তারিখ লোড হচ্ছে...

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা ও সমঝোতায় প্রস্তুত রাশিয়া

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া আলোচনা ও আপস করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান পুতিন।

ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত। একই সঙ্গে অন্য পক্ষও এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে কি না, তার দরকারও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় আলোচনা ও আপসের কথা বলে আসছি।’

ট্রাম্পের সঙ্গে চার বছরের বেশি সময় ধরে কথা হয়নি জানিয়ে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। তবে পুতিন বলেন, ‘আমি জানি না, কখন আমাদের সাক্ষাৎ হবে।’

ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় নিকটবর্তী কি না।

এমন প্রশ্নে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, পরিস্থিতি দ্রুততার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে। প্রতিদিন রুশ সেনারা এক বর্গ কিলোমিটারের মতো ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ একটি জটিল বিষয়; কিন্তু আমরা বিশেষ সামরিক অভিযানে আমাদের প্রাথমিক কাজ সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছি।’

মস্কোয় শীর্ষ স্থানীয় রুশ জেনারেল ইগর কিরিলভ গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যর্থতা ছিল বলেও স্বীকার করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পেশাল সার্ভিস (গোয়েন্দা সংস্থা) এটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে আমাদের কাজের আরও উন্নতি করতে হবে। অবশ্যই এ ধরনের সাংঘাতিক ভুল হতে দেওয়া যাবে না।’

গত মাসে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রনীতিতে পরিবর্তন আনা হয়। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, যদি রাশিয়াকে কোনো দেশ হুমকি দেয়, তাহলে রাশিয়া মনে করে, সেই দেশের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার অধিকার তার আছে।

সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন নিয়েও কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এটি রাশিয়ার পরাজয় ছিল বলে মনে করেন না তিনি। বাশারের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করায় ইসরায়েলের নিন্দা জানান পুতিন।

এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ বাহিনী আরও দুটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গ্রাম দুটি হলো ‘জেলেনিভকা’ ও ‘নোভি কোমার’।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

স্টাফ রিপোর্টার:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতির প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে। স্থানীয় সময় শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, শিকাগোসহ দেশটির বড় বড় শহরে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে আসে।

বিক্ষোভটি ‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত—যার অর্থ, ৫০টি রাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ, একটিই আন্দোলন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৫০তম বার্ষিকীকে স্মরণ করে আয়োজন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউজের সামনেই শুধু নয়, টেসলার বিভিন্ন ডিলারশিপ ও শহরের কেন্দ্রস্থলগুলোতেও জড়ো হন। তাঁরা ট্রাম্পের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন—বিশেষ করে সরকারি চাকরি ও ব্যয় সংকোচনের মতো উদ্যোগ নিয়ে।

রাজনীতিতে ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত এপ্রিলে ‘হ্যান্ডস অফ’ আন্দোলনেও ব্যাপক জনগণ অংশ নিয়েছিল।

জনমত জরিপগুলো বলছে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে। আন্দোলনকারীরা তার প্রশাসনের নানা সিদ্ধান্ত—যেমন সরকারি খাতে ছাঁটাই, রাষ্ট্রীয় ব্যয় হ্রাস, ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক আরোপ—নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

চলতি মাসের শুরুতেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। মূলত প্রশাসনিক সংস্কার ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ থেকেই এসব বিক্ষোভের সূত্রপাত।

প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশ ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

২০১৭ সালেও, ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছিল।

language Change
সংবাদ শিরোনাম