তারিখ লোড হচ্ছে...

জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মত দিয়েছেন, কানাডার জনগণ নিজের দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হিসেবে দেখতে চায়। আর এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই পদত্যাগ করেছেন ট্রুডো।

মঙ্গলবার ( ৭ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে মত দেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার একীভূত হয়ে দেশটির ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘কানাডার অনেক মানুষ মনেপ্রাণে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে চায়। কানাডার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে পর্বতসম বাণিজ্য ঘাটতি ও ভর্তুকি দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রকে এই ভার বহন করতে হচ্ছে। জাস্টিন ট্রুডো এ বিষয়গুলো জানতেন এবং এ কারণেই পদত্যাগ করেছেন।’

‘কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেক কমে যাবে এবং তারা (কানাডীয়রা) রুশ ও চীনা জাহাজের কাছ থেকে আসা হুমকি থেকে পুরোপুরি নিরাপদ থাকবে। (কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) একীভূত হলে এমন একটি মহান রাষ্ট্র জন্ম নেবে (একীভূত যুক্তরাষ্ট্র) যার কোনো নজির নেই’, যোগ করেন ট্রাম্প।

ট্রুডোর জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছে যাওয়া ও পরিশেষে, পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পেছনে ট্রাম্পের বড় অবদান রয়েছে বলে ধারণা করেন বিশ্লেষকরা।

আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় বসেই প্রথম যে কয়েকটি নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করবেন তার মধ্যে আছে কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য শুল্কের সঙ্গে বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ।

এই ঘোষণার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাসভবন মার আ লাগোয় উপস্থিত হন ট্রুডো। বৈঠক ও নৈশভোজে অংশ নেন ট্রুডো ও তার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। কিন্তু সেখানেও থামেনি ট্রাম্পের বিদ্রুপ।

নৈশভোজের এক পর্যায়ে ট্রাম্প ট্রুডোকে কানাডার গভর্নর বলে অভিহিত করেন। মার-আ-লাগোয় ট্রাম্প আরও বলেন, কানাডার উচিত যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া।

আজ আবারও সেই একই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন আবাসন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ ও দুই বারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

 

সবা:স:জু- ৬৮১/২৫

জলবায়ু পরিবর্তনে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ

শিমুল হাসান রাফি:
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ দুর্যোগ, বিপর্যয় আর অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। গত দুই দশকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে সপ্তম। তবে আর্থিক ক্ষতির দিক থেকে দেশের অবস্থান আরও করুণÑ পঞ্চম। এই তথ্য উঠে এসেছে জার্মানভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘জার্মানওয়াচ’ কর্তৃক প্রকাশিত বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকিসূচক ২০২১ প্রতিবেদন থেকে।
২০০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বিশ্বের ১৮০টি দেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও এর ফলে সৃষ্ট ক্ষয় ক্ষতির হিসাব নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়। বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, এই ২০ বছরে দেশটি অন্তত ১৮৫টি বড় ধরনের জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে ছিলো তীব্র ঘূর্ণিঝড়, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধস, খরা প্রভৃতি। এসব দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১১ হাজার ৪৫০ জন মানুষ এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৭২ কোটি ডলার সমপরিমাণ।
দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে বাংলাদেশ
২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে জার্মানওয়াচ। সূচকে অবস্থান নির্ধারণের জন্য বিবেচনায় আনা হয়Ñ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের সংখ্যা, প্রাণহানি, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব। এক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর শীর্ষে। এরপর কিছুটা উন্নতি হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আবারও ঝুঁকির মাত্রা বেড়েছে।
সাম্প্রতিক তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে পুয়ের্তোরিকো, মিয়ানমার, হাইতি, ফিলিপাইন, মোজাম্বিক ও বাহামা। বাংলাদেশের পরপর অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপাল।
শুধুমাত্র এক বছরের হিসাবেও বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থা।
প্রতিবেদনে শুধু ২০১৯ সালের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। ওই বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির পরিমাণ অনুসারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩তম। অথচ এক বছর আগেই, অর্থাৎ ২০১৮ সালে সেই অবস্থান ছিল ৮৮তম। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ৭৫ ধাপ অবনতি ভয়াবহ বিপদের ইঙ্গিত দেয়।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশের ঝুঁকি অনেক বেশি। ভারতের অবস্থান ২০তম, শ্রীলঙ্কা ২৩তম, ভুটান ১০৫তম এবং মালদ্বীপ ১৭৪তম স্থানে রয়েছে।
অতীতের দুর্যোগ এখনো দগদগে স্মৃতি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ যে জলবায়ুজনিত দুর্যোগগুলো আঘাত হেনেছে, তার মধ্যে রয়েছে- ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, ১৯৯৫ ও ১৯৯৮ সালের প্রবল বন্যা, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালের আইলা এবং সাম্প্রতিক সময়ে ফণী ও বুলবুলের মতো ঘূর্ণিঝড়। এসব দুর্যোগ বহুজীবন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য, আবাসন, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ভয়াবহ ক্ষতি করেছে।
বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন আর শুধু একটি বৈজ্ঞানিক বিষয় নয়, এটি রীতিমতো অর্থনীতির গভীর সংকটে পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে জলবায়ুজনিত দুর্যোগ ছিল মূলত প্রাকৃতিক বিপর্যয়, এখন তা সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় টানা পড়েন সৃষ্টি করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের চেয়ে এখন আরও বেশি প্রস্তুতি, পরিকল্পনা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া নেওয়ার মতো সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। শুধু রাষ্ট্র নয়, ব্যক্তি, সমাজ, প্রতিষ্ঠান-সবাইকে সম্মিলিতভাবে এই সংকট মোকাবিলায় দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত একক কোনো সীমান্ত মানে না- এটি এক বৈশ্বিক বাস্তবতা, যার মুখোমুখি এখন বাংলাদেশের মতো জলবায়ুভিত্তিক দেশগুলো ভয়াবহভাবে দাঁড়িয়ে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম
শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ মানিকছড়িতে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদুদ ভূইয়া'র পথসভা সীমান্ত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি সিন্ডিকেটে আটকে আছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কোটি টাকার মেশিন কেরানীগঞ্জে ঠিকাদার রফিকের অবৈধ গ্যাস সংযোগে টাকার মেশিনের সন্ধান আগুন সন্ত্রাস আটক করায় গুলশান ট্রাফিক পুরস্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি থানা ও ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সোহেল রানা বহিষ্কার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী সাইবার দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা