তারিখ লোড হচ্ছে...

সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার: 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশে ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নানা বক্তব্য ও তৎকালীন সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে। তদন্তে তার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আবার তিনি নিজেও ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, এমন সময় পুরো দেশকে ইন্টারনেটবিহীন করে জুনাইদ আহমেদ পলক ডেটা সেন্টারে আগুন, সাবমেরিন কেব্‌লের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানা কথা বলেন। সে সময় সরকারিভাবে জনগণের ফোনে বার্তা পাঠানো হয়, ‘সন্ত্রাসীদের আগুনের কারণে ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়া এবং আইএসপির তার পুড়ে যাওয়ার কারণে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত, মেরামত করতে সময় লাগবে।’

মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ প্রসঙ্গে ১৮ জুলাই জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার কথা বলেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো সহযোগিতা করলে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হতো না বলেও সেদিন তিনি বলেছিলেন।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও ১৮ জুলাই রাত ৯টা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক ১৮ জুলাই বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের কারণে মহাখালীতে অবস্থিত ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেছেন। এ ছাড়া সারা দেশে শত শত কিলোমিটার ফাইবার কেব্‌ল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

গত ২৭ জুলাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, মহাখালীতে তিনটা ডেটা সেন্টারে আইএসপিদের (গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। দেশের ৩৪টি আইআইজির (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) মধ্যে ১৮টির ডেটা এই তিনটি ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি গত ২৩ জুলাই মহাখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে গিয়েও তিনি বলেছিলেন, অগ্নিসংযোগের কারণে ডেটা সেন্টার পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা ইন্টারনেট বন্ধ করতে বাধ্য হন।

তবে ২৮ জুলাই জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ পুরোপুরি ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল না। সরকারের কেপিআইভুক্ত যেসব প্রতিষ্ঠান ও জরুরি সেবা রয়েছে, সেখানে সব সময়ই ইন্টারনেট চলমান ছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পরিকাঠামোতে ইন্টারনেট যুক্ত রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পক্ষে না। আমরা কোনো অ্যাপ বন্ধ রাখি না।’

ইন্টারনেট বন্ধ ছাড়াও সামাজিক যোগযোগমাধ্যম টানা ১৩ দিন বন্ধ ছিল। প্ল্যাটফর্মগুলো চালু না হওয়া প্রসঙ্গে জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেছিলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ ও দেশের আইন মেনে চললে চালু হবে; কিন্তু তিনি নিজে ফেসবুক থেকে শুরু করে প্রায় সব মাধ্যমেই সক্রিয় ছিলেন।

এদিকে, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জুনাইদ আহমেদ পলককে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইসিটির তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কথা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাইব্যুনালকে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পলক।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের সময় গণহত্যার তথ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।

গণঅভুত্থানের ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছিলেন, ডেটা সেন্টারে আগুন, সাবমেরিন কেবলের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। তার এসব তথ্যও অসত্য ছিলো বলে জানান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

এর আগে হত ১৩ আগস্ট ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে পুরো দেশ ইন্টারনেটবিহীন করে রেখেছিল বিগত সরকার। ওই সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়াসহ নানা গল্প ফেঁদেছিলেন। আদতে তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি নিজে, বিটিআরসি ও এনটিএমসি ইন্টারনেট বন্ধে জড়িত। পলক ডেটা সেন্টারের ঘটনা প্রচার করে জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন।

 

সবা:স:জু- ৪১৯/২৪

সরকার ও সরকার বিরোধীরা ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত আছে।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর আরো বলনে,দেশে সরকার ও সরকার বিরোধীরা ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্রের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোন মূহুর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে- একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংঘাত ও সংঘর্ষের কারণে জাতীয় জীবনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, সংঘাতময় রাজনীতির কারণে মানবতা আজ ধ্বংসের মুখোমুখী। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করছে।

রবিবার (২৩ অক্টোবর)ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সকাল এগারোটায় ইসলামী সমাজের উদ্যোগে “বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণের উপায়”সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন

 

ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর আরো বলনে, দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিশ্বের মানুষের জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে এবং ধর্মের নামেও সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদী অপতৎপরতার বিস্তার ঘটছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক অংগনে চরম নৈরাজ্য চলছে। গণতন্ত্র জাতির মানুষকে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত করে সংঘাত ও সংঘর্ষের পথে দেশবাসীকে ঠেলে দিয়েছে। মানব রচিত ব্যবস্থার সংঘাতময় রাজনীতি বিশ্বের মানুষকে দুনিয়ার জীবনে মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি করেছে এবং তাদের আখিরাতের জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষিতে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়ায় গোটা বিশ্ব তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মুখোমুখী অবস্থান করছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে এবং অর্থনৈতিক অবরোধের নামে অবৈধ নেতারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেই চলছে। তিনি বলেন, বিশ্বে চলমান রাজনীতি আজ সংঘাতময় রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন,সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ লক্ষ্যেই “ইসলামী সমাজ” সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সংগঠনের আমীর বলেন, ইসলামী সমাজ সকলের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তিনি দল, মত নির্বিশেষে সকলকে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে ইসলাম প্রতষ্ঠিার ঈমানী, নৈতিক ও মানবকি দায়িত্ব পালনের আহবান জানান এবং সকল মানুষের কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ তিন দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
ঘোষিত কর্মসূচী সমূহ হচ্ছে-
১) দেশ ও জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের সাথে মত-বিনিময়। ২) প্রচলিত রাজনৈতিক ও ইসলামী দলসমূহের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা। ৩) রাজধানী ঢাকার মেট্রোপলিটন এরিয়ার ৮টি বিভাগে ৮টি শান্তি সমাবেশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রথম শান্তি সমাবেশ – ০৫ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার) ওয়ারী বিভাগ। দ্বিতীয় শান্তি সমাবেশ- ১২ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার) লালবাগ বিভাগ। তৃতীয় শান্তি সমাবেশ- ১৯ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার), মতিঝিল বিভাগ। চতুর্থ শান্তি সমাবেশ- ২৬ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার), রমনা বিভাগ। পঞ্চম শান্তি সমাবেশ- ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার), গুলশান বিভাগ। ষষ্ঠ শান্তি সমাবেশ- ১১ ডিসেম্বর ২০২২, (রবিবার), মিরপুর বিভাগ। সপ্তম শান্তি সমাবেশ- ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার), উত্তরা বিভাগ। অষ্টম শান্তি সমাবেশ- ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার) তেজগাঁও বিভাগ।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী সমাজের আমির হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবির, সোহাগ আহমেদ, ইসমাইল হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম