তারিখ লোড হচ্ছে...

কমেছে আলু-পেঁয়াজ-সবজির দাম, বেড়েছে চাল-মুরগির

স্টাফ রিপোর্টার: 

দাম কমতে শুরু করেছে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা ও আলুতে ১০ টাকা দাম কমেছে। এছাড়া যেকোনো সবজি প্রতি কেজিতে কমেছে ১০-২০ টাকা। অন্যদিকে, চাল ও মুরগির দাম খানিকটা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ বাড়লেও পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, সাধারণত নভেম্বরের শেষ দিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আলু বাজারে আসতে শুরু করে। তবে চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আলু-পেঁয়াজের বীজ বুনতে দেরি করেন কৃষকেরা। এ কারণে বেশ কিছুদিন পণ্য দুটি বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল। এখন নতুন পেঁয়াজ ও আলু আসতে শুরু করায় এ দুই পণ্যের দাম কমছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে দেশি পুরোনো, স্থানীয় মুড়িকাটা এবং আমদানি করা- এই তিন ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম আরও কম; এক কেজির দাম ৭০-৮০ টাকা। এ ছাড়া পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ (পুরোনো) ১১০-১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

অন্যদিকে, দুই সপ্তাহ আগে এক কেজি পুরোনো আলুর দাম ছিল ৮০ টাকা। নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আমনের ভরা মৌসুমের মধ্যেও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে চালকলের মালিকদের দাবি, ধানের দাম বাড়ায় তারা চালের দাম বাড়িয়েছেন।

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট ছিল। খুচরা দোকানগুলোতে এখন বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, তবে এখনো পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি। গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়। আশা করা হয়েছিল, তেলের সরবরাহ দ্রুত বাড়বে; কিন্তু তা হয়নি।

মুদি বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, ‘ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো পুরোদমে তেল সরবরাহ করছে না। তেল পেতে ডিলারদের সঙ্গে একধরনের তর্ক-ঝগড়া করতে হচ্ছে। এরপরও যা পাচ্ছি, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।’

তবে স্বস্তি মিলেছে সবজির বাজারে। ধরনভেদে প্রতি কেজি শিম ৪০-৬০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, শালগম ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-৩০ টাকা এবং লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবা:স:জ- ৪৩৮/২৪

 

সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর দুই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

স্টাফ রিপোর্টার: 

ঘন কুয়াশায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে এই ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই নদীতে বাড়তে কুয়াশা। মধ্যরাতে তা আরও তীব্র হয়। ঘন কুয়াশার কারণে নৌরুট ২টিতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। ফেরি চলাচলের বিকন বাতি ও মার্কিং পয়েন্টের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এই দুটি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে দেওয় হয়। এতে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ছোট-বড় ৫টি ফেরি। কুয়াশার মাত্রা কমে এলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

পাটুরিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাম হোসেন জানান, কুয়াশার মাত্রা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

 

সবা:স:জু- ৪৯৫/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম