তারিখ লোড হচ্ছে...

আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা

স্টাফ রিপোর্টার: 

এক ঘণ্টার ‘কলমবিরতি’র মাধ্যমে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামলেন ২৫টি ক্যাডারদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কলমবিরতির পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করার কর্মসূচিও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রশাসনের সব পদ প্রশাসন ক্যাডারের জন্য রাখার জন্য যৌথ সভা ডেকেছেন জনপ্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। গত রোববার সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বড় জমায়েত হয়।

আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের কলমবিরতি থেকে জানা গেছে, সরকারের উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল, নিজ নিজ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ নীতিনির্ধারণী পদে দায়িত্ব দেওয়া এবং সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।

পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, তারা মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ডাক, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য, পরিসংখ্যান, রেলওয়ে, কৃষি, সমবায়সহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা কার্যালয়ের ভেতর ও বাইরে ব্যানার টানিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। দাবি আদায় না হলে আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

গত সেপ্টেম্বর পদোন্নতি, পদায়নসহ বেশ কিছু দাবিতে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ নামে এই জোট গঠিত হয়। এর পর থেকে নিজেদের বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার হয় এই সংগঠন।

আন্তক্যাডার দ্বন্দ্বের কারণ

জানা গেছে, সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারভুক্ত না রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে।

বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এমন সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতির কোটা কমে যাবে বলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

 

সবা:স:জু- ৪৭৫/২৪

 

ভারতের বিকল্প রাস্তা থাইল্যান্ড-মালদ্বীপে পর্যটকদের ভির

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

অক্টোবর মাস থেকেই শুরু হয়ে গেছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশে পছন্দের গন্তব্যে ছুটছেন পর্যটকরা। খরচ-সুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশিদের সর্বাধিক পছন্দের গন্তব্য ভারতের ভ্রমণ ভিসার কোনো সুখবর এখনো নেই। বিকল্প হিসেবে বেড়েছে প্যাকেজ ট্যুরের কদর। শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেপাল।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতে বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে যাচ্ছেন পর্যটকরা। অনেকে একসঙ্গে দুটি বা তিনটি দেশ ঘোরার প্যাকেজ নিয়ে সাশ্রয়ী ট্যুর করছেন।

অ্যাভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটকদের বড় একটি অংশ সারা বছরই ভারতে বেড়াতে যেতেন। পর্যটক ভিসা বন্ধ থাকায় এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইটের হার এক-তৃতীয়াংশে নেমেছে। যদিও আশপাশের অন্য দেশগুলোর ফ্লাইটে যাত্রী বেড়েছে।

জানতে চাইলে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. ইউনুছ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভারতের পর্যটক ভিসা বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন পর্যটকরা। এসব দেশে সহজেই ভিসা পাওয়ার কারণে অনেকে দুই-তিনটা দেশ একসঙ্গে প্যাকেজে যাচ্ছেন। প্যাকেজ ভ্রমণ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।’

ভারতে ভ্রমণ ভিসার সুখবর নেই
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে বিদেশি পর্যটকদের আগমন প্রায় ৪৭ দশমিক ৮ লাখ। এসময় ভারতে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাঁচ দেশ হলো- বাংলাদেশ (২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (৯ দশমিক ৮২ শতাংশ), কানাডা (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (৪ দশমিক ৩২ শতাংশ)।

সবা:স:জু- ১২৯/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম