তারিখ লোড হচ্ছে...

জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এ বিষয়ে বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এতে সভাপতিত্ব করেছেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুতে ছাত্রদের আন্দোলন রাজপথে গড়ায়। এটি এক পর্যায়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। এতে ৫ আগস্ট জনরোষে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অবসান ঘটে প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসনের।

৫ আগস্ট এই আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতা লাভ করলেও ছাত্র-জনতা এর নামকরণ করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নামে। এছাড়া ৫ আগস্টকে ’৩৬ জুলাই’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

 

সবা:স:জু- ৪০২/২৪

নির্বাচন নির্ভর করছে সংস্কারের গতির ওপর: ড. ইউনূস

স্টাফ রিপোর্টার//

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কারের গতি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ কত তাড়াতাড়ি নির্বাচনে যেতে পারবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের ‍গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে হবে। এরপর নির্বাচন দেয়া হবে। নির্বাচন নির্ভর করছে সংস্কারের গতির ওপর।

প্রধান উপদেষ্টা যোগ করেন, এসব সাংবিধানিক সংস্কারে দেশের সবাইকে এক হতে হবে। যাতে সরকার, সংসদ, নির্বাচনী বিধি কেমন হবে, এ বিষয়ে একমত হওয়া যায়। এসব খুব দ্রুত শেষ করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন থাকবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছি। তাই আমাদের মেয়াদ যতো কম হয়, ততোই ভালো। আমরা দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই।

দেশকে গণতান্ত্রিক ভোটের দিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জোর দিয়ে তিনি বলেন, সরকারে দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন দেয়া হবে এবং নির্বাচিত লোকেরা দেশ পরিচালনা করতে পারবেন।

এদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিতিশীলতার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, যেকোনো সরকারই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকবে। তার সরকারও আছে। তিনি এএফপিকে আরও জানান– আমরা আশা করছি যে, এটি সমাধান করতে পারব এবং একটি শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখতে পারব।

মাত্রই তিন মাস আগে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হওয়ার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন তিনি। এরপর দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

সবা:স:জু-১১৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম