তারিখ লোড হচ্ছে...

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দুর্নীতির অভয়ারণ্য

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পেত্নাত্তারা এখনো চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালকে গিলে খাচ্ছে যা সাধারণ জনগন জিম্মি হয়ে পড়েছে প্রতিনিয়ত। সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কারন হাসপাতালে কোনো মুমূর্ষু রোগী ভর্তি হলে সে সরকারি সুযোগ সুবিধা পায়না মেডিসিন থেকে শুরু করে সব কিছুই বাহির থেকে কিনতে হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে জেলার সাধারণ জনগন। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই একটি কোম্পানি ১৬ বছর ধরে জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলার সকল হাসপাতালেই একই কোম্পানি মেডিসিন গজ ব্যান্ডিজ লিলেন যন্ত্রপাতি কেমিক্যাল সহ সবকাজিই পাইতেছে প্যারাগণ ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স হারামাইন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি একই ব্যক্তির। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়িক যোগসাজশে বিপুলমাণ অর্থ দুর্নীর্তির মাধ্যমে লোপাট করে যাচ্ছে। কেউ দেখার নেই মনে করছেন এলাকাবাসি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত ২৪/১০/২০২৪ইং তারিখে দরপত্র আহবানকৃত করেন যার স্মারক নং: CDH/e-Tender/2024-2025/1346 এবং
আইডি নং: ১০২৮০৪৪ (নন ইডিসিএল মেডিসিন),
আইডি নং: ১০২৮০৪৫ (সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি),
আইডি নং: ১০২৮০৪৬ (গজ, ব্যান্ডেজ ও তুলা),
আইডি নং: ১০২৮০৪৭ (লিলেন সামগ্রী) ও
আইডি নং: ১০২৮০৪৯ (আসবাবপত্র সামগ্রী) এর
দরপত্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দাখিল করেন ইজিপির মাধ্যমে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়িকদের সাথে যোগসাজশে করে Non Responsive উর্ধ্ব দরদাতাকে Responsive করা হয়েছে। দরপত্রের সকল শর্তাদি যথাযথভাবে পূরণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেন। কিন্তু দরপত্রে দেখা যায় কর্তৃপক্ষ স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য যথাযথ মূল্যায়ণ না করে পছন্দের প্রতিষ্ঠান উর্দ্ধ মূল্য দাখিলকারী হওয়া সত্ত্বেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে PARAGON ENTERPRISE কে নন ইডিসিএল ঔষধ সামগ্রী ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি সামগ্রী, M/S HARAMINE ENTERPRISE কে গজ ব্যান্ডেজ তুলা সামগ্রী, লিলেন সামগ্রী ও আসবাবপত্র সামগ্রীর নোয়া গত ২৭/১০/২০২৪ইং প্রদান করা হয় এবং যোগসাজসে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ঠিকাদারগণ পরেরদিনই অর্থাৎ ২৮/১০/২০২৪ইং তারিখে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করে।
উক্ত কার্যকলাপ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর পরিপন্থি এবং এতে সরকরারের অনেক টাকার অপচয় করা হচ্ছে। টেন্ডার জমাকৃত প্রতিষ্ঠান উপযুক্ত থাকা সত্ত্বেও কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখানে আরো পরিলক্ষিত হয় যে ৩ নং এ থাকা প্যারাগণ কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাহা সঠিক মুল্যায়ন করা হয়নি এবং একই মালিক সব কাজগুলোকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অর্থের মাধ্যমে যোগসাজশে নোয়া দিয়ে দিয়েছে। সবোর্চ্চ লয়েস্ট হওয়া সত্ত্বেও কোম্পানিকে কাজের নোয়া দেওয়া হয়নি। অন্যান্য কোম্পানির মালিকপক্ষ মনে করছে চুয়াডাঙ্গা জেলা হাসপাতালের কাজ সম্পুর্ন অনৈতিকভাবে দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী বলেন আমি চাই এই কাজের আবারও সঠিক মুল্যায়নের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে কাজের নোয়া দেওয়া হোক এবং এই দাবী জানায়। ইতোমধ্যে একটি কোম্পানির মালিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন কাম তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ সাজ্জাৎ হাসানের সাথে মন্তব্য জানতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি এমনকি তার মোবাইল নাম্বারটাও বন্ধ পাওয়া যায় সে কারনে মন্তব্য নেয়া যায়নি।

মাদকসহ ৪ কারবারিকে আটক করেছে -র‌্যাব-৭

মোহাম্মদ মাসুদ ঃ

র‌্যাব-৭,ফেনী কর্তৃক অফিসার ও ফোর্সদের সহায়তায়
১৩,৪২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার, মা ও ছেলেসহ ০৪ (চার) জন মাদক ব্যবসায়ী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার।

অদ্য ১৮ মার্চ দুপুর-টায় আসামী ১জন পুরুষ ও ৩জন মহিলা কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে১।মোঃ সোহেল (২০),২।আয়েশা বেগম (৩৯) ৩।জাহানারা বেগম (৩৫) ৪। জহুরা বেগম (৩৩),কে আটক করে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়,,ফেনী ক্যাম্প গোপন সংবাদে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুরস্থ চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের সাদিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর বিপরীত পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফেনী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামিদের আটক করে।

আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে ১নং আসামীর পরিহিত জিন্স প্যান্টের পকেট ও অন্যান্য আসামীদের প্লাজু এবং সেলোয়ার এর কুচা হতে মোট ৫২টি নীল ও সাদা স্বচ্ছ রংয়ের বায়ুরোধক পলি প্যাকেটে সর্বমোট ১৩,৪২৫ (তের হাজার চারশত পঁচিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করি।

প্রাথমিকভাবে সিডিএমএস পর্যালোচনায় ধৃত ১ নং আসামী মোঃ সোহেল এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম এর পটিয়া। ২নং আসামী আয়েশা বেগম এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানা এবং চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানা ৩ নং আসামী জহুরা বেগম এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানা। এজাহারে অভিযুক্ত এর তথ্য পাওয়া যায়।

আইনানুগ সমস্ত কার্যক্রম শেষে ধৃত আসামিদেরকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম