তারিখ লোড হচ্ছে...

১৫ দিন আগে ভাগনেকে সঙ্গে নেন মামা, ধরাতে চেয়েছিলেন জাহাজের হাল

স্টাফ রিপোর্টার: 

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজে যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের দুইজনের বাড়ি ফরিদপুরে। নিহত এই দুইজন সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

জাহাজের মাস্টার (চালক) ছিলেন গোলাম কিবরিয়া (৬৫)। তিনি ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের জোয়াইড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত দিনেশ মন্ডল ও আছিয়া বেগমের (৮২) ছেলে। গোলাম কিবরিয়া চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড়। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা।

গত ৪০ বছর ধরে জাহাজে চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন গোলাম কিবরিয়া। বয়স বেড়ে যাওয়ায় কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন তিনি। এজন্য একমাত্র বোনের ছেলে ভাগনে সবুজ শেখকে (২৫) নিয়ে যান জাহাজে। গোলাম কিবরিয়ার স্বপ্ন ছিল সবুজকে কাজ শিখিয়ে জাহাজের হাল ধরানোর জন্য উপযুক্ত করে তোলা। এ জন্য গত ১৫ দিন আগে তিনি সবুজকে চট্টগ্রাম নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে মামার চালিত জাহাজেই উঠেন সবুজ। ভাগনেকে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বড় মেয়ে হাবিবা আক্তারের (২৩) বিয়ের দিন ঠিক করা হয় আগামী ১০ জানুয়ারি। ছেলে মাগুরার মহম্মদপুরের মুজাহিদুল ইসলাম (৩২)। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে কাবিন সম্পন্ন হয়েছে।

হত্যার শিকার দুজনের এলাকা ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের জোয়াইড় গ্রামে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ওই গ্রামে গিয়ে আত্মীয়স্বজন ও তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা হয়।

গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী ওয়াহিদা বেগম জানান, তার স্বামী বেশ কিছুদিন ধরেই বলছিলেন তার বয়স বাড়ছে আর বেশি দিন কাজ করবেন না। তাই জাহাজের চাকরি শেষ করে এলাকায় এসে রাস্তার পাশে বাড়িসংলগ্ন একটি মুদি দোকান দেবেন। সেই দোকানের জন্য ঘরের কাঠামোও বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ঘটনা (হত্যাকাণ্ড) শুনে প্রথমে আমাদের বিশ্বাসই হয়নি। যারা আমার স্বামীরে মারলো তাদের ফাঁসি চাই।

সবা:স:জু – ৪৭১/২৪

ছাত্রীর সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের অশালীন আচরণের অডিও ভাইরাল

অনলাইন ডেস্কঃ

নরসিংদীর বেলাবতে মুক্তার হোসেন নামে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক কলেজছাত্রীকে খালি বাসায় ডেকে নিয়ে অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ মে, ২০২৩) দুপুরে বেলাব উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে এই বিক্ষোভ করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা-বেলাব সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খামারের চর এ.এন.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিবাহিত প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন ওই স্কুলের এক সাবেক ছাত্রী ও বর্তমানে কলেজ ছাত্রীকে দাওয়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে তার খালি বাসায় ডেকে নেন। পরে সেখানে ফ্ল্যাটবাড়ি লিখে দেয়াসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অশালীন আচরণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এই ঘটনা গোপনে মোবাইল ফোনে অডিও রেকর্ড করেন ওই ছাত্রী। প্রধান শিক্ষকের এসব অশোভন ঘটনা ম্যাসেঞ্জারে অন্যদের জানানোর স্ক্রীনসটসহ সোমবার রাতে প্রধান শিক্ষকের ছবিসহ ওই অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়ার পর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বিক্ষুব্ধরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা-বেলাব সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা জান্নাত তাহেরা তদন্ত করে ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ সরিয়ে নেয় শিক্ষার্থীরা।

চলমান এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা জান্নাত তাহেরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের মোবাইলে একাধিক কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

সূত্রঃ যমুনা টিভি

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম