নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ করছে সরকারের কাছে

স্টাফ রিপোর্টার: 

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এরই মধ্যে বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে, যা আগামী তেসরা জানুয়ারি সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে। যেখানে ‘না’ ভোটের বিধান চালু, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ কিংবা নির্দলীয় প্রতীকে ভোটের মতো বিষয়ও রয়েছে।

এই সংস্কার কমিশন বলছে, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এমন আরো বেশ কিছু প্রস্তাব তারা চূড়ান্ত করেছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলো কতটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে?

দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ইস্যুতে বিএনপির ইতিবাচক অবস্থান থাকলেও, ‘না ভোট’ নিয়ে নেতিবাচক অবস্থান দেখা যাচ্ছে বিএনপির মধ্যে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আসলে যারা ভোটকেন্দ্রে যায়, তারা ‘হ্যাঁ’ ভোটই দিতে যায়। অতীতে একবার চালু হয়েছিল, তখন আমরা দেখছি না ভোটে মানুষের আগ্রহ নেই। এতে পরিস্থিতি জটিলতার দিকে যায়।”

আর জামায়াতে ইসলামী বলছে, তারা এখনো এই বিষয়ে তাদের অবস্থান চূড়ান্ত করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরই এ নিয়ে মত দিবে তারা।

আগামীতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে যে সব প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন তা কতখানি বাস্তবায়ন সম্ভব সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশেদা রওনক খান বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজন করতে হবে সরকারকে। সেক্ষেত্রে ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে সরকারের জন্য।”

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বলছে, গত দেড় দশকে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। যে কারণে তারা যে প্রস্তাব দিচ্ছেন সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমরা আমাদের প্রস্তাবনা দিবো। আশা করবো রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করবে। এখন কেউ একমত না হলেও প্রয়োজনে পরে একমত হবে।”

 

সবা:স:জু- ৫৯৭/২৫

বিএনপি অফিস ভাংচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি অফিস ভাংচুরের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গাংনী পৌর যুবদলের আহবায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,গত ১৩ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১ টার সময় মামলার আসামী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র,মোটরসাইকেল ভাংচুর,সাইবোর্ড ছিড়ে দেয় এমন অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়।

গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু বলেন,রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে অসত্য তথ্য তুলে ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রাজনৈতিক ভাবেই মামলা মোকাবেলা করা হবে।

মামলার বাদী গাংনী পৌর যুবদলের আহবায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম বলেন,কোন কারন ছাড়াই বিএনপি অফিসে বারবার হামলার ঘটনা ঘটে। বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সঠিক ভাবে মামলা তদন্ত করা হলে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে।

গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: মকলেছুর রহমান মুকুল বলেন,এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করতে হবে। মিথ্যা দিয়ে কখনও রাজনীতি হয়না। এই মামলার ফলে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবন্ধ হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম