তারিখ লোড হচ্ছে...

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, ফিরেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রিটের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন। এতে ফিরে এলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

এর আগে এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষ হয় গত ৪ ডিসেম্বর। রিটে পক্ষভুক্ত হয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি সংগঠন।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরে এই রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরাম। এ ছাড়া মো. মোফাজ্জল হোসেনের নামের এক মুক্তিযোদ্ধাও রিট করেন।

সবা:স:জু- ৩৮১/২৪

পাক্ষিক বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশককে হুমকী

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পামেনকে হুমকী দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
জানা যায় বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকায় উপজেলার মাদক, বালি উত্তোলন সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারই জের ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের জনৈক প্রভাবশালী নেতা ও তার অনুসারিরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সাংবাদিক পামেনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। এই ঘটনার পর নিজের ও পরিবারের কথা ভেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিতভাবে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন।
উল্লেখ চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও একটি বিশেষমহল পাক্ষিক বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকার অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করেছিল। পরে তারা পত্রিকার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম