তারিখ লোড হচ্ছে...

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই শরীয়তপুরে চলছে ইটভাটা, পরিবেশ হুমকিতে

সাইফুল ইসলাম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করার কারনে বায়ু দূষণে চরম দুর্ভোগে স্থানীয় আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের শরীয়তপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩৭টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটার মধ্যে শুধুমাত্র ১০টি ভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র রয়েছে। বাকি ২৭টির নেই। এরপরও এগুলো চলছে।

গাছপালার সবুজ অরণ্যের মাঝেই গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ এ সব ইটভাটা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভাটা গড়ে তোলার প্রতিযোগিতা চলছে জেলার প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই। এসব ভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে আবাদি জমির টপ সয়েল।

আবাদি জমি ও আবাসিক এলাকায় ইটভাটা গড়ে তোলার পর ছাড়পত্র নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চলছে ভাটা মালিকদের  দৌড় ঝাঁপ।  স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটার ভয়াবহ দূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ গাছে  দেখা দিয়েছে ফলন বিপর্যয় ও নানা রকমের মোড়ক।

অক্টোবরের শেষ থেকে পুরোদমে ইট প্রস্তুতে ব্যস্ততা বাড়ে এসব ভাটায়। অন্তত ৫ মাস ইট তৈরির এ কারবার চলবে। এখন পুরোদমে চলছে ভাটা গুলোতে ইট তৈরির কাজ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্সসহ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শত শত একর কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ইটভাটায় ফসলি জমি কেটে মাটি নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। অনেক সময় জোর জবরদস্তি করে ফসলি জমির মাটি কেটে নিলেও প্রভাবশালী মহলের ভয়ে সাধারণ কৃষকরা মুখ খুলতে পারছে না। নিয়মনীতি না মেনে অবৈধ এসব ভাটায় ইট পোড়ানোর ফলে ব্যাপক বায়ু দূষণে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে। ভাটা গুলোর আশপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে রাস্তায় চলাচলে বিগ্ন হচ্ছে। ইটভাটায় চলাচল ও মাটির ড্রাম ট্রাক ও ট্রলির সাথে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়ে ছাত্রছাত্রী ও পথচারীদের মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে অহরহ।

জানা যায়, ইটভাটা চালু করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইলেন্স নিতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ‘ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা সংক্রান্ত’ গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, সরকার ইট প্রস্তুত কার্যক্রমকে পরিবেশ সম্মতভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) জারি ও কার্যকর করেছে। উক্ত আইনে নিম্নরূপ বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে-পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত/পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসককর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারবেন না। আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি; কৃষিজমি; পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। নিষিদ্ধ এলাকার সীমারেখা হতে ন্যুনতম এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে; সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা হতে দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে, বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোনো স্থান বা প্রতিষ্ঠান হতে এক কি.মি. দূরত্বের মধ্যেও ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, ইটভাটার মালিকরা আইন ও নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কাই করছেন না।

শরীয়তপুর জেলায় ৬০% ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫% এর ভাটাই অবৈধ ভাবে চালানো হচ্ছে। ইটভাটার মালিকরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শত শত একর ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা তৈরি করছেন। তাছাড়া বনাঞ্চলের পাশে, লোকালয়, হাটবাজার ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেও গড়ে উঠেছে বহু ইটভাটা। নদীর তীর দখল করেও অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। শত শত ড্রাম ট্রাক ও অবৈধ ট্রলি গাড়ি দিয়ে অনবরত ফসলি জমি ও টিলা কেটে মাটি এনে ইটভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে এলাকার কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে ও স্থানীয় রাস্তাঘাটের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। অনেক ইটভাটায় লাকড়ি পোড়ানোর কারণে কালো ধোঁয়ায় এলাকার লোকজনের মধ্যে সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ভাটায় চালিত যানবাহন  চলাচলের কারণে বাড়িঘরে এতো পরিমাণে ধূলো বলি প্রবেশ করছে তা বলাবাহুল্য। এর মুল কারণ হচ্ছে আবাসিক ও বসতি এলাকায় ভাটা স্থাপন।

পরিবেশ দূষণের কারণে এলাকায় ফসলের উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। ইটভাটার আশপাশ এলাকায় নারকেল, সুপারি, কলা, আখসহ নানান ফলদ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানের পরেও যাঁরা ইটভাটা চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সবা:স:জু- ৩৯৬/২৪

 

পরিবেশ অধিদপ্তরের অনিয়ম… ধামরাইয়ে ঘুষের বিনিময়ে ইটভাটার ছাড়পত্র, বাড়ছে পরিবেশের বিপর্যয়

রাকিব হোসেন মিলন:

ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে কথিত ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে এই এলাকায় চালু করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।

অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে এসব ইটভাটার বেশির ভাগ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইয়ে দিতে কাজ করছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে পরিচয় গোপন করে ইটভাটার মালিকের আত্মীয় পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললে ইটভাটার ছাড়পত্র আনিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।

ধামরাইয়ে ইটভাটার সংখ্যা যতঃ
তথ্য অধিকার আইনে ঢাকা জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই সব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৬০ আর অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৭৩।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটা রয়েছে ১২৭টি, আর অবৈধ ইটভাটা ৩৮টি। অর্থাৎ তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে অবৈধ ইটভাটা কমেছে ৩৫টি, আর বৈধ ইটভাটা বেড়েছে ৩২টি।

নিয়ম যা বলেঃ
ইটভাটা স্থাপনে প্রথমে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ও পরে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইটভাটার মালিক বলেন, ‘পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকলে জেলা থেকে লাইসেন্স পাওয়া যায় না।
লাইসেন্স না থাকলে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ জন্যই ভাটার মালিকেরা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেন। এতে টানা তিন বছর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইট পোড়ানো যায়।’

এ প্রসঙ্গে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, আইন অনুযায়ী ধামরাইয়ে একটি ইটভাটাও পরিবেশ, অবস্থানগত ছাড়পত্রসহ লাইসেন্স পাওয়ার উপযোগী নয়। এরপরেও নানা প্রেক্ষাপটে ভাটাগুলো ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পেয়ে থাকে।

রাকিবুলের সন্ধান যেভাবে
আইন লঙ্ঘন করে ভাটায় ইট পোড়ানোর দায়ে সম্প্রতি এক মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরে তলব করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘আইন অমান্য করে ইট পোড়ানোর দায়ে আমাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং ডেকেছিল। সেখানে গেলেই জরিমানা করা হতো। তাই বাধ্য হয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর অ্যাডমিনের ভাতিজা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৪ লাখ টাকায় কন্ট্রাক্ট করেছি।’ রাকিবুলের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয় জানতে চাইলে ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘রাকিবুল এই এলাকার আরও কয়েকটি ইটভাটার ছাড়পত্র করিয়ে দিয়েছেন। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’

জানা যায় , ঢাকা ব্রিকস, হোসেন ব্রিক ও ধামরাই ব্রিকস নামের তিনটি ইটভাটার ছাড়পত্র এনে দিয়েছেন রাকিবুল। এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘রাকিবুলের কারণে আমরা খুব চাপে আছি।’

এরপরে পরিচয় গোপন করে কথা বললে টাকার বিনিময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এনে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রাকিবুল। তবে ছাড়পত্র এনে দেওয়ার বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘না ভাই, আমি এসব করি না।’ এ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। রাকিবুলের বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর মোবাইলে নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

একটির অনুমোদনে একাধিক ইটভাটাঃ
ধামরাইয়ে লামিয়া ব্রিকস নামের বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি ইটভাটা রয়েছে। ডাউটিয়া, ভালুম, কাউলিপাড়া, গোয়ালদি, নান্নার, হাতকোড়া ও নান্দেশ্বরী এলাকায় এসব ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এই ইটভাটার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এসব ভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, তাঁর চারটি ইটভাটার অনুমোদন রয়েছে।

নাম বদলে আবারও চালুঃ
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মধুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘনবসতির ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত খান ব্রিকস গুঁড়িয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ মাসুদ খান (লালটু)। তবে তাঁর ভাই সিরাজুল ইসলাম একই জায়গায় সাজেদা ব্রিকস নামে ইটভাটা করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়টির আশপাশে আরও ৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটারও কোনো অনুমোদন নেই। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যরা যেভাবে করছেন, আমরাও সেভাবেই করছি।’

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু খান ব্রিকস নয়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আরও ৯টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ওই সব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় সব কটি ভাটা নতুন নির্মাণ করে এবার ইট পোড়ানো হচ্ছে। এভাবে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইন অনুযায়ী যাতে ইটভাটা স্থাপিত হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের তা নিশ্চিত করা উচিত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম