ষায় থাকায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে কিছুটা ট্রাফিকের সৃষ্টি হয়েছে।

জানুয়ারির শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা ও শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে কুয়াশা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

language Change
সংবাদ শিরোনাম