তারিখ লোড হচ্ছে...

আমিরাতের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশীদের সুখবর দিলেন রাষ্ট্রদূত

জে এম রফিকুল সরকার,(আরব আমিরাত):

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য সকল ধরনের ভিসা কার্যক্রম এমনকি অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনেও সকল প্রকার সুযোগ বন্ধ রেখেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।এ সমস্যা দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি।

তিনি জানান,সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের যে সমস্যা রয়েছে এই সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতে ভিসা চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে দুবাইয়ের পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মান্যবর রাষ্ট্রদূত হামুদি উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সকল এই ব্যাপারে অবগত করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমিরাতে কেবল বাংলাদেশিদের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন দেশের ভিসা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এটি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। এখানে রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। সাংবাদিক মামুনুর রশীদ ও রাসেল আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের দূতালয় প্রধান আশফাক হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন- কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও ইউএই বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ইঞ্জিনিয়ার সালাম খাঁন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- ড. রেজা খান, ইউএই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমেদ, রাজা মল্লিক, ইয়াকুব সৈনিক, সাংবাদিক শিবলী আল সাদিক প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথি মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, আমিরাত হচ্ছে শান্তিময় একটি দেশ। এই দেশে বাংলাদেশিসহ বিদেশিরা অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছেন। দুই দেশের মধ্যে চমৎকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আমিরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে যৌথভাবে ভূমিকা রাখছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমিরাতের কর্তৃপক্ষকে ভিসা চালুর ব্যাপারে অনুরোধ জানাচ্ছি। আশাবাদী শিগগিরই একটি ভালো সংবাদ পাওয়া যাবে।

এ সময় আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ এতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র সম্পাদক ও সদস্য এবং আমিরাতে অবস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সবা:স:জু- ৪৯৭/২৪

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বেপরোয়া জলদস্য জিতু বাহিনীবসতবাড়িতে হামলা, আহত -নারী পুরুষ সহ ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা – কোন ভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হচেছনা গজারিয়া উপজেলার নদীবেষ্টিত ইউনিয়ন গুয়াগাছিয়াতে। একের পর এক বাড়ী ঘরে লুট , চাঁদার দাবীতে নিরীহ লোকজনকে মারধোর, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহরা দেখিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়া, অনেকটাই রেওয়াজে পরিনত হয়েছে এই ইউনিয়নটিতে। সন্রাস ও ডাকাতি বন্ধে ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। পরিদর্শনে গিয়েছিল স্বরাষ্ট উপদেষ্টাও, তিনি আশ্বস্তও করেছিল সন্ত্রাস বন্ধ হবে এবং ইউনিয়নবাসী শান্তিতে বসবাস করতে পারবে৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নুন্যতম দুই ডজন মামলার আসামি জলদস্যু জিতু রাড়ীর নেতৃত্বে শিমুলিয়া বালুয়াকান্দি ও জামালপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে হামলা চালায়। ভাংচুর লুট পাট চালানো হয় নুন্যতম ১০/১২ বাড়িতে। হামলায় আহত হয় নারী পুরুষ সহ ১৫/২০ জন। লুট করে নেয় সোনা গয়না, টেলিভিশন, টাকা পয়সাসহ বসত ঘরে থাকা গচিছত আসবাপত্রও। হামলায় ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় এদের তালিকায় আছে শিমুলিয়া বালুয়াকাদি গ্রামের প্রবাসী সামাদ, স্থানীয় রিনা, আলম, আক্তার সরকার, শিউলি বেগম ও জামালপুর গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহমুদ আলীর পরিবারসহ আরো অনেকের বাড়ি ঘরে। হামলায় আহত হয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে, হীরা বেগম, রিনা, শিউলি, সাহিদা, পিংকি, নুর জাহান, কামরুন বেগম, সাবিরুন। এই হামলায় জিতু রাড়ীর নেতৃতে অংশ গ্রহণ করে স্থানীয় ভাবে ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচিত গোলজার, তারই গ্রুপের সদস্য কুদ্দুস , জিহাদ, সাব্বির ,শাহাবুদ্দিন, লনি রাড়ী , সাইফুল, রেনু রাড়ী ,আকাশ খাসহ ৩০/৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে হামলা চালানোর সময় ব্যবহার করা হয় পিস্তল – বন্দুক রামদা ও দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র । এই বাহিনী গত দুদিন আগেও মাসুদ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গুলি করে রক্তাক্ত জখম করে। এই ব্যাপারে মাসুদ পরিবার গজারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। নদী বেষ্টিত ইউনিয়ন গুয়াগাছিয়া। সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন অপকর্ম করে সহজেই পাশ্ববর্তী উপজেলা এলাকায় চলে যেতে পারে। অভিযোগ উঠেছে জিতু রারী ও গোলজার ডাকাত বাহিনী দীঘদিন পর এলাকায় ফিরেছে। মুলত তাদের নেতৃত্বেই স্থানীয় লোকজনকে মারপিট বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট, গুলি ,বোমা বাজি সহ নানান অবৈধ কর্মকাণ্ড করে এলাকাকে অশান্ত করে তুলেছে। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয়রা।

language Change
সংবাদ শিরোনাম