চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্যারাবনে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়। ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনেরা জানান, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনো আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি কিশোরী।

কিশোরীর পরিবারের লোকজন বলেন, গত রোববার রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী বাঁশখালী থেকে ফিরছিল। এরপর বদরখালী বাজারে বাস থেকে নামার পর মহেশখালীগামী সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠে সে। পথে বদরখালী সেতুতে গাড়ি নষ্ট হয়েছে বলে চালক ওই কিশোরীকে নামিয়ে দেন। গাড়িটিতে কিশোরী একাই ছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা কিশোরীর গতি রোধ করে অস্ত্রের মুখে প্যারাবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে বদরখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় আটক তিনজন হলেন বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭) ও কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩)।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর স্বজনেরা জানান, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে সে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ভয় ও আতঙ্কে ক্ষণে ক্ষণে চমকে উঠছে সে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, কিশোরীর পরিবার মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মামলার পর আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। পাশাপাশি ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে কিশোরীকে আদালতে নেওয়া হবে।

সবা:স:জু- ৬৭৫/২৫

 

বেগুনের বাজারে আগুন, স্বস্তি নেই লেবুতেও!

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-

সিয়াম সাধনার মাস রমজান আসার আগে গেলো সপ্তাহে এ সবজিটির কেজিপ্রতি দাম ছিল ৪০ টাকা তবে এক সপ্তাহ ব্যবধানে বেগুনের দাম আগুন হয়েছে। কেজিপ্রতি ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। শুধুই কি বেগুন? পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লেবুও। বেগুন কেজিপ্রতি হিসেবে দাম বাড়লেও লেবুর দাম হালিতে বেড়েছে এক লাফে ৮০ টাকা। অর্থ্যাৎ যেই লেবু এক সপ্তাহ আগেও এক হালি বিশ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা এখন কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা। সুতারাং অনায়েসেই বলা যায়, বেগুনের পর এবার সেঞ্চুরি করলো লেবুও। বেগুন লেবুর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার। ক্রেতারা বলছেন, রামজান আসলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটে এসব দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তবে বাজার পর্যাপ্ত বাজার মনিটরিংকেও দুষছেন কেউ কেউ।

দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে যাইতাই, চট্টগ্রামে সবজির বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। সিম, আলু, বেগুন কিংবা খোদ লেবু! কোনটিই নেই নাগালের মধ্যে। আর তাইতো রীতিমতো হতাশ ভোক্তারা।

রমজান আসলে বিশ্বের যেকোন মুসলিম প্রধান দেশগুলোর ব্যবসায়ীরা পূন্যতা লাভের আশায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সহনসীল পর্যায়ে নিয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে নিজেরা ভর্তুকি দিয়ে থাকে তবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো। কার পকেট থেকে কিভাবে টাকা ঝাড়বে? এ প্রতিযোগিতায় যেন লাগামহীনভাবে নেমে থাকেন ব্যবসায়ীরা। আর তাইতো স্বস্তি নেই মাছ মাংস ছাড়িয়ে সবজির বাজারেও। লেবুর মত সবজিও হাল ছেড়ে হাটছে অস্বস্তির পথে।

বেগুন লেবুর বাড়তি দাম নিয়ে জানতে চাওয়া হয় বন্দরনগরী আগ্রাবাদের বেপারীপাড়া কাচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মুরাদ মিয়ার কাছে। মুরাদ বলেন, আমরাতো খুচরা ব্যবসায়ী। দিন এনে দিন খাই। আড়তদাররা আমাদের যে মূল্য বেধে দেয় তা থেকে বেশী বা কম বিক্রি করার সুযোগ নেই আমাদের। তবে প্রথম রমজানের তুলনায় আজ প্রতিটি সবজির দাম একটু কম আছে বলেও জানান তিনি।

সার্বক্ষনিক বাজার মনিটরিং করলে কাচা বাজারের সবজির দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আসবে আর স্বস্তিও ফিরবে সবজির দামে আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম