তারিখ লোড হচ্ছে...

মতিঝিলে কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মচারী-সিবিএ নেতাকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: 

রাজধানীর মতিঝিলে আব্দুল হালিম (৬৩) নামে এক বৃদ্ধকে মারধরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল হালিম চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ছবির আহামেদ এর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (সিবিএ) এর সভাপতি ছিলেন।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব কুমার সিং নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত ১টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক মর্গে নিহতের ছেলে ফয়সাল জানান, তার বাবা কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ছিলেন।

২০১৪ সাল থেকে সিবিএর সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও বোয়ালখালির উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।

ফয়সাল বলেন, কৃষি ব্যাংকের কর্মচারী ইউনিয়নের পদসহ নানা বিষয়ে একই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও ইউনিয়নের সদস্য ফয়েজ উদ্দিন, মিরাজ হোসেন, সাহেদ, সাইফুলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল হালিমের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত অক্টোবর মাসে থানায় জিডিও করেছিলেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। পরে খবর পাই আমার বাবাকে তার অফিস সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে।

সিবিএ সেক্রেটারি নাসিম আহামেদ বলেন, হালিম ভাই ২০১৪ সালে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন, আমি ছিলাম সাধারণ সম্পাদক। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর ফয়েজ উদ্দিন সভাপতি ও মিরাজ হোসেন সাধারণ সম্পাদক করে বিনা নির্বাচনে মনগড়া কমিটি বানিয়ে আমাদের ইউনিয়ন অফিস দখল করে নেয়।

এ বিষয়ে আমরা মামলাও দায়ের করেছি। আদালত তাদের নোটিশ দিয়ে কৈফিয়ত চেয়েছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এর আগে  হালিম ভাইকে তারা হুমকিও দিয়েছিলেন। সে ঘটনায় থানায় জিডিও করা হয়।

সবা:স:জু- ৪২৩/২৪

 

এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রিজভীর কাছে অভিযোগ, অনুসারীর বিরুদ্ধে জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উত্তরখান থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল।

১২ অক্টোবর জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, এস এম জাহাঙ্গীর এর নির্দেশনায় উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কর্তৃক উত্তরখান থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল কে শারীরিক লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

মোঃ মোস্তফা কামাল লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত শনিবার (১২ অক্টোবর) উত্তরখান ময়না টেকে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মঈন খান। কিন্তু দুঃখের বিষয় ড. মঈন খানের ব্যানার লাগানোর সময় উত্তর খান থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামালকে উত্তরখান থানা যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর ব্যাপারী আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। যার সরাসরি নির্দেশদাতা এস এম জাহাঙ্গীর। ইতিমধ্যে এস এম জাহাঙ্গীরের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়াদি জাতীয় পত্রিকা গুলোতে বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। ইতিপূর্বে এস এম জাহাঙ্গীরের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য কে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করেছে এবং তার অন্যতম সদস্য কেশিয়ার মোহাম্মদ আজমল হুদা মিঠু উত্তরা পশ্চিম থানা যুগ্ম আহ্বায়ক থাকা সত্ত্বেও বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই প্রোগ্রামে তার এই চাঁদাবাজির কথা বলার কারণে এস এম জাহাঙ্গীরের নির্দেশে জাহাঙ্গীর বেপারী আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

এদিকে, উক্ত বিষয়ে রাজধানীর উত্তর খান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মোঃ মোস্তফা কামাল। সাধারণ ডায়েরিতে মোঃ জাহাঙ্গীর বেপারী ও মোঃ মোমেন বেপারীকে বিবাদী করা হয়। এতে বলা হয়, মৈনারটেক পূজা মন্দিরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের আগমন উপলক্ষ্যে আমি ও আমার ননীয় নেতা কর্মীসহ উপস্থিত হইলে ১নং ও ২ নং বিবাদী আমাকে কিল-ঘুষি ও চড় থাপ্পড় মারে ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করেন। জিডি ট্র্যাকিং নং EOTVOR জিডি নং: ৫৩৫ তারিখ: ১৪/১০/২০২৪ইং।

এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আবদুস ছালামকে এই ডায়েরি সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর খান থানা মোঃ মোস্তফা কামাল খাঁন।

language Change
সংবাদ শিরোনাম