তারিখ লোড হচ্ছে...

বসুন্ধরা কিংস-আবাহনীর মর্যাদার লড়াই

খেলা ডেস্ক: 

লিগ লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১০ দেখায় আবাহনী কোনো ম্যাচ জেতেনি। একে নজিরবিহীন বলা যায়। আর প্রতিপক্ষ দলটির নাম হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস।

২০১৮-১৯ মৌসুমে অভিষেকের পর পেশাদার ফুটবল লিগে তারা ১০ বার ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হয়েছে।
এর মধ্যে আট জয় পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১৯৭৩ সালে লিগ শুরুর পর আর কোনো দলের বিপক্ষে এমন করুণ অবস্থা হয়নি আবাহনীর। আজ কুমিল্লা শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে কিংস ও আবাহনী মুখোমুখি হবে।

বেলা আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে। টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হলেও লিগে অপরাজিত থাকতে পারেনি কিংস। তবে আবাহনীর বিপক্ষে হার না মানা রেকর্ডটি ধরে রেখেছে।

আজও কি বসুন্ধরা কিংস জয়ের ধারা ধরে রাখবে? নাকি ১১তম সাক্ষাতে আবাহনী প্রথম জয়ের দেখা পাবে? ড্রতেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি কি শেষ হবে? সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর।

দুই দলের লড়াইটি অন্যরকমও বলা যায়। আবাহনী বিদেশি ছাড়াই খেলবে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে দুই দলের ম্যাচই এখন মর্যাদার লড়াই। মোহামেডান-কিংস কিংবা মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের গুরুত্ব এখনো রয়েছে। তার পরও আজ দুটি দলের লড়াইয়ের মর্যাদা আলাদা।ঢাকা আবাহনী পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ ছয়বার চ্যাম্পিয়ন;

অন্যদিকে আগমনের পর থেকে টানা পাঁচবার শিরোপা জিতেছে কিংস। পেশাদার লিগই হচ্ছে দেশের ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর। আর সেই লড়াইয়ে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার আবেদনই আলাদা।

এবারের লিগে দুই দলের এটি চতুর্থ ম্যাচ। অথচ শিরোপা রেসের জন্য এখনই একে গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়। এ কুমিল্লাতেই বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী হেরে যায় ঢাকা মোহামেডানের কাছে। আজ যারা হারবে ৬ পয়েন্ট নষ্ট করবে। ড্র হলেও ৫ পয়েন্ট হারাবে।

অন্যদিকে মোহামেডান আজ পুলিশকে হারাতে পারলেই ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকবে। লিগের হিসাবনিকাশ আরও পরে হবে। তার পরও দুই দলের কাছে পুরো ৩ পয়েন্ট হবে খুবই মূল্যবান। কে জিতবে আজকের ম্যাচে-কিংস না আবাহনী? এটি আবাহনীর হোম ম্যাচ। তার পরও শক্তির পার্থক্যে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদেরই ফেবারিট বলা যায়। তবে কিংস যে কিংরূপ ধারণ করে, তা এবার শুরুতে অনেকটা ম্লান। লিগে মোহামেডান ছাড়ও ফেডারেশন কাপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফর্টিসের কাছে ০-২ গোলে হেরে গেছে চ্যাম্পিয়নরা।

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ধরলে নয় ম্যাচে কিংসের হারের সংখ্যা ৫; যা দলটির নামের সঙ্গে বড্ড বেমানান। চ্যালেঞ্জ লিগে টানা তিন ম্যাচ হেরেছে। ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম আসরে মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও লিগে ও ফেডারেশন কাপে একটি করে ম্যাচ হেরেছে। চ্যালেঞ্জ কাপে পিছিয়ে থেকে ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমর্থকদের আশা ছিল ঘরোয়া আসরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে কিংস। অথচ সেই কিংসকে ম্লান মনে হচ্ছে। সেরা একাদশে চার বিদেশি থাকলেও দুই ব্রাজিলিয়ান মিগেল ফিগেইরা ও জনাথন ফার্নান্দেজই ভরসার প্রতীক। লোকালদের মধ্যে রাকিব, সোহেল রানা, তপু বর্মণরা কেমন জানি ছন্দহীন। কেউ স্বীকার করুক আর না-ই করুক, রবসনের অনুপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে। কোচ ভালেরিউ তিতাও দলকে সেভাবে গোছাতে পারেননি।

তবে আজ জিতে গেলে হয়তো সামনে কিংস গতিময় হয়ে উঠবে। অন্যদিকে আবাহনীও জয় পেলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। দেখা যাক কী হয়।

 

সবা:স:জু- ৪৩৭/২৪

সাতক্ষীরা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা এর দুর্নীতি ও আতঙ্কে সাতক্ষীরা শিক্ষা পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাতক্ষীরা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসস্তোষ বিরাজ করায় অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলির জন্য সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। অনুসন্ধানে জানা যায় আবু হেনা মোস্তাফা কামাল এর নির্দেশে সাতক্ষীরা জেলাধীন সকল উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবাধে দুর্নীতি করে চলেছেন। আবু হেনা মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। অভিযোগগুলো হলো যথাক্রমেঃ-(১) রাসেল সোনার বই বাণিজ্য কেলেঙ্কারী (২) উপাষ্ঠানিক ব্যুরো থেকে অর্থ সংগ্রহ ভাগাভাগি (৩) শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতি (৪) জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক জেলা পর্যায় বাছাইয়ে দুর্নীতি (৫) ক্রিমিনাল শিক্ষকদের সাথে সখ্যতা ও দুর্নীতি (৬) নারী লোভী (৭) উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের ব্যবহার করে দুর্নীতি (৮) উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের ভুল বুঝিয়ে শিক্ষকদের হয়রানী (৯) প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপে শিক্ষক মনোনয়নে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি (১০) ষড়যন্ত্র/ক্ষমতার অপব্যবহার (১১) অফিসের রেস্টরুম ব্যবহারের দুর্নীতি (১২) স্কুল ভিজিটে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে শিক্ষকদের হয়রানীসহ অপমান করা (১৩) দালাল শ্রেণি ও নারীলোভী শিক্ষকেদরে সাথে বিশেষ সখ্যতা (১৪) তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগে দুর্নীতি (১৫) প্রতি বছর নতুন বইয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি
(১৬) স্কুল ভিজিট করে অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতি (১৭) মুক্তিযোদ্ধা বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে বিধায় তাঁদের সন্তানদের বিভাগীয় মামলাসহ নানা হয়রানীসহ অসংখ্য দুর্নীতি করে চলেছেন এই কর্মকর্তা। অনুসন্ধানে জানা যায় ছন্দে ছড়া রাসেল সোনার বই বিক্রয়ে প্রতিটি উপজেলায় ৪/৫ লক্ষ করে টাকা দুর্নীতি হয়েছে। বই বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকালে একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা জানান বই বিক্রির দুর্নীতির সাথে সরাসরি সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল জড়িত এবং তার নির্দেশে বিক্রি হয়েছে। বই বিক্রির সকল টাকা তার কাছে জমা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন একই জেলায় থাকায় প্রতিটি উপজেলার কিছু শিক্ষক নেতা উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার নিজের অতি আস্থাভাজন বানিয়ে বই বিক্রিরমত এমন দুর্নীতি করে এসেছেন। এতে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে রীতিমতো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। এসব ভুল পথে চলা অফিসার এবং শিক্ষকদের নিয়ে নানাবিধ অপরাধে বটবৃক্ষ রূপে কাজ করেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তার কারণে জেলার প্রাথমিক শিক্ষার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়।
গত ২৪/০৪/২০২৩ তারিখে জনাব ফৌজিয়া পারভীন, স্বামী মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সহকারী শিক্ষক ১৮৫ নং সোয়ালিয়া সাপেরদুনে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বরাবর সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর অসৌজন্যমূলক আচারণের প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। সে প্রেক্ষিতে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের ২৬/০৭/২০২৩ তারিখে ৩৮.০১.৪০০০.০০০.২৭.০১৩.১৯-৮৯৬ নম্বর স্মারকে এ এ স এম সিরাজুদ্দোহা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাগুরাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর বিষয়ে একাধিক শিক্ষক জানান দীর্ঘ ১০ বছর একই জেলায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকায় তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে সকল দুর্নীতির কলকাঠি নাড়েন। তাকে দ্রুত অন্যত্র বদলি করা না হলে, সাতক্ষীরা জেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে যাবে।

সাতক্ষীরা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে উপবিভাগীয়-পরিচালক  মোঃ মোসলেম উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।

অন্যদিকে বর্তমানে আবু হেনার চরম শত্রু মো: মিজানুর রহমান, প্রধান শিক্ষক, শ্যামনগর,সাতক্ষীরা।তার পাঠানো অভিযোগে ইসমাইল হোসেনের একটি কলাম বা পয়েন্ট আছে। ইসমাইলের বৌ এর সাথে রাতে আবু হেনার কথা বলার রেকর্ড মিজানের কাছে আছে। ইসমাইল মিজানের স্কুলের সহকারী শিক্ষক।

এ বিষয়ে আবু হেনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি মিথ্যা বলে মন্তব্য করেন এমনকি তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বলেও দাবি করেন।

তার বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে পৃথক-পৃথকভাবে অনুসন্ধান চলছে, যা পরবর্তী পর্বে প্রকাশ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
এস আলম বিতর্কে স্থগিত মনোনয়ন পেরিয়ে এখনও আশাবাদী বিএনপি বহিষ্কৃত সুফিয়ান তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন রাজধানীতে নামেই ফুটপাত, হাঁটার উপায় নেই ভারতীয় মাফিয়া সিন্ডিকেটের কবলে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে শেরপুরে কাঁচা সড়কে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ আমতলীতে ফাজিল পরীক্ষায় ৯ জন বহিস্কার শেরপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য জব্দ শ্রীমঙ্গলে স্বামী-স্ত্রী সেজে পুলিশ কর্তৃক পলাতক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার