তারিখ লোড হচ্ছে...

তুরাগ নদীর সেতু ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক পানিতে

স্টাফ রিপোর্টার: 

টঙ্গীতে তুরাগ নদীর ওপর নির্মিত একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীর পানিতে পাথর বোঝাই  ট্রাক পড়ে গেছে। আজ ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গী বাজারে তুরাগ নদীর ওপরের ব্রিজটি ভেঙে যায়।

এ ঘটনায় পাথরবোঝাই ট্রাকের চালকসহ দুজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক সেতুটি পার হচ্ছিল। ট্রাকটি সেতুর মাঝখানে গেলে তা ভেঙে ট্রাকটি নিচে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকের চালকসহ আরেক ব্যক্তি আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে তুরাগ নদের ওপর তিনটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তিনটি ব্রিজের মধ্যে দুটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করত। আর ছোট যানবাহন ও জনসাধারণের হেঁটে চলাচলের জন্য একটি ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়। গত কয়েক মাস ধরে ঢাকা থেকে গাজীপুরমুখী ভারী যানবাহন চলাচল করা সেতুগুলোতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআরটি কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই যানবাহনগুলো ওই বেইলি ব্রিজ ব্যবহার শুরু করে।

এদিকে গত রাতে বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় বিআরটি প্রকল্পের নিচের অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী সব যানবাহনকে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতু ব্যবহারে নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) জাফর আহমেদ বলেন, তুরাগ নদীর উপর তিনটি বেইলি ব্রিজের মধ্যে দুটি ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করত। একটি ভেঙে যাওয়ায় অপরটি দিয়ে গাজীপুর থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করলেও রাজধানী থেকে গাজীপুরগামী যানবাহনকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতু ব্যবহার করতে হবে।

জাফর আহমেদ আরও বলেন, অপরদিকে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক ব্যবহার করে যানবাহন ঢাকা থেকে গাজীপুর ও গাজীপুর থেকে ঢাকায় যেতে পারছে না। কামারপাড়া-টঙ্গী অংশে জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করায় সড়কটিতে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের টঙ্গী সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন কয়েক মাস ধরে ঢাকা থেকে গাজীপুরমুখী একটি বেইলি ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআরটি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। তাতে ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী যানবাহনগুলো ওই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতো। ইতিপূর্বে আমরা যানবাহনের চালকদের সতর্ক করে মহাসড়কের পাশে একটি নির্দেশনা বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছিলাম।’

এই প্রকৌশলী বলেন, ‘ব্রিজ তিনটি নির্মাণের পর আমরা বিআরটি প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করি। তবে দেখভালের দায়িত্বে উভয়েই রয়েছে। সড়ক বিভাগ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি অপসারণের কাজ শুরু করতে পারে।’

সবা:স:জু-  ৪৫৩/২৪

গাবতলীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাকের পার্টির শিশির কর্তৃক সম্পাদককে হুমকি-ধামকি

বিশেষ প্রতিনিধি:

রাজধানীর গাবতলী এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা ও কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব নিয়ে ইতিমধ্যে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকায় উল্লেখযোগ্য তথ্য সম্বলিত কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করার পরে দায়িত্বরত থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ওদিকে একদল মাদক চক্রের ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাবার কথা জানা যায় কিন্তু পক্ষান্তরে ওই অসাধু চক্র দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার উপর ক্ষেপে যায় এবং তাদের হোতারা পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ও সম্পাদককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দেয়া শুরু করে এবং তা এখনও চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য যে গাবতলীর মাদক সিন্ডিকেটের একজন অন্যতম হোতার নাম শিশির। তথ্যমতে শিশিরের মূল ব্যবসাই হচ্ছে মাদক আর কিশোর গ্যাং প্রতিপালন‌ই তার আসল লক্ষ্য। জানা গেছে মাদক ব্যবসা করে আজ সে অনেক টাকার মালিক। টাকার বিনিময়ে এমনকি শিশির ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র‌ত্ব‌ও কিনেছেন। জাকের পার্টির ক্যাডার থেকে মাদক ব্যবসা নামে বেনামে জায়গাজমি ক্রয়সহ সে একাধিক স্থানে গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী বাহিনী আর এ বিষয়ে প্রতিবেদক মিরপুর গাবতলীএলাকায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য গেলে এই শিশির ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপ হুমকি ধামকি সহ ধাওয়া প্রদান করে উক্ত স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করলেও সাংবাদিককে থামাতে না পারায় আজ শিশির দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদকের মোবাইলে আজেবাজে ম্যাসেজ দেয়া সহ দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে।

সম্পাদক জানিয়েছেন, এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ -এর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, “তথাকথিত জাকির পার্টির নেতা, মাদক ব্যবসায়ীর হুমকি ধমকিতে থামিয়ে রাখা যাবেনা সবুজ বাংলাদেশের লেখাকে। স্তব্ধ করে দেওয়া যাবেনা সবুজ বাংলাদেশের প্রতিবাদী কলমকে। ইতিপূর্বেও বহু হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে কিন্তু থামানো যায়নি, আর কখনো থামানো যাবেও না ইনশাআল্লাহ। সবুজ বাংলাদেশের কলম তার আপন গতিতেই চলবে।

তিনি আরো বলেন, “আমরা স্বাধীনতার কথা বলি। এ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আমরা সমাজের সকল মানুষের সামনে অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করি এবং আজীবন করবো। কোনো
হামলা আর মিথ্যা মামলার ভয় আমরা করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক মাসুদ জীবনের নিরাপত্তার জন্য এঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে তিনি জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম